Pages

Wednesday, December 23, 2015

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি

জেলা অঞ্চলের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি ‘ও বউ ধান বানে রে ঢেঁকিতে পা দিয়া, ঢেঁকি নাচে বউ নাচে হেলিয়া দুলিয়া ,ও বউ ধান বানে রে’ গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী লোকজ গানটি আর তেমন শোনা যায় না।

চোখে পড়ে না আর ঢেঁকিতে পাড় দিতে দিতে গ্রামীন বউদের এই গান গাওয়ার দৃশ্য। কালের পরিবর্তনে গ্রাম-বাংলা থেকে এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন ঢেঁকির কদর গ্রাম-বাংলার কৃষকদের বাড়ি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। হাতে গোনা কিছু কৃষকদের বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি এখনও চোখে পড়ে। কিন্তু তাও জরাজীর্ণ হয়ে আছে। চলছে না এর কোন কার্যক্রম। 


ঢেঁকিতে চাল ছাটার গুনাবলির মধ্যে অনেক গুণ আছে। ঢেঁকিতে ছাটা চাল পুষ্টিতে ভরা থাকে। চালের উপর যে লাল আবরণ থাকে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। ঢেঁকিতে পাড় দিলে এক ধরনের কায়িক পরিশ্রম হয় যা স্বাস্থের‌্য জন্য ব্যয়ামের একটি অংশ এবং উপকারি।

তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গা গ্রামের মোসা. গোলভানু ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘তিনি এখনও এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি ধরে রেখেছেন। তিনি প্রায় ১২ বছর যাবৎ এই ঢেঁকিতে ধান, আঁটা ও চিড়া ভেঙে আসছেন।’

বর্তমানে গ্রামের দু-একটি কৃষকদের বাড়িতে হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি দেখা যায়। কিছু দিন পরে গ্রামের কৃষকদের বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আর দেখা যাবে না। কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে গ্রাম-বাংলার শত বছরের এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি। কালের আবর্তে গ্রাম-বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন ঢেঁকির কদর গ্রাম-বাংলার কৃষকদের বাড়ি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। হাতে গোনা কিছু কৃষকদের বাড়িতে এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি এখনও চোখে পড়ে।
বর্তমান সময়ে মানুষ ধান, চালের আঁটা ও চিড়া ভাঙানোর জন্য বৈদ্যুতিক মিলের ওপর নির্ভর করছেন। কেননা কম সময়ে ও কম খরচে তারা কাজ স¤পন্ন করতে পারছেন। তাই কৃষকরা ঢেঁকির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিচ্ছেন।
ঢেঁকি নিয়ে অনেক কবি, সাহিত্যিকরা যুগে যুগে অনেক কবিতাও লিখেছেন। তাই ঢেঁকির গুণ স¤পর্কে প্রবাদ বাক্য রচনা করেছেন গুণিজনেরা যে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান বানে।  বর্তমানে গ্রামের দু’একটি কৃষকদের বাড়িতে হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি দেখা যায়। আর কিছুদিন পরে গ্রামের কৃষকদের বাড়িতে ঢেঁকি আর দেখা যাবে না বলে আশঙ্কা অনেকেরই।
কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে গ্রাম-বাংলার শত বছরের এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি। এমন এক সময় আসবে যখন আগামী প্রজন্মের কাছে এই ঢেঁকি শুধুই কাল্পনিক জগতের এক কল্পকাহিনীর গল্প হিসেবে পরিচিতি হিসেবে ঠাঁই পাবে বলে অনেকের ধারণা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা গ্রামের রেহেনা বেগম (৪৮) বলেন, তিনি এখনও এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি ধরে রেখেছেন। প্রায় ১২ বছর যাবত এই ঢেঁকিতে ধান, আটা ও চিড়া ভেঙে আসছেন। এলাকার বিভিন্ন লোকেরা আটা ভেঙে নেয়ার জন্য তার কাছে আসে। তবে বৈদ্যুতিক মিল হওয়াতে লোকেরা আর আগের মতো তার কাছে আসে না।

No comments:

Post a Comment