Pages

Saturday, December 5, 2015

নীলাচল থেকে নীলগিরি: বাংলাদেশের সৌন্দর্যে বিস্ময়



গত কয়েকদিনে বিডি নিউজ ২৪ এর ব্লগে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের কযেকটি দর্শনীয় স্থানের ছবি পোস্ট করার পর সম্মানিত ব্লগার পাঠক গনের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেযেছি। ব্লগে অনেকে বান্দরবান ভ্রমনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। ইচ্ছা ছিল বান্দরবানে দেখে আসা সৌন্দর্য এবং আমার মুগ্ধতার অনুভূতি পাঠকের সাথে শেয়ার করব। কিন্তু সম্মানিত পাঠক গনের কৌতুহল চাহিদা মেটাতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং উইকিপিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্যের সমন্বয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই পোস্টটি তৈরী করা হল। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে স্থানের উপর যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করার অভ্যাস আমার আছে। যারা বান্দরবান বেড়াতে যাবেন আশা করি তারাও এই পোস্ট থেকে উপকৃত হবেন


বান্দরবান বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্বা ঞ্চলীয় তিন পার্বত্য জেলার একটি। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। বান্দরবান জেলার আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবান সবচেয়ে কম জনবসতিসম্পন্ন স্থান। বান্দরবানসহ পুরো পার্ব ত্য চট্টগ্রাম ১৫৫০ সালের দিকে প্রণীত বাংলার প্রথম মানচিত্রে বিদ্যমান ছিল। তবে এর প্রায় ৬০০ বছর আগে ৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এই অঞ্চল অধিকার করেন। ১২৪০ সালের দিকে ত্রিপুরার রাজা এই এলাকা দখল করেন। ১৫৭৫ সালে আরাকানের রাজা এই এলাকা পুণর্দখল করেন, এবং ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকারে রাখেন। মুঘল সাম্রাজ্য ১৬৬৬ হতে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত এলাকাটি সুবা বাংলার অধীনে শাসন করে। ১৭৬০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই এলাকা নিজেদের আয়ত্বে আনে। ১৮৬০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসাবে যুক্ত হয়। ব্রিটিশরা এই এলাকার নাম দেয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্ট্স বা পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি চট্টগ্রাম জেলার অংশ হিসাবে বাংলা প্রদেশের অন্তর্গত ছিলো। ১৯৪৭ সালে এই এলাকা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি বাংলাদেশের জেলা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। আশির দশকের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি জেলা- রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি-তে বিভক্ত করা হয়।
বান্দরবান সদর মারমা রাজা অংশু প্রু এর বাসভূমি
বান্দরবান জেলা এর নৈসর্গিক বৈচিত্র্যের জন্য বাংলাদেশের একটি গুরূত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং (১০০৩ মিটার) বান্দরবান জেলায় অবস্থিত, যাবিজয়বামদক মুয়ালনামেও পরিচিত। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গকেওক্রাডং” (৮৮৩ মিটার) এবং সর্বোচ্চ খালরাইখিয়াংএই জেলায় অবস্থিত। এখানকার অন্য দুটি দর্শনীয় স্থান হলো চিম্বুক পাহাড় বগা লেক। বান্দরবান শহরের সবচেয়ে কাছের দুটি আকর্ষ নীয় পর্য টন কেন্দ্র নীলাচল মেঘলা। তবে বর্ত মানে পর্য টকের আকর্ষ ণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে শহর থেকে প্রায় অর্ধশত কিলোমিটার দুরের নীলগিরি পাহাড়। এই জেলার অন্যতম নদী সাঙ্গু নদী যা সাংপো বা শঙ্খ নামেও পরিচিত। এই নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী।
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় কিলোমিটার দূরে বালাঘাটায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দির। এটি সম্পূর্ণরূপে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার মন্দিরগুলোর অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ মুর্তিটি এখানে রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটিবুদ্ধ ধাতু জাদিনামে পরিচিত। এছাড়া শহরের মধ্যেই রয়েছে জাদিপাড়ার রাজবিহার এবং উজানীপাড়ার বিহার। শহর থেকে চিম্বুকের পথে যেতে পড়বে বম ম্রো উপজাতীয়দের গ্রাম। প্রান্তিক হ্রদ, জীবননগর এবং কিয়াচলং হ্রদ আরও কয়েকটি উল্লেখ্য পর্যটন স্থান। রয়েছে মেঘলা সাফারী পার্ক, যেখানে রয়েছে দুটি সম্পূর্ণ ঝুলন্ত সেতু। সাঙ্গু নদীতে নৌকা ভ্রমণ, ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য হতে পারে একটি মনোহর অভিজ্ঞতা। বান্দরবান শহর থেকে কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শৈল প্রপাত একটি আকর্ষণীয় পাহাড়ি ঝর্ণা। বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকা করতে গেলে যেমনটা দাঁড়ায়-
• বাকলাই ঝরণা
• বগা লেক
• বুদ্ধ ধাতু জাদি
• চিম্বুক পাহাড় রেঞ্জ
• চিনরি ঝিরি ঝরণা
• ফাইপি ঝরণা
• জাদিপাই ঝরণা
• কেওকারাডং
• মেঘলা
• মিরিংজা পর্যটন
• নাফাখুম
• রেমাক্রি
• নীলাচল
• নীলগিরি
• থানচি
• পতংঝিরি ঝরণা
• প্রান্তিক লেক
• রাজবিহার
• উজানিপারা বিহার
• রিজুক ঝরণা
• সাংগু নদী
• শৈল প্রপাত
• তাজিডং
• উপবন পর্যটন - See more at: http://blog.bdnews24.com/MAHIZAMAN/146506#sthash.dUVk1jVc.dpuf

