বাংলার
এক রুপময় খন্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম। স্রষ্টার আপনমনে অপরুপ সাজে সৃষ্ট
পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ঢেউ খেলানো সৌন্দর্য্য, পাহাড়ি ঝর্ণারাজি দেশ-বিদেশের
অনেক আকর্ষণীয় স্থানকেও সহজে হারমানাতে পারে। খাগড়াছড়ি জেলার চারদিক
ঢেউতোলা সবুজের উঁচু পাহাড়ের দেয়াল। মাঝে মাঝে ব্যস্ত ছোট ছোট শহর ও শহরের
প্রবেশ পথের দু’পাশে সবুজের বাঁকে-বাঁকে উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা কৃষ্ণকালো
সর্পিল রাস্তা। অনেক পর্যটকই খাগড়াছড়ি শহরটিকে ছবিতে দেখা নেপালের
কাটমুন্ডু শহরের সাথে তুলনা করেন। পাহাড়ের প্রকৃতি প্রতি ঋতুতেই রং বদলায়।
বর্ষা এলেতো কথাই নেই। সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতে বসে রঙের মেলা।
পাহাড়ঘেরা চাঁদনী রাতের দৃশ্যপট ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। এই পাহাড় চূঁড়ায় বসে
দূর পাহাড়ের বুক চিরে সকালের মিষ্টি সূর্যোদয়, সন্ধ্যায় সব আলোকে ম্লান
করে সূর্যাস্তের দৃশ্য সত্যিই অপরূপ। নীল আকাশের সাদা মেঘ, সবুজ পাহাড়ের
বাঁকে-বাঁকে মেঘের ভেলা, চেঙ্গী নদীর লাল মাটির ঘোলা পানির টানে নিজেকে
হারিয়ে ফেলতে কোন দ্বিধা থাকেনা। এখানকার গাঢ় সবুজ পাহাড়, কলকলে বয়ে যাওয়া
নদী, দূরে ঝিরঝির ঝর্ণা, ওপরে নীল আকাশ, মাঝে মাঝে সাদা মেঘ, বর্ষায়
বৃষ্টির রিমিঝিমি শব্দ, রাতের আকাশে চন্দ্র-তারা ও দিনের আলোয় লাল সূর্য
মিলেমিশে একাকার। রাতের পাহাড়ে ঝিঁঝিঁ পোঁকা, গোবরে পোঁকা, হরেক রকম
ব্যাঙের ডাক আপনাকে নিয়ে যাবে অন্যরকম এক ভৌতিক জগতে। একটু বেখেয়ালি হলে
নাম জানা না জানা পোঁকা, মাকড়ঁসা, কোথাও বন্য প্রাণীর হাঁক-ডাকে কখন যে
ঘুমিয়ে পড়বেন তা বুঝতেই পারবেন না। প্রভাতে পাহাড়ি পাখ-পাখালির কুঞ্জনে
আপনার ঘুম ভাঙবে। প্রকৃতির টানে হাজারো কপোত-কপোতি প্রতিদিন এখানে ভীড়
জমায়। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে অগণিত পর্যটক। - See more at:
http://www.ramunews.com/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B/#sthash.waxgk1yv.dpuf
বাংলার
এক রুপময় খন্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম। স্রষ্টার আপনমনে অপরুপ সাজে সৃষ্ট
পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ঢেউ খেলানো সৌন্দর্য্য, পাহাড়ি ঝর্ণারাজি দেশ-বিদেশের
অনেক আকর্ষণীয় স্থানকেও সহজে হারমানাতে পারে। খাগড়াছড়ি জেলার চারদিক
