তাসকিন-আরাফাত সানিকে হারানোর শোক
বাংলাদেশ দল
কাটিয়ে
উঠেছে। ভারতের
বিপক্ষে মাঠে
নামার
আগে
অনুশীলনে দলের
খেলোয়াড়দের বেশ
তেজোদ্দীপ্ত দেখা
গেছে। দলে
আবার
ফিরেছেন সেরা
ফর্মে
থাকা
ওপেনার
তামিম
ইকবাল। সব
মিলিয়ে
বাংলাদেশ দলের
সবাই
চাঙ্গা। দেখে
মনেই
হবে
না
দুই
দিন
আগে
এই
দলের
ওপর
দিয়ে
কি
ঝড়ই
না
বয়ে
গেছে। ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গতকাল
বাংলাদেশ দলের
এই
তেজ
আরও
বাড়িয়ে
দেয়
দলপতি
মাশরাফির টস
জয়। বহুল
কাক্সিক্ষত টস
জয়। টানা
সাত
ম্যাচ
পর।
সর্বশেষ টস
জিতেছিল এশিয়া
কাপে
লিগ
পর্যায়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই টস
জয়
ছিল
আবার
এবারের
আসরে
প্রথমও। ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটিং স্বর্গ
উইকেট
হলেও
মাশরাফি ব্যাটিং বেছে
নেননি। ভারতের
দুর্ধর্ষ ব্যাটিং লাইনকে
তিনি
আমন্ত্রণ জানিয়ে
বোলারদের হাতে
বল
তুলে
দেন। সেখানে
তার
বোলাররা দলপতির
সিদ্ধান্তের সাচ্চা
জবাব
দিয়ে
ভারতকে
করতে
দেন
সাত
উইকেটে
১৪৬
রান। কিন্তু
তারপরও
বাংলাদেশ ম্যাচ
জিততে
পারেনি
শেষ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সৌজন্যে ১৮ বছর পর
বাংলাদেশ ভারতে
খেলতে
না
পারা
খরা
কাটানোর পর
টস
জয়
দিয়ে
নতুন
করে
যাত্রাটা ভালোভাবেই সূচনা
করার
ইঙ্গিত
ছিল
অসাধারণ বোলিং
আর
ফিল্ডিংয়ের যৌথ
প্রযোজনায়। কিন্তু দলের
দুই
সিনিয়র
ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের দায়িত্বহীনতা বাংলাদেশের আকাশে
জয়ের
সূর্য
ওঠেনি। কিন্তু
সাগরের
মতো
বিশাল
হৃদয়ের
অধিকারী দলপতি
মাশরাফি এর
জন্য
কাউকে
দায়
দিতে
নারাজ,
তিনি
বলেন,
‘আমাদের
দিকে
সব
কিছু
আসতে
পারত। আমি
কাউকে
দায়ী
করছি
না।
শেষ
৩
বলে
লাগবে
২
রান। তখনো
দুই
সেট
ব্যাটসম্যান ও
একজন
ব্যাটসম্যান লাইনআপে ছিল। ওই
অবস্থায় ৩
উইকেট
হারানো
সবার
জন্যই
খুব
কঠিন
ম্যাচ।’ এ
প্রসঙ্গে তিনি
আরো
বলেন,
‘৬
বলে
১১
রান। ওই
সময়ে
দুটি
চারে
সব
কিছু
পক্ষে
চলে
আসছিল। ও
সময়
ও
আরো
সতর্ক
থাকতে
পারত। এটা
নেতিবাচক নেয়ার
কোনো
কিছু
নেই। দুটা
চার
মারার
পর
যে
কোনো
ব্যাটসম্যানই বুস্ট
আপ
হয়।’ তবে
এভাবে
হারটাকে তিনি
মেনে
নিতে
পারেননি। তিনি বলেন,
‘এটা
শুধু
আমার
না,
আমরা
যারা
খেলোয়াড় আছি
সবার
জন্যই
এটা
শকিং। এ
ধরনের
ম্যাচ
কেউ
হারে
না। কেউ
হারতে
পারে
না। এখন
বোঝানো
খুব
কঠিন। তবে
এটা
হতাশাজনক।’ মুশফিকের বিগ
শট
প্রসঙ্গে তিনি
বলেন,
‘ক্যালকুলেটিভ হলে
একেবারে রিক্সলেস হতো। ফিল্ডার একজনও
ওপরে
ছিল
না। সবাই
বাইরে
ছিল। ওই
বলটাই
এক
হয়ে
গেলে
হয়তো
আমরা
ভালো
পজিশনে
থাকতাম। তখন
থেকে
এক
হয়ে
গেলে
আমাদের
দুই
বলে
এক
রান
লাগত। ওই
অবস্থানে ওই
সব
চিন্তা
করলেই
ভালো
হতো। আমরা
তা
করতে
পারিনি।’ মাশরাফির এ
কথা
কি
বোঝা
যায়
না
পরোক্ষভাবে হলেও
তিনি
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর
দায়িত্ববোধ নিয়ে
প্রশ্ন
তুলেছেন। মাশরাফির মতে
মাত্র
তিন
বল
খেলে
ভারত
ম্যাচ
জিতে
নিয়েছে। যা
ছিল
খেলার
শেষ
তিন
বল। তিনি
বলেন,
‘আমার
মনে
হয়
শেষ
৩
বল
বাদ
দিলে
পুরো
ম্যাচ
আমরা
অসাধারণ খেলেছি। জেতার
জন্য
যতটুকু
দরকার
ছিল
আমরা
ঠিক
ততটুকু
করেছি। হয়তোবা
ওদের
দুই
ওভার
আমাদের
ম্যাচ
থেকে
দূরে
নিয়ে
গিয়েছিল। কিন্তু আমরা
আবার
ফিরে
এসেছি। প্রত্যেকটি বল
আমরা
ঠিকমত
খেলতে
পেরেছি। আমি
মনে
করি
ওভারঅল
ওই
তিনটি
বল
বাদ
দিলে
ম্যাচ
জিততে
হলে
যতটুকু
করা
দরকার
ততটুকু
আমরা
ঠিক
মতোই
করেছি।’ তিনি
মনে
করেন
অস্ট্রেলিয়ার পর
ভারতের
কাছে
যেভাবে
বাংলাদেশ হেরেছে
তাতে
করে
পেছনের
দুঃসময়
ফেলে
আসা
সম্ভব
হয়েছে। তিনি
বলেন,
‘আমাদের
অবশ্যই
ফিরে
আসতে
হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট তো
এখানেই
থেমে
যেতে
পারে
না। আমাদের
এ
অবস্থা
থেকে
এগিয়ে
যেতে
হবে। ব্যাটিং অর্ডারে মিঠুনকে ওপরে
নিয়ে
আসা
নিজে
পাঁচে
উঠে
আসা
সবই
ছিল
জয়ের
জন্য।’
Info:
http://www.manobkantha.com
No comments:
Post a Comment