বাকলাই ঝরণা
বগা লেক
বুদ্ধ ধাতু জাদি
চিম্বুক পাহাড় রেঞ্জ
চিনরি ঝিরি ঝরণা
ফাইপি ঝরণা
জাদিপাই ঝরণা
কেওকারাডং
মেঘলা
মিরিংজা পর্যটন
নাফাখুম
রেমাক্রি
নীলাচল
নীলগিরি
থানচি
পতংঝিরি ঝরণা
প্রান্তিক লেক
রাজবিহার
উজানিপারা বিহার
রিজুক ঝরণা
সাংগু নদী
শৈল প্রপাত
তাজিডং
উপবন পর্যটন

বগাকাইন হ্রদ বা বগা হ্রদ বা স্থানীয় নামে বগালেক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ। বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বগাকাইন হ্রদের অবস্থান কেওকারাডং পর্বতের গা ঘেষে, রুমা উপজেলায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ,০০০ ফুট (কিওক্রাডাং-এর উচ্চতা ,১৭২ ফুট) ফানেল বা চোঙা আকৃতির আরেকটি ছোট পাহাড়ের চুড়ায় বগা লেকের অদ্ভুত গঠন অনেকটা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের মতো
রুমা উপজেলার পূর্ব দিকে শঙ্খ নদীর তীর থেকে ২৯ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি মৌজার নামনাইতং মৌজা এই মৌজার পলিতাই পর্বতশ্রেণীর অন্তর্গত একটি পাহাড়ের চূড়ায় হ্রদটি অবস্থিত



বগালেক যেতে হলে পুরো একদিন সময় হাতে নিতে হবে। বান্দরবান থেকে রুমা হয়ে বগা লেক যাওয়া যাবে। রুমাতে রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা আছে। অতি সম্প্রতি রুমা থেকে সরাসরি বগামুখপাড়ায় জীপ (চান্দের গাড়ি বা চাঁদের গাড়ি) চালু হয়েছে। তবে এ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর বুনো জীবনের লোভে ঝিরির পথ নামের আরেকটা পথ ব্যবহার করে থাকেন। বগালেক একটি সেনা ক্যাম্প এবং দুটি থাকার জায়গা রয়েছে, যার একটি স্থানীয় বমদের দ্বারা চালিত, আর অন্যটি সরকার-চালিত। রয়েছে একটি স্কুল একটি গির্জাও। সেখানে গিয়ে রাত কাটাতে হবে কোন পাহাড়ী পাড়ায়। খরচ দিলে খাওয়ার আয়োজনটা পাহাড়ীরাও আনন্দের সাথে করে দেবে।
একই রাস্তায় কিওক্রাডাং যেতে হলে বাড়তি আরো একদিন সময় লাগবে। কিওক্রাডাং যেতে বগালেকে যাত্রাবিরতি ছাড়া গত্যন্তর নেই। বগালেক এর সলিং করা খাড়া রাস্তা ভ্রমনকারীদের জন্য এ্যাডভেঞ্চারাস হলেও মোটেই আরামদায়ক নয়। এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা বেশ দুর্গম; অত্যন্ত দুর্গম পথে পায়ে হাঁটা ছাড়া গত্যন্তর নেই। দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার।
সময় সুযোগ থাকলে বান্দরবানের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোও ঘুরে দেখতে পারেন। একজন স্থানীয় ড্রাইভার আপনাকে পথ দেখাবে
বান্দরবান শহরে এখন বেশ কিছু ভাল মাঝারী মানের আবাসিক হোটেল হয়েছে। তারকা খচিত না হলেও আরামে থাকার মত বেশ কয়েকটি হোটেল আছে। খাবার আয়োজনও খারাপ না। দর্শ নীয় স্থানগুলোতে নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু বিধি নিষেধ আছে। আপনার ড্রাইভারই আপনাকে সব জানিয়ে দিবে
 info: http://blog.bdnews24.com/MAHIZAMAN/146506