ঢেউতোলা সবুজের উঁচু পাহাড়ের দেয়াল। মাঝে মাঝে ব্যস্ত ছোট ছোট শহর ও শহরের
প্রবেশ পথের দু’পাশে সবুজের বাঁকে-বাঁকে উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা কৃষ্ণকালো
সর্পিল রাস্তা। অনেক পর্যটকই খাগড়াছড়ি শহরটিকে ছবিতে দেখা নেপালের
কাটমুন্ডু শহরের সাথে তুলনা করেন। পাহাড়ের প্রকৃতি প্রতি ঋতুতেই রং বদলায়।
বর্ষা এলেতো কথাই নেই। সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতে বসে রঙের মেলা।
পাহাড়ঘেরা চাঁদনী রাতের দৃশ্যপট ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। এই পাহাড় চূঁড়ায় বসে
দূর পাহাড়ের বুক চিরে সকালের মিষ্টি সূর্যোদয়, সন্ধ্যায় সব আলোকে ম্লান
করে সূর্যাস্তের দৃশ্য সত্যিই অপরূপ। নীল আকাশের সাদা মেঘ, সবুজ পাহাড়ের
বাঁকে-বাঁকে মেঘের ভেলা, চেঙ্গী নদীর লাল মাটির ঘোলা পানির টানে নিজেকে
হারিয়ে ফেলতে কোন দ্বিধা থাকেনা। এখানকার গাঢ় সবুজ পাহাড়, কলকলে বয়ে যাওয়া
নদী, দূরে ঝিরঝির ঝর্ণা, ওপরে নীল আকাশ, মাঝে মাঝে সাদা মেঘ, বর্ষায়
বৃষ্টির রিমিঝিমি শব্দ, রাতের আকাশে চন্দ্র-তারা ও দিনের আলোয় লাল সূর্য
মিলেমিশে একাকার। রাতের পাহাড়ে ঝিঁঝিঁ পোঁকা, গোবরে পোঁকা, হরেক রকম
ব্যাঙের ডাক আপনাকে নিয়ে যাবে অন্যরকম এক ভৌতিক জগতে। একটু বেখেয়ালি হলে
নাম জানা না জানা পোঁকা, মাকড়ঁসা, কোথাও বন্য প্রাণীর হাঁক-ডাকে কখন যে
ঘুমিয়ে পড়বেন তা বুঝতেই পারবেন না। প্রভাতে পাহাড়ি পাখ-পাখালির কুঞ্জনে
আপনার ঘুম ভাঙবে। প্রকৃতির টানে হাজারো কপোত-কপোতি প্রতিদিন এখানে ভীড়
জমায়। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে অগণিত পর্যটক। - See more at:
http://www.ramunews.com/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B/#sthash.waxgk1yv.dpuf
বাংলার
এক রুপময় খন্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম। স্রষ্টার আপনমনে অপরুপ সাজে সৃষ্ট
পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ঢেউ খেলানো সৌন্দর্য্য, পাহাড়ি ঝর্ণারাজি দেশ-বিদেশের
অনেক আকর্ষণীয় স্থানকেও সহজে হারমানাতে পারে। খাগড়াছড়ি জেলার চারদিক
ঢেউতোলা সবুজের উঁচু পাহাড়ের দেয়াল। মাঝে মাঝে ব্যস্ত ছোট ছোট শহর ও শহরের
প্রবেশ পথের দু’পাশে সবুজের বাঁকে-বাঁকে উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা কৃষ্ণকালো
সর্পিল রাস্তা। অনেক পর্যটকই খাগড়াছড়ি শহরটিকে ছবিতে দেখা নেপালের
