ওয়াকার ইউনিসের সংবাদ সম্মেলনে এসে চুপ করে একটা চেয়ারে বসে পড়লেন ডিন জোন্স। ধারাভাষ্য দেওয়ার পাশাপাশি কলাম-টলামও লেখেন। ভেবেছিলাম, সেটির রসদ জোগাড় করতেই সাংবাদিকের ভূমিকায়। ভুল ভাঙল কথা বলতে গিয়ে। ডিন জোন্স সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা শুনবেন বলে। তাঁর ম্যান অব দ্য ম্যাচ যে বাংলাদেশ-অধিনায়কই!
কারণ, নিশ্চয়ই বোলিং নয়। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে মাত্র ১টি উইকেট। সাকিব আল হাসান ছাড়া বাংলাদেশের বাকি সব বোলারের পারফরম্যান্সই তাঁর চেয়ে ভালো। তাহলে কি শেষে নেমে ৭ বলে ১২ রানের ইনিংসের জন্য? মোহাম্মদ আমিরের বলে সাকিবের স্টাম্পে লাল বাতি জ্বলে যাওয়াটা শুধু বোল্ডই নয়, বিপৎসংকেতও বোঝাচ্ছিল। জিততে হলে ১৬ বলে চাই ২৬ রান। বাংলাদেশের স্বপ্নেরও কি তাহলে লাল বাতি জ্বলে গেল?
তা বিপদতাড়ানিয়া হয়ে মাশরাফি আছেন না! নেমেই আমিরের বলে পরপর দুটি চার। ম্যাচটার রং বদলে ‘লাল’ থেকে ‘সবুজ’ হয়ে গেল মুহূর্তেই। সেটিই কি এমন মনে ধরল ‘ডিনো’ নামে পরিচিত সাবেক অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের? নিজের সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা দু-তিনজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে অবধারিত ছিল তাঁর নাম। বিশ্বকাপ জিতেছেন। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটকে দিয়েছেন নতুন মাত্রা। সেই ডিন জোন্স বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন। এতটাই যে, বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠাটা তাঁর কাছে একদমই বিস্ময় বলে মনে হচ্ছে না।
কেন মনে হবে না? ওয়ানডেতে না হয় বাংলাদেশ অনেক দিনই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি এলেই তো সেই দলের গোলকধাঁধায় ঘুরপাক। এই এশিয়া কাপের আগে বড় দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয়ই মাত্র তিনটি। সেগুলোর একেকটিও প্রায় এক ‘আলোকবর্ষ’ পরপর! বড় দলের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে জয় তো দূরের কথা, সেটি কল্পনা করতেও যেন ভয় ছিল।
ডিন জোন্সকে তাই পাল্টা প্রশ্ন করলাম—শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানকে বিদায় করে দিয়ে বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠাটা কেন আপনার কাছে বিস্ময় বলে মনে হচ্ছে না? জবাবে রীতিমতো একটা কড়কানিই খেলাম, ‘আরে, তোমাদের দলের ওপর দেখি তোমাদেরই বিশ্বাস নেই!’
এরপরই একটা হাসি দিয়ে বললেন, ‘তোমাদের কী দোষ! বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মনেও আসলে এই বিশ্বাসটা ছিল না। ওরা জানত না, ওরা কতটা ভালো। গত কিছুদিনের সাফল্য এই বিশ্বাসটা এনেছে। ওদের মাইন্ডসেটটাই বদলে গেছে। ওটাই কিন্তু মাঠের খেলায় পার্থক্য গড়ে দেয়।’
এই ‘মাইন্ডসেট’ বদলে যাওয়ায় অধিনায়কের তো বটেই, ডিনো বড় অবদান দেখছেন বাংলাদেশের কোচিং স্টাফেরও, ‘কোচরা দুর্দান্ত কাজ করেছে। মাঠে খেলোয়াড়দের দেখেই বোঝা গেছে, ওরা প্রত্যেকে পরিষ্কার জানে কার কী ভূমিকা।’
ফাইনালে কী হবে—এই প্রশ্নটা করতে যাব, তার আগে ডিন জোন্স নিজে থেকেই বললেন, ‘আমি তো বাংলাদেশের খেলা দারুণ এনজয় করছি। ওরা জিতছে, এ কারণে নয়। ওরা রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলছে।’
তা বিপদতাড়ানিয়া হয়ে মাশরাফি আছেন না! নেমেই আমিরের বলে পরপর দুটি চার। ম্যাচটার রং বদলে ‘লাল’ থেকে ‘সবুজ’ হয়ে গেল মুহূর্তেই। সেটিই কি এমন মনে ধরল ‘ডিনো’ নামে পরিচিত সাবেক অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের? নিজের সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা দু-তিনজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে অবধারিত ছিল তাঁর নাম। বিশ্বকাপ জিতেছেন। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটকে দিয়েছেন নতুন মাত্রা। সেই ডিন জোন্স বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন। এতটাই যে, বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠাটা তাঁর কাছে একদমই বিস্ময় বলে মনে হচ্ছে না।
কেন মনে হবে না? ওয়ানডেতে না হয় বাংলাদেশ অনেক দিনই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি এলেই তো সেই দলের গোলকধাঁধায় ঘুরপাক। এই এশিয়া কাপের আগে বড় দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয়ই মাত্র তিনটি। সেগুলোর একেকটিও প্রায় এক ‘আলোকবর্ষ’ পরপর! বড় দলের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে জয় তো দূরের কথা, সেটি কল্পনা করতেও যেন ভয় ছিল।
ডিন জোন্সকে তাই পাল্টা প্রশ্ন করলাম—শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানকে বিদায় করে দিয়ে বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠাটা কেন আপনার কাছে বিস্ময় বলে মনে হচ্ছে না? জবাবে রীতিমতো একটা কড়কানিই খেলাম, ‘আরে, তোমাদের দলের ওপর দেখি তোমাদেরই বিশ্বাস নেই!’
এরপরই একটা হাসি দিয়ে বললেন, ‘তোমাদের কী দোষ! বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মনেও আসলে এই বিশ্বাসটা ছিল না। ওরা জানত না, ওরা কতটা ভালো। গত কিছুদিনের সাফল্য এই বিশ্বাসটা এনেছে। ওদের মাইন্ডসেটটাই বদলে গেছে। ওটাই কিন্তু মাঠের খেলায় পার্থক্য গড়ে দেয়।’
এই ‘মাইন্ডসেট’ বদলে যাওয়ায় অধিনায়কের তো বটেই, ডিনো বড় অবদান দেখছেন বাংলাদেশের কোচিং স্টাফেরও, ‘কোচরা দুর্দান্ত কাজ করেছে। মাঠে খেলোয়াড়দের দেখেই বোঝা গেছে, ওরা প্রত্যেকে পরিষ্কার জানে কার কী ভূমিকা।’
ফাইনালে কী হবে—এই প্রশ্নটা করতে যাব, তার আগে ডিন জোন্স নিজে থেকেই বললেন, ‘আমি তো বাংলাদেশের খেলা দারুণ এনজয় করছি। ওরা জিতছে, এ কারণে নয়। ওরা রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলছে।’
Info: http://www.prothom-alo.com
No comments:
Post a Comment