আজ সকালে যখন দিল্লির বিমানে উড়াল দিয়েছেন মাশরাফিরা, বেশ কয়েক দিনের রসদের
সঙ্গে কি আত্মবিশ্বাসের অদৃশ্য জ্বালানিও বোঝাই করে নেননি? এশিয়া কাপ থেকে
প্রাপ্তির নির্যাসটুকু নিশ্চয়ই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পাথেয়
হয়ে থাকবে!
দেড় মাস আগে এরকম কিছু হবে, সেটা হয়তো অনেকেই ভাবেননি। দল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ওপর তখন বয়ে যাচ্ছে ঝড়। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের ভাষাটা তখনো বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ, এরকম একটা ধারণা যেন বদ্ধমূলই হয়ে যাচ্ছিল।
সেই ভাষাটা মাশরাফির দল এখন একটু হলেও বুঝে ফেলেছে, সেটা নিয়ে দ্বিমত করার এখন সুযোগ কমই। শুধু পরিসংখ্যানই সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে। এবারের এশিয়া কাপেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানকে। আরব আমিরাতের সঙ্গে জয় মিলে হয়ে গেছে ‘হ্যাটট্রিক’। টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন ম্যাচে জয় এর আগে বাংলাদেশ একবারই পেয়েছিল। সেটির সবগুলো আবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই, ২০১২ সালে বেলফাস্টে। এই ‘হ্যাটট্রিকের’ সঙ্গে সেই ‘হ্যাটট্রিক’ তো কোনোভাবেই মেলানো যাবে না! ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা ১২টি টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল বাংলাদেশ, সেটাও তো এখন সুদূরে মিলিয়ে যাওয়া কোনো স্মৃতি বলে মনে হচ্ছে!
জয়ের হিসেব বাদ দিলে ব্যক্তিগত অর্জনেও এই এশিয়া কাপটা বাংলাদেশের কপালে বড় একটা গৌরবতিলক পরিয়ে দিয়েছে। টুর্নামেন্টের চূড়ান্তপর্বে সবচেয়ে বেশি রান ও সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়ে শীর্ষে জ্বলজ্বল করছে বাংলাদেশের দুজনের নাম। ১১ উইকেট নিয়ে আল আমিন বোলারদের মধ্যে সেরা, ৮ উইকেট নিয়ে আমিরাতের আমজাদ জাভেদ তো পিছিয়ে অনেকটাই। ব্যাটিংয়ে সেই দুরন্ত সাহসের না সাব্বির রহমান। ৫ ম্যাচে ১৭৬ রান করে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।
কিন্তু সব অর্জন কি আর পরিসংখ্যানে লেখা থাকে? মাহমুদউল্লাহর কথাই ধরুন। পরিসংখ্যান বলছে অন্তত ৫০ রান করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট তাঁরই। অথচ যেটা বলছে না, এক সময় ‘ছোট’ বিশ্বকাপে ‘অচ্ছুৎ’ মাহমুদউল্লাহর ব্যাট কীভাবে ২০ ওভারে হয়ে উঠেছে এমন খাপখোলা তলোয়ার। বাটিং অর্ডারে সাতে নেমে গিয়েও মাহমুদউল্লাহর এমন চওড়া ব্যাটই তো এশিয়া কাপে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের আদর্শ বিজ্ঞাপন।
পাকিস্তানকে হারানোর পর ভূপাতিত মাহমুদউল্লাহর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সাব্বিররা— টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ওই স্মৃতিটা বারবার ফিরে আসুক না!
দেড় মাস আগে এরকম কিছু হবে, সেটা হয়তো অনেকেই ভাবেননি। দল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ওপর তখন বয়ে যাচ্ছে ঝড়। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের ভাষাটা তখনো বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ, এরকম একটা ধারণা যেন বদ্ধমূলই হয়ে যাচ্ছিল।
সেই ভাষাটা মাশরাফির দল এখন একটু হলেও বুঝে ফেলেছে, সেটা নিয়ে দ্বিমত করার এখন সুযোগ কমই। শুধু পরিসংখ্যানই সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে। এবারের এশিয়া কাপেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানকে। আরব আমিরাতের সঙ্গে জয় মিলে হয়ে গেছে ‘হ্যাটট্রিক’। টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন ম্যাচে জয় এর আগে বাংলাদেশ একবারই পেয়েছিল। সেটির সবগুলো আবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই, ২০১২ সালে বেলফাস্টে। এই ‘হ্যাটট্রিকের’ সঙ্গে সেই ‘হ্যাটট্রিক’ তো কোনোভাবেই মেলানো যাবে না! ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা ১২টি টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল বাংলাদেশ, সেটাও তো এখন সুদূরে মিলিয়ে যাওয়া কোনো স্মৃতি বলে মনে হচ্ছে!
জয়ের হিসেব বাদ দিলে ব্যক্তিগত অর্জনেও এই এশিয়া কাপটা বাংলাদেশের কপালে বড় একটা গৌরবতিলক পরিয়ে দিয়েছে। টুর্নামেন্টের চূড়ান্তপর্বে সবচেয়ে বেশি রান ও সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়ে শীর্ষে জ্বলজ্বল করছে বাংলাদেশের দুজনের নাম। ১১ উইকেট নিয়ে আল আমিন বোলারদের মধ্যে সেরা, ৮ উইকেট নিয়ে আমিরাতের আমজাদ জাভেদ তো পিছিয়ে অনেকটাই। ব্যাটিংয়ে সেই দুরন্ত সাহসের না সাব্বির রহমান। ৫ ম্যাচে ১৭৬ রান করে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে।
কিন্তু সব অর্জন কি আর পরিসংখ্যানে লেখা থাকে? মাহমুদউল্লাহর কথাই ধরুন। পরিসংখ্যান বলছে অন্তত ৫০ রান করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট তাঁরই। অথচ যেটা বলছে না, এক সময় ‘ছোট’ বিশ্বকাপে ‘অচ্ছুৎ’ মাহমুদউল্লাহর ব্যাট কীভাবে ২০ ওভারে হয়ে উঠেছে এমন খাপখোলা তলোয়ার। বাটিং অর্ডারে সাতে নেমে গিয়েও মাহমুদউল্লাহর এমন চওড়া ব্যাটই তো এশিয়া কাপে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের আদর্শ বিজ্ঞাপন।
পাকিস্তানকে হারানোর পর ভূপাতিত মাহমুদউল্লাহর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সাব্বিররা— টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ওই স্মৃতিটা বারবার ফিরে আসুক না!
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article
No comments:
Post a Comment