আরও
জানা যায়, শ্রীনাথ রায় এই এলাকার বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে রাজ্য স্থাপন
করেন বলেই এর নামকরণ করা হয়েছে রায়েরকাঠি। পরবর্তীতে এই রায়েরকাঠির পাশ
ঘেষেই গড়ে উঠেছে পিরোজপুরের পার্শ্ববর্তী বর্তমানের শিকারপুর, কুমারখালী,
খলিশাখালী, নরখালী, ওদনকাঠী, খুমুরিয়া, মুক্তারকাঠি, আলামকাঠি ও পান্তাডুবি
গ্রাম।
রক্ষনাবেক্ষণের
অভাবে সবগুলো ভবনই এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। যুগের পর যুগ এভাবে অযত্ন
আর অবহেলায় ভবনগুলো পড়ে থাকলেও সরকার এর রক্ষনাবেক্ষন করছেন না। ফলে দিন
দিন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই রাজ বাড়িটি।
বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের অন্যতম পুরাকীর্তি ও ঐতিহাসিক স্থাপনা পিরোজপুরের রায়েরকাঠি রাজবাড়ি ও মন্দির। সপ্তদশ শতাব্দীর বাংলার ভাটিয়াল রাজা রুদ্র নারায়ণ রায় এ রাজবাড়িটি তৈরি
করেন। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাড়িটির ঐতিহ্য আর
ধ্বংস হচ্ছে সব প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন ।
পিরোজপুর জেলা শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার উত্তরে পৌর এলাকার
রায়েরকাঠিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই রাজবাড়িটি। শহর থেকে যেতে রায়েরকাঠির
পুলিশ লাইন পেরুলেই দেখা যায় হাতের ডানে রাজবাড়ির সুউচ্চ মঠগুলো।সাড়ে ৩শ’ বছরেরও বেশি পুরাতন ও অপূর্ব নির্মাণ শৈলীর এ প্রাসাদ ও মন্দির
প্রতিষ্ঠা করেন ভাটিয়াল রাজা রুদ্র নারায়ণ রায়। সে সময় ২০০ একর জমিতে
নির্মিত হয় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০টি ভবন।
কিন্তু চরম অবহেলা ও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় রায়েরকাঠির ঐতিহাসিক রাজবাড়ির মূল্যবান পুরাকীর্তি ধ্বংস হতে চলেছে।
রাজবাড়ি ও মন্দির
পিরোজপুর জেলা শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে পৌর এলাকার রায়েরকাঠিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই রাজবাড়ি।
শহর থেকে রায়েরকাঠির পুলিশ লাইন পেরিয়ে কিছুটা সামনে ১৬৬৮ সালে নির্মিত কালী মন্দির ও ১১টি মঠ। এরও প্রায় ১০০ গজ সামনে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি।
হোক বয়সে যতই পুরাতন, কি জীর্ণ, কি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। মুহূর্তকাল সুউচ্চ মঠ ও রাজবাড়ি দেখেই পর্যটকমাত্র মুগ্ধ হতে বাধ্য। অবচেতনে মনের পটে ভেসে উঠবে এ বাড়ির একসময়ের শৌর্য-বীর্যের রূপ।
প্রচারণা ও পর্যটন সুবিধা না থাকায় এ বাড়িটি দেখতে তেমন লোকের আনাগোনা না হলেও, প্রায় প্রতিদিনই কিছু লোক আসেন এটি দেখতে। ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন সপ্তদশ শতাব্দীর এ মনোরম নির্মাণ শৈলী।
ইট-সুঁড়কি দিয়ে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে রাজবাড়ির প্রাসাদ ও মঠগুলো। কালের বিবর্তনে প্রায় ধ্বংসের পথে মূল রাজবাড়ির অধিকাংশ ভবন। তবে কালের স্বাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সুউচ্চ ১১টি মঠ।
এরই একটি মঠে স্থাপন করা হয়েছে ২৫ মণ ওজনের বিশালাকার একটি শিবলিঙ্গ। কষ্টি পাথরের তৈরি এ মহামূল্যবান শিবলিঙ্গটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ বলে জনশ্রুতি আছে।
কিন্তু চরম অবহেলা ও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় রায়েরকাঠির ঐতিহাসিক রাজবাড়ির মূল্যবান পুরাকীর্তি ধ্বংস হতে চলেছে।
রাজবাড়ি ও মন্দির
পিরোজপুর জেলা শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে পৌর এলাকার রায়েরকাঠিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই রাজবাড়ি।
শহর থেকে রায়েরকাঠির পুলিশ লাইন পেরিয়ে কিছুটা সামনে ১৬৬৮ সালে নির্মিত কালী মন্দির ও ১১টি মঠ। এরও প্রায় ১০০ গজ সামনে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি।
হোক বয়সে যতই পুরাতন, কি জীর্ণ, কি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। মুহূর্তকাল সুউচ্চ মঠ ও রাজবাড়ি দেখেই পর্যটকমাত্র মুগ্ধ হতে বাধ্য। অবচেতনে মনের পটে ভেসে উঠবে এ বাড়ির একসময়ের শৌর্য-বীর্যের রূপ।