কাটমুন্ডু শহরের সাথে তুলনা করেন। পাহাড়ের প্রকৃতি প্রতি ঋতুতেই রং বদলায়।
বর্ষা এলেতো কথাই নেই। সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতে বসে রঙের মেলা।
পাহাড়ঘেরা চাঁদনী রাতের দৃশ্যপট ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। এই পাহাড় চূঁড়ায় বসে
দূর পাহাড়ের বুক চিরে সকালের মিষ্টি সূর্যোদয়, সন্ধ্যায় সব আলোকে ম্লান
করে সূর্যাস্তের দৃশ্য সত্যিই অপরূপ। নীল আকাশের সাদা মেঘ, সবুজ পাহাড়ের
বাঁকে-বাঁকে মেঘের ভেলা, চেঙ্গী নদীর লাল মাটির ঘোলা পানির টানে নিজেকে
হারিয়ে ফেলতে কোন দ্বিধা থাকেনা। এখানকার গাঢ় সবুজ পাহাড়, কলকলে বয়ে যাওয়া
নদী, দূরে ঝিরঝির ঝর্ণা, ওপরে নীল আকাশ, মাঝে মাঝে সাদা মেঘ, বর্ষায়
বৃষ্টির রিমিঝিমি শব্দ, রাতের আকাশে চন্দ্র-তারা ও দিনের আলোয় লাল সূর্য
মিলেমিশে একাকার। রাতের পাহাড়ে ঝিঁঝিঁ পোঁকা, গোবরে পোঁকা, হরেক রকম
ব্যাঙের ডাক আপনাকে নিয়ে যাবে অন্যরকম এক ভৌতিক জগতে। একটু বেখেয়ালি হলে
নাম জানা না জানা পোঁকা, মাকড়ঁসা, কোথাও বন্য প্রাণীর হাঁক-ডাকে কখন যে
ঘুমিয়ে পড়বেন তা বুঝতেই পারবেন না। প্রভাতে পাহাড়ি পাখ-পাখালির কুঞ্জনে
আপনার ঘুম ভাঙবে। প্রকৃতির টানে হাজারো কপোত-কপোতি প্রতিদিন এখানে ভীড়
জমায়। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে অগণিত পর্যটক। - See more at:
http://www.ramunews.com/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B/#sthash.waxgk1yv.dpuf
বাংলার এক রুপময়
খন্ড পার্বত্য
চট্টগ্রাম। স্রষ্টার আপনমনে অপরুপ সাজে
সৃষ্ট পাহাড়ের
ভাঁজে ভাঁজে
ঢেউ খেলানো
সৌন্দর্য্য, পাহাড়ি ঝর্ণারাজি দেশ-বিদেশের
অনেক আকর্ষণীয়
স্থানকেও সহজে
হারমানাতে পারে। খাগড়াছড়ি জেলার চারদিক
ঢেউতোলা সবুজের
উঁচু পাহাড়ের
দেয়াল। মাঝে
মাঝে ব্যস্ত
ছোট ছোট
শহর ও
শহরের প্রবেশ
পথের দু’পাশে সবুজের
বাঁকে-বাঁকে
উঁচু-নিচু,
আঁকাবাঁকা কৃষ্ণকালো সর্পিল রাস্তা। অনেক
পর্যটকই খাগড়াছড়ি
শহরটিকে ছবিতে
দেখা নেপালের
কাটমুন্ডু শহরের সাথে তুলনা করেন।
পাহাড়ের প্রকৃতি
প্রতি ঋতুতেই
রং বদলায়।
বর্ষা এলেতো
কথাই নেই।
সকাল, দুপুর,
বিকেল, সন্ধ্যা
ও রাতে
বসে রঙের
মেলা। পাহাড়ঘেরা
চাঁদনী রাতের
দৃশ্যপট ভিন্নমাত্রা
এনে দেয়।
এই পাহাড়
চূঁড়ায় বসে
দূর পাহাড়ের
বুক চিরে
সকালের মিষ্টি
সূর্যোদয়, সন্ধ্যায় সব আলোকে ম্লান
করে সূর্যাস্তের
দৃশ্য সত্যিই
অপরূপ। নীল
আকাশের সাদা
মেঘ, সবুজ
পাহাড়ের বাঁকে-বাঁকে মেঘের
ভেলা, চেঙ্গী
