খেলার
দৈর্ঘ্য যত
কমে,
তত
ভালো
খেলে
ছোট
দলগুলো—ক্রিকেটের সাধারণ এ ধারণাকে কঠিন
চোট
দিয়েছিল টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ দল।
একের
পর
এক
হার
আর
খেলাটার মর্মই
যেন
উদ্ধার
করতে
পারছিল
না
বাংলাদেশ। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য
আকর্ষণীয় তামিম
ইকবালও
টি-টোয়েন্টির রহস্যভেদে ব্যর্থতার সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন একাধিকবার। সেই তাঁর
প্রত্যাবর্তনেই মুস্তাফিজুর রহমানকে হারানোর বেদনার
উপশম
খুঁজে
পেয়েছে
বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সার্কিটে যে
এখন
তামিম
হট
কেক!
বিপিএল
এবং
পিএসএল—টানা দুটি টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি
ক্রিকেট আসরে
খেলেছেন তামিম।
দুটো
আসরেই
নিজের
শেষ
ম্যাচ
পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শীর্ষ
রান
সংগ্রাহক ছিলেন
তিনি।
বিপিএল-পিএসএল মিলিয়ে খেলা
১৫
ইনিংসে
ছয়বার
৫০
পেরিয়েছেন তামিম।
টপ
অর্ডারের একজনের
এমন
ফর্ম
পুরো
দলেই
স্বস্তির হাওয়া
বইয়ে
দিতে
পারে।
মাশরাফি বিন
মর্তুজা যেমন
মুস্তাফিজের অনুপস্থিতির ক্ষতির
সঙ্গে
সঙ্গে
তামিমের ফেরাটাকে লাভ
হিসেবে
দেখছেন,
‘আমি
আগেও
বলেছি
যে
তামিমের না
থাকাটা
সব
সময়ই
আমাদের
জন্য
অস্বস্তিকর ব্যাপার। সব
ফরম্যাটে সে
বাংলাদেশের সেরা
ব্যাটসম্যান। তামিম
অনেক
দিন
ধরে
খেলছে,
সে
অনেক
অভিজ্ঞ।’
এশিয়া
কাপে
খেলা
তিন
ম্যাচেই টপ
অর্ডারে তামিমের ফর্ম
আর
অভিজ্ঞতার অভাবে
ভুগেছে
বাংলাদেশ দল।
এমনিতেই টি-টোয়েন্টির বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের
ছড়াছড়ি
নেই
বাংলাদেশ দলে।
সেখানে
টানা
দুটি
টি-টোয়েন্টি লিগে দুর্দান্ত খেলা
তামিমের ফেরাকে
বড়
সুসংবাদ হিসেবে
দেখছেন
বাংলাদেশ দলের
কোচ
চন্দিকা হাতুরাসিংহেও, ‘তামিমকে ফিরে
পাওয়াটা অনেক
বড়
খবর।
গত
এক
বছরে
সে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১
হাজার
রান
করেছে।
টপ
অর্ডারে আমাদের
সেরা
ব্যাটসম্যান। এমন
মানের
কারো
ফেরা
দলকে
সাহায্য করবে।’
আর
তামিম
নিজে
কী
ভাবছেন?
সরকারিভাবে কথা
বলার
অনুমতি
নেই।
তবে
সদ্যই
বাবা
হওয়ার
উচ্ছ্বাসের কারণেই
কিনা,
জাতীয়
দলের
অনুশীলনে তাঁকে
মনে
হচ্ছে
হাজার
ওয়াটের
অনুপ্রেরণা। ৪০
দিন
বয়স
হওয়ার
আগে
প্রিয়
সন্তানের ছবি
নিজের
মোবাইলেই ‘বন্দি’
রাখবেন
তিনি,
তবে
চেনা
মানুষকে সেটি
একঝলক
দেখাতে
আপত্তি
নেই
তামিমের। চাচা
আকরাম
খান
দাদা
হওয়ার
খুশিতে
গতকালের নেটে
উপস্থিত সবাইকে
মিষ্টিমুখও করিয়েছেন। লম্বা
নেটেও
তাই
ক্লান্তির ছাপ
নেই
তামিমের অভিব্যক্তিতে। নিজের
ফর্ম,
সদ্য
বাবা
হওয়ার
আনন্দ
মিলিয়ে
তামিম
নিজে
যেমন
সুখের
স্বর্গে, তেমনি
সে
সুখের
রেশ
ছড়িয়ে
পড়েছে
বাংলাদেশ দলেও।
অবশ্য
টি-টোয়েন্টিতে সদ্যই ভালো খেলতে
শুরু
করেছেন
বলে
দিলে
তামিমের প্রতি
কিছুটা
অবিচারই হবে।
৪৪
ম্যাচে
২০.৪৬ গড় আর
স্ট্রাইকরেট ১০৭—বাংলাদেশ মানে মোটেও খারাপ
নয়।
২০১২
সালে
ওয়েস্ট
ইন্ডিজের বিপক্ষে তাঁর
অপরাজিত ৮৮
টি-টোয়েন্টিতে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস।
তবে
সঙ্গে
মাত্র
তিনটি
ফিফটি
তামিমের অধারাবাহিকতার স্মারকও। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শুরুটা রীতিমতো হূদয়বিদারক! প্রথম
ফিফটি
তিনি
পেয়েছেন ২০তম
ম্যাচে,
মাঝে
পেরিয়ে
গেছে
প্রায়
পাঁচ
বছর।
অবশ্য
ম্যাচ
সংখ্যা
আর
সময়ের
ব্যবধানই বলে
দেয়
সেসব
টি-টোয়েন্টি লিপ ইয়ারে লিপ
ইয়ারে
খেলত
বাংলাদেশ!
সেই
তিনি
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা
১৫
ম্যাচে
ফিফটি
করেছেন
ছয়টি,
গড়
বেড়ে
প্রায়
তিন
গুণ
এবং
স্ট্রাইকরেটও ঊর্ধ্বগামী, ১১৭।
আগের
মতো
সব
বল
বাউন্ডারিতে পাঠানোর চেষ্টা
না
করে
সিঙ্গেলসও নিয়ে
কমিয়েছেন ডট
বলের
সংখ্যা। টি-টোয়েন্টির সুবাদে উদ্ভাবনী ব্যাটিংয়ের যুগে
তামিমের একটা
শট
বাকি
শিষ্যদেরও রপ্ত
করাচ্ছেন চন্দিকা হাতুরাসিংহে। অফস্টাম্পে একটু
ওপরে
করা
বল
ফ্লিক
করে
ফাইন
লেগে
যে
কার্যকর শটটি
ইদানীং
খেলছেন,
সেটি
খুব
পছন্দ
হয়েছে
কোচের।
তামিমের প্রত্যাবর্তনে সবচেয়ে স্বস্তিতে সম্ভবত সৌম্য সরকার। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানটি অভিজ্ঞ এবং ফর্মের তুঙ্গে থাকলে সঙ্গীর ওপর চাপ তো এমনিতেই কমে যায়। তামিমের প্রত্যাবর্তনে সৌম্যর চাপমুক্তিও আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে।Info: http://www.kalerkantho.com
No comments:
Post a Comment