Pages

Sunday, December 27, 2015

তাজহাট জমিদার বাড়ি রংপুর

রংপুর তথা উত্তর জনপদের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র তাজহাট রাজবাড়ী বা রংপুর জাদুঘর। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ঐতিহ্যমন্ডিত এই স্থানটিকে।এর ফলে রংপুর জাদুঘর ফিরে পেয়েছে তার হারানো ঐতিহ্য। জমিদার বাড়ি জাদুঘর দেখতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত পুরো এলাকা। দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ের ফলে আয়ও বেড়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের। দর্শনার্থীদের পদচারণায় সবসময় মুখরিত থাকে জমিদারবাড়ি।


রংপুরের মাহিগঞ্জ তাজহাট এলাকায় প্রজা হিতৈষী জমিদার গোবিন্দ লাল রায়ের পুত্র গোপাল লাল রায়ের বাড়িটি প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের এক অপূর্ব নিদর্শন। ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই বাড়িটি নির্মাণ করা হয় ১৯০৮ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে। ১৯৪৭ সালে জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন ৫৫ একর জমিসহ মুল ভবনটিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সরকার জমিদার বাড়িতে স্থাপন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রংপুর বেঞ্চ। ১৯৯২ সালে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রত্যাহার করার পর ১৯৯৫ সালে জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে ন্যস্ত করা হয়। ২০০৫ সালের ২০ মার্চ রংপুর জাদুঘর স্থানান্তর করা হয় তাজহাট জমিদার বাড়িতে।সে সময় রংপুর জাদুঘর এলাকায় আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হলেও আজও সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি। তাজহাট জমিদার বাড়িটি রংপুর জাদুঘর থেকে প্রায় মাইল পূর্ব  দক্ষিনে কোণে বর্তমান কৃষি ইনস্টিটিউট পাশে সবুজ গাছপালা পরিবেষ্টিত আর্কষর্ণীয় পরিবেশে অবস্থিত জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে সমসাময়িককালে খননকৃত বিশাল আকৃতির ৪টি পুকুর। বর্তমান তাজহাটে বাজার হতে উত্তর দিক দিয়ে প্রধান ফটক অতিক্রম কওে ক্রমান্বয়ে পশ্চিমে  কয়েকশগজ পেরিয়ে জমিদার বাড়ির প্রধান প্রবে পথে আসা যায় তাজহাট জমিদার মূলতঃ গোবিন্দ লালের পুত্র গোপাল লাল(জি.এল.রায়) এর সাথে সর্ম্পকযুক্ত যা স্থানীয়ভাবে তাজহাট জমিদার নামে পরিচিত।এ বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মান্নানলাল রায়।তিনি  সুদূর পাঞ্চাব হতে রংপুরের বিশিষ্ট সমৃদ্ধ স্থান মাহিগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসা করার জন্য এসেছিলেন প্রাচীন রঙ্গপুরের ইতিহাস  পুস্তকথেকে জানা যায় যে, মান্নালাল রায় রঙ্গপুরের মাহিগঞ্জে এসেছিলেন হীরা, জহরত স্বর্ণ ব্যবসার জন্য। প্রথমে তিনি নানা ধরণের নামী দামী হীরা, মানিক জহরতখচিত তাজ বা টুপির ব্যবসা করেছিলেন উক্ত তাজ বিক্রির  লক্ষে এখানে হাস বসে যা পরবর্তীতে বিরাট প্রসিদ্ধি লাভ করে এবং তাজহাটকে কেন্দ্র করে এই জমিদারবাড়ীর নামকরণ করা হয় তাজহাট জমিদার বাড়ি তাজহাট জমিদার বাড়িটির প্রধান প্রকোষ্ঠটির পরিমাপ উত্তর  দক্ষিনে -০র্ লম্বা এবং উত্তর দক্ষিনে প্রকোষ্ঠটির পূর্ব পশ্চিমের অংশের পরিমাপ ১২৩র্-০র্*১২০র্-০র্লম্বা। দ্বিতীয় তলায় ওঠার জন্য তিনটি অভিগমন পথ রয়েছে তন্মধ্যে মধ্যের অভিগমন পথটি অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত। সবকটি অভিগমন পথের প্রতিটি ধাপ সুন্দরমসৃণ সাদা ছাই রংয়ের পাথর দ্বারা মোড়ানো। বারান্দাটির সম্পূর্ণ মেঝে  অনুরূপ পাথরে মোড়ানো প্রথম তলার ছাদ নির্মাণে বড় বড় লোহার বীম লোহার ফালি ব্যবহার করা হয়েছেপ্রধান এক তলার বা গ্রাউন্ড ফ্লোরের অংশটিতে ৪টি কক্ষ দেখা যায় এবং এতে সর্বমোট ১১ জোড়া কপাট বিশিষ্ট  দরজা দেখা যায় যা প্রাসাদেও প্রকোষ্ঠগুলোতেও অনুরূপবাবে পূর্বেও অংশে ৭টি প্রবেশ দ্বারা সমন্বিত ৩টি বড় বড় কক্ষ  এবং পশ্চিম অংশে জোড়া কপাট বিশিষ্ট দরজাসহ বিরাট হলরম্নম রয়েছে অংশের প্রায় মধ্যভাগে একটি প্রবেশ বর্হিপথ রয়েছে
প্রধান ইমারতের উত্তর অংশের মাঝামাঝি ২য় তলায় ওঠানামার জন্য সুন্দর কাঠের তৈরি ২২টি ধাপ বিশিষ্ট সিঁড়ি দেখা যায় এবং দক্ষিনের প্রাসাদেও প্রকোষ্ঠটিতেও ২য় তলায় ওঠানামার জন্য লৌহ নির্মিত নকশাকৃত ঝুলন্ত সমজবুত সিঁড়ি রয়েছে সিঁড়িগুলোর রেলিং সুন্দর লৌহ নির্মিত ফুলগাছের মতো দেখা যায় সম্মুখস্থ প্রধান প্রাসাদটির ২য় তলায় ওঠানামার জন্য একটি বিরাট গ্যালারির মতো সিঁড়ি রয়েছে সিঁড়িটিকে তিনটি স্তরে বিভক্ত দেখা যায়। প্রথম স্তরে ১টি ধাপ বিরাজমান, ২য় সত্মরে ওঠার সময় একটু সমান অবস্থান নেমে আবার ১৪টি ধাপ অতিক্রম করে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন  আয়তাকার প্লাটফরমে ওঠা যায়, যা দ্বিতীয় তলার ছাদের সাথে সম্পৃক্ত ,যাকে ৩য় স্তর হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে বৃহদাকার সিঁড়িটির পরিমাপ দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৬র্-০র্প্রস্থ ৩৩র্-০র্ এবং প্রশস্ত উপরের দিকে ৪৯র্-০র্  এবং ক্রমান্বয়ে পরিমাপ কমিয়ে তা ৩৩র্-০র্ পর্যন্ত  প্রশস্তরাখা হয়েছে সিঁড়িটি ভূমি থেকে দ্বিতীয় ভবনের ছাদ পর্যন্তসম্পূর্ণ অংশ সুন্দর মসৃন সাদা - কালো পাথরে মোড়ানো  এবং সম্পূর্ণ  অক্ষতঅবস্থায় রয়েছে
তাজহাট রাজবাড়ীবাতাজহাট জমিদারবাড়ীবাংলাদেশের রংপুর শহরের অদূরেতাজহাটে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ যা এখন একটিজাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রংপুরের পর্যটকদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান।রাজবাড়ীটি রংপুর শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।