বগাকাইন হ্রদ বা বগা হ্রদ বা স্থানীয় নামে বগালেক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ। বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বগাকাইন হ্রদের অবস্থান কেওকারাডং পর্বতের গা ঘেষে, রুমা উপজেলায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২,০০০ ফুট (কিওক্রাডাং-এর উচ্চতা ৩,১৭২ ফুট)। ফানেল বা চোঙা আকৃতির আরেকটি ছোট পাহাড়ের চুড়ায় বগা লেকের অদ্ভুত গঠন অনেকটা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের মতো।
রুমা উপজেলার পূর্ব দিকে শঙ্খ নদীর তীর থেকে ২৯ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি মৌজার নাম ‘নাইতং মৌজা’। এই মৌজার পলিতাই পর্বতশ্রেণীর অন্তর্গত একটি পাহাড়ের চূড়ায় হ্রদটি অবস্থিত।
- See more at: http://blog.bdnews24.com/MAHIZAMAN/146506#sthash.dUVk1jVc.dpuf

গত কয়েকদিনে বিডি নিউজ ২৪ এর ব্লগে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের কযেকটি দর্শনীয় স্থানের ছবি পোস্ট করার পর সম্মানিত ব্লগার ও পাঠক গনের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেযেছি। ব্লগে অনেকে বান্দরবান ভ্রমনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। ইচ্ছা ছিল বান্দরবানে দেখে আসা সৌন্দর্য এবং আমার মুগ্ধতার অনুভূতি পাঠকের সাথে শেয়ার করব। কিন্তু সম্মানিত পাঠক গনের কৌতুহল ও চাহিদা মেটাতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং উইকিপিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্যের সমন্বয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই পোস্টটি তৈরী করা হল। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে ঐ স্থানের উপর যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করার অভ্যাস আমার আছে। যারা বান্দরবান বেড়াতে যাবেন আশা করি তারাও এই পোস্ট থেকে উপকৃত হবেন।
বান্দরবান বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্বা ঞ্চলীয় তিন পার্বত্য জেলার একটি। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। বান্দরবান জেলার আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবান সবচেয়ে কম জনবসতিসম্পন্ন স্থান। বান্দরবানসহ পুরো পার্ব ত্য চট্টগ্রাম ১৫৫০ সালের দিকে প্রণীত বাংলার প্রথম মানচিত্রে বিদ্যমান ছিল। তবে এর প্রায় ৬০০ বছর আগে ৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এই অঞ্চল অধিকার করেন। ১২৪০ সালের দিকে ত্রিপুরার রাজা এই এলাকা দখল করেন। ১৫৭৫ সালে আরাকানের রাজা এই এলাকা পুণর্দখল করেন, এবং ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকারে রাখেন। মুঘল সাম্রাজ্য ১৬৬৬ হতে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত এলাকাটি সুবা বাংলার অধীনে শাসন করে। ১৭৬০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই এলাকা নিজেদের আয়ত্বে আনে। ১৮৬০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসাবে যুক্ত হয়। ব্রিটিশরা এই এলাকার নাম দেয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্ট্স বা পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি চট্টগ্রাম জেলার অংশ হিসাবে বাংলা প্রদেশের অন্তর্গত ছিলো। ১৯৪৭ সালে এই এলাকা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি বাংলাদেশের জেলা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। আশির দশকের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি জেলা- রাঙামাটি, বান্দরবান, ও খাগড়াছড়ি-তে বিভক্ত করা হয়।
বান্দরবান সদর মারমা রাজা অংশু প্রু এর বাসভূমি।
বান্দরবান জেলা এর নৈসর্গিক বৈচিত্র্যের জন্য বাংলাদেশের একটি গুরূত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং (১০০৩ মিটার) বান্দরবান জেলায় অবস্থিত, যা “বিজয়” বা “মদক মুয়াল” নামেও পরিচিত। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ “কেওক্রাডং” (৮৮৩ মিটার) এবং সর্বোচ্চ খাল “রাইখিয়াং” এই জেলায় অবস্থিত। এখানকার অন্য দুটি দর্শনীয় স্থান হলো চিম্বুক পাহাড় ও বগা লেক। বান্দরবান শহরের সবচেয়ে কাছের দু’টি আকর্ষ নীয় পর্য টন কেন্দ্র নীলাচল ও মেঘলা। তবে বর্ত মানে পর্য টকের আকর্ষ ণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে শহর থেকে