অন্যতম
ফেবারিট হিসেবে
এশিয়া
কাপে
নিজেদের যাত্রা
শুরু
করে
বাংলাদেশ। স্বাধীনতার মাসে
পাকিস্তানের কাছ
থেকে
আরো
একটি
বিজয়
ছিনিয়ে
আনলো
মাশরাফির বাংলাদেশ। জিতলেই ফাইনাল,
এমন
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে
মাঠে
গিয়ে
টাইগারদের উৎসাহ
না
দিয়ে
ঘরে
থাকতে
পারেনি
খেলাপাগল প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। বিজয়ের
মাস
আর
শেখ
হাসিনার উৎসাহকে বৃথা
যেতে
দেয়নি
বাংলার
টাইগাররা। পাকিস্তানকে হারিয়ে
টুর্নামেন্টের ফাইনাল
নিশ্চিত করলো
বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দেয়া
১৩০
রানের
লক্ষ্যে ব্যাট
করতে
নেমে
৫
উইকেট
ও
৫
বল
হাতে
রেখে
জয়
নিশ্চিত করে
টাইগাররা।
১৩০ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানের মাথায় বিদায় নেন সদ্য বাবা হয়ে দেশে ফিরে দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া তামিম ইকবাল। ৪ বলে ১ ছয়ে ৭ রান করে মোহাম্মদ ইরফানের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম। এরপর সৌম্যের সঙ্গে যোগ দেন আগের ম্যাচের নায়ক সাব্বির রহমান। নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও ১৫ বলে ১৪ রান করে বাংলাদেশ ভাল একটা ভিত গড়ে দেন সাব্বির। দলীয় ৪৬ রানের মাথায় আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সাব্বির।
১৩০ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানের মাথায় বিদায় নেন সদ্য বাবা হয়ে দেশে ফিরে দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া তামিম ইকবাল। ৪ বলে ১ ছয়ে ৭ রান করে মোহাম্মদ ইরফানের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম। এরপর সৌম্যের সঙ্গে যোগ দেন আগের ম্যাচের নায়ক সাব্বির রহমান। নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও ১৫ বলে ১৪ রান করে বাংলাদেশ ভাল একটা ভিত গড়ে দেন সাব্বির। দলীয় ৪৬ রানের মাথায় আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সাব্বির।
তবে অন্যপ্রান্তে থেকে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন সৌম্য। তার ৪৮ বলে খেলা ৪৮ রানের ইনিংসটি শেষ হয় দলীয় ৮৩ রানের মাথায়। মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সৌম্য। এর পরপরই মুশফিককে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান শোয়েব মালিক। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে ৮ রানে সাকিব ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নেমেই পরপর দুই বলে দুই চারে পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেন এই লড়াকু সৈনিক।
বাকি আনুষ্ঠানিকতাটুকু সারতে খুব বেশি সময় নেননি মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মোহাম্মদ সামির করা ১৯তম ওভারে ১৪ রান নিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্ত চলে আসে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৩ রান। ৫ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে দলকে ফাইনালে তুলে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মাশরাফি। ১৫ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। আর ৭ বলে ১২ রান করেন মাশরাফি। পাকিস্তানের সফলতম বোলার আমির নেন ২ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান তুলে নিজেদের ইনিংস শেষ করে পাকিস্তান। দলের রান ৩০ এর কোটা না পেরুতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম আঘাত হানেন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে নিয়মিত উইকেট শিকারী আল আমিন হোসেন। পাকিস্তানের ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই খুররম মনজুরকে উইকেটের পিছনে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন আল-আমিন। দলের রান তখন মাত্র ১।
দলীয় ১২ রানের মাথায় আঘাত হানেন একাদশে জায়গা পাওয়া স্পিনার আরাফাত সানি। ক্লিন বোল্ড করে সার্জিল খানকে সাজঘরের পথ দেখান এই টাইগার। এরপরই বল হাতে নিয়েই আঘাত হানেন দলপতি মাশরাফি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় মোহাম্মদ হাফিজকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মাশরাফি।
এরপর যখন আকমল ও সরফরাজের ব্যাটে চাপ কাটানোর স্বপ্নে বিভোর পাকিস্তান, তখনই আঘাত হানেন তাসকিন। দলীয় ২৮ রানের মাথায় সাকিবের হাতে ধরা পড়েন ১১ বলে ৪ রানের ইনিংস শম্ভুকগতির ইনিংস খেলা উমর আকমল।
এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সরফরাজ আহমেদ ও শোয়েব মালিক। তাদের ৭০ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ১২৯ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ই্নিংস। ৩০ বলে ৪১ রান করে ফিরে যান মালিক। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন সরফরাজ। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪২ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া আনোয়ার আলী করেন ৯ বলে ১৩ রান। বাংলাদেশের সফলতম বোলার আল-আমিন হোসেন ২৫ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। এছাড়া আরাফাত সানি ২টি ও তাসকিন-মাশরাফি নেন ১টি করে উইকেট।
স্বাধীনতার মাসে পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে আরো একবার বিজয় ছিনিয়ে আনলেন বাংলার টাইগাররা। ফাইনালে মুখোমুখি হবে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি ভারতের।
Info: http://www.manobkantha.com
No comments:
Post a Comment