- See more at: http://www.dhakatimes24.com/2014/10/01/38874#sthash.OZ3HxsMT.dpuf
রংপুর তথা উত্তর জনপদের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র তাজহাট রাজবাড়ী বা রংপুর জাদুঘর। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ঐতিহ্যমন্ডিত এই স্থানটিকে।এর ফলে রংপুর জাদুঘর ফিরে পেয়েছে তার হারানো ঐতিহ্য। জমিদার বাড়ি ও জাদুঘর দেখতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত পুরো এলাকা। দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ের ফলে আয়ও বেড়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের। দর্শনার্থীদের পদচারণায় সবসময় মুখরিত থাকে জমিদারবাড়ি।

রংপুরের মাহিগঞ্জ তাজহাট এলাকায় প্রজা হিতৈষী জমিদার গোবিন্দ লাল রায়ের পুত্র গোপাল লাল রায়ের বাড়িটি প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের এক অপূর্ব নিদর্শন। ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই বাড়িটি নির্মাণ করা হয় ১৯০৮ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে। ১৯৪৭ সালে জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন ৫৫ একর জমিসহ মুল ভবনটিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সরকার জমিদার বাড়িতে স্থাপন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রংপুর বেঞ্চ। ১৯৯২ সালে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রত্যাহার করার পর ১৯৯৫ সালে জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে ন্যস্ত করা হয়। ২০০৫ সালের ২০ মার্চ রংপুর জাদুঘর স্থানান্তর করা হয় তাজহাট জমিদার বাড়িতে।সে সময় রংপুর জাদুঘর এলাকায় আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হলেও আজও সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি।
- See more at: http://www.dhakatimes24.com/2014/10/01/38874#sthash.OZ3HxsMT.dpuf

No comments:

Post a Comment