নদীর লাল
মাটির ঘোলা
পানির টানে
নিজেকে হারিয়ে
ফেলতে কোন
দ্বিধা থাকেনা।
এখানকার গাঢ়
সবুজ পাহাড়,
কলকলে বয়ে
যাওয়া নদী,
দূরে ঝিরঝির
ঝর্ণা, ওপরে
নীল আকাশ,
মাঝে মাঝে
সাদা মেঘ,
বর্ষায় বৃষ্টির
রিমিঝিমি শব্দ,
রাতের আকাশে
চন্দ্র-তারা
ও দিনের
আলোয় লাল
সূর্য মিলেমিশে
একাকার। রাতের
পাহাড়ে ঝিঁঝিঁ
পোঁকা, গোবরে
পোঁকা, হরেক
রকম ব্যাঙের
ডাক আপনাকে
নিয়ে যাবে
অন্যরকম এক
ভৌতিক জগতে।
একটু বেখেয়ালি
হলে নাম
জানা না
জানা পোঁকা,
মাকড়ঁসা, কোথাও
বন্য প্রাণীর
হাঁক-ডাকে
কখন যে
ঘুমিয়ে পড়বেন
তা বুঝতেই
পারবেন না।
প্রভাতে পাহাড়ি
পাখ-পাখালির
কুঞ্জনে আপনার
ঘুম ভাঙবে।
প্রকৃতির টানে
হাজারো কপোত-কপোতি প্রতিদিন
এখানে ভীড়
জমায়। দূর
দূরান্ত থেকে
ছুটে আসে
অগণিত পর্যটক।
জীবনানন্দ দাশ তার কবিতায় সরাসরি এই ফুলটিকে নিয়ে এসেছিলেন - 'বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিল পায়।' বেহুলার পায়ে তিনি পড়িয়ে দিয়েছিলেন ভাট ফুলের নুপুর । রবীন্দ্রনাথ 'সে' গল্পে ঘণ্টাকর্ণ নামের এক অদ্ভুত জীব সৃষ্টি করেন। তার দুইটা কান হলো দুইটা ঘণ্টা, আর দুই লেজে দুইটা হাতুড়ি। লেজের ঝাপটা দিয়ে একবার এ কানে বাজায় ঢঙ, আবার ওকানে বাজায় ঢঙ। ঘণ্টাকর্ণ ফুলের পাপড়ি পাঁচটি, তাতে চার-পাঁচটি লম্বা কেশর আছে। বাতাসে সেগুলো ফুলের পাপড়িতে আছড়ে পড়ে। তবে ঢঙ ঢঙ আওয়াজ ওঠে না, কিন্তু সৌন্দর্যের বন্যা বইয়ে দেয়। হয়তো এ জন্যই ভাঁটফুলের নাম হয়েছে ঘণ্টাকর্ণ। হয়তো এ জন্যই ভাঁটফুলের নাম হয়েছে ঘণ্টাকর্ণ।
বুঝলাম কবি সাহিত্যিকতা এই ফুল থেকে যথেষ্ট রস আস্বাধন করেছেন। এছাড়াও এই ফুলের কিংবা গাছে কিছু ঔষধি গুন আছে। লেখক বিপ্রদাশ বড়ুয়া ভাট ফুলকে নিয়ে লিখতে গিয়ে বর্ননা করেছেন – ‘ ঘণ্টাকর্ণের বিয়ে হয়েছিল বসন্ত-বিষফোঁড়া রোগের দেবী শীতলার সঙ্গে। এই ঘণ্টাকর্ণ, ঘেঁটু বা ভাঁটে জ্বর, চর্মরোগ, বিছের হুল ফোটানোতে ওষুধের কাজ করে। আর কী আশ্চর্য আর বসন্তকালে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। এমনকি ম্যালেরিয়া জ্বরে, পাণ্ডু রোগে, অজীর্ণে এর রস ওষুধ। এ জন্য চৈত্রসংক্রান্তিতে ঘণ্টাকর্ণ বৃক্ষের আরাধনা করা হয় চর্মরোগ নিবারণের জন্য। এখনো গ্রামের মানুষ জ্বর হলে এর পাতার রস খেয়ে থাকে….. তা ছাড়া দুরারোগ্য রোগ, যেমন ক্রিমি, পুরনো শূল-বেদনা প্রভৃতিও দূর করতে ভাঁট একটি উৎকৃষ্ট ভেষজ….. শুধু বৈদ্যগণ নন, ইউনানি হেকিমেরাও এর ব্যবহার করেন’।
No comments:
Post a Comment