প্রচারণা ও পর্যটন সুবিধা না থাকায় এ বাড়িটি দেখতে তেমন লোকের আনাগোনা না হলেও, প্রায় প্রতিদিনই কিছু লোক আসেন এটি দেখতে। ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন সপ্তদশ শতাব্দীর এ মনোরম নির্মাণ শৈলী।
ইট-সুঁড়কি দিয়ে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে রাজবাড়ির প্রাসাদ ও মঠগুলো। কালের বিবর্তনে প্রায় ধ্বংসের পথে মূল রাজবাড়ির অধিকাংশ ভবন। তবে কালের স্বাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সুউচ্চ ১১টি মঠ।
এরই একটি মঠে স্থাপন করা হয়েছে ২৫ মণ ওজনের বিশালাকার একটি শিবলিঙ্গ। কষ্টি পাথরের তৈরি এ মহামূল্যবান শিবলিঙ্গটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ বলে জনশ্রুতি আছে।
এর ১০০ গজ সামনে এগুলেই রাস্তার বাম হাতে দেখা যাবে ধ্বংস প্রায়
ঐতিহ্যবাহী রাজ বাড়ির মূল এলাকা। অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মত হাজার
হাজার লোক এখানে বেড়াতে না আসলেও প্রতিদিন কিছু উৎসুক লোক এখানে বেড়াতে
আসেন। ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন সপ্তদশ শতাব্দীর শিল্পীদের নির্মাণ শৈলী।
ইট-সুঁড়কি দিয়ে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি এ জমিদার বাড়ির ভবন ও মঠগুলো।
কালের বিবর্তনে প্রায় ধ্বংসের পথে এই বাড়ির অধিকাংশ ভবনগুলো। আর কালের
সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে এখানকার সুউচ্চ মঠগুলো। সেগুলোও প্রায় ধ্বংসের
পথে।
এখানে রাজাদের স্মৃতি চিহ্ন রুপে মঠে সংরক্ষিত রয়েছে একমাত্র কষ্টি
পাথরের তৈরী মূল্যবান শিব লিঙ্গ। এদেশে রাজ প্রথা বিলুপ্তির পরে চালু হয়
জমিদারী প্রথা। আর রুদ্র নারায়ন রায়ের উত্তরসূরীরা রাজা থেকে পরিণত হন
জমিদারে। আর তাই কেউ একে রায়েরকাঠি রাজ বাড়ি কেইবা জমিদার বাড়ি নামে ডাকেন।
এখন সেই জমিদার কিংবা রাজা না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাড়িয়ে রয়েছে
তাদের আবাসস্থল ও মঠগুলো।
অন্যদিকে আকাশ চুম্বি মঠগুলো রাজবংশের ঐতিহ্য আর রাজকীয়তার নিদর্শন
হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনো। মঠগুলোকে মনে হয় যেন রাজাদেরই প্রতিনিধি। তবে
অযত্নে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে মঠগুলো হারিয়ে ফেলছে তাদের দাম্ভিকতা।
জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকেই অরক্ষিত রয়েছে সুউচ্চ ওই মঠগুলো।
জমিদার বাড়ির সামনে এক সময় বিশাল দিঘী থাকলেও তা ভরাট হয়ে এখন ছোট পুকুরে
পরিণত হয়েছে। কেউ দেখলে বুঝতেই পারবে না যে এটি এক সময়কার রাজ বাড়ির দিঘী।
রাজ বাড়িতে এখন আর নাচ ঘরের নৃত্য শোনা না গেলেও বাড়ির প্রধান ফটক,
বিচারালয়, মন্দির, কাচারীঘর, খাজাঞ্চিখানা, অন্ধকূপ ও সহমরণের স্মৃতি
চিহ্নগুলো এখনও এলাকাবাসীকে মনে করিয়ে দেয় প্রায় চারশত বছর পূর্বের শাসন
ব্যবস্থাকে। তবে পূর্বের সেই রাজবাড়ির এখন কোন শ্রী-ই নেই।
জানা গেছে, ১৬১৮ সালের দিকে দিকে শ্রীনাথ রায়ের পুত্র রুদ্রনারায়ন রায়
পিরোজপুর জেলার অধিকাংশ ভূ-ভাগ, খুলনা, যশোর, ও বাকেরগঞ্জের কিছু এলাকা
নিয়ে গড়ে তোলেন তার রাজ্য বর্তমানের রায়েরকাঠি। এখানেই স্থাপন করেন তার
রাজধানী।
মঠ প্রাঙ্গনে প্রতি বছর জাঁকজমকের সাথে শিব পূজা উদযাপিত হয়। জনশ্রুতি
রয়েছে মঠে সংরক্ষিত শিব লিঙ্গটি এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহৎ শিব লিঙ্গ।
এলাকার বিশিষ্টজনদের দাবী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ ঐতিহাসিক রাজবাড়ি ও মঠ
সংরক্ষণ করা। তাহলে একদিকে পিরোজপুরের এই ঐতিহাসিক স্থানটি ধ্বংসের হাত
থেকে যেমন রক্ষা পাবে অন্যদিকে রায়েরকাঠির রাজবাড়িটি দেশের মানুষের কাছে
একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হবে।
এই ঐতিহাসিক স্থানটি সংরক্ষনের ব্যাপারে রাজ বাড়ির উত্তরসূরী সাবেক
মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার বলেন গৌতম নারায়ন রায় ছৌধুরী বলেন, ” এই রাজবাড়ি ও
মঠ সংরক্ষণ করা খুবই ব্যয়বহুল। আর এই খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তবে আমরা বেশ কয়েকবার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে এগুলো সংরক্ষনের জন্য আবেদন
করেছেন। তারা তেমন কোন সাড়া দেননি।”
তথ্যসূত্র: http://www.atntimes.com/?p=14265
No comments:
Post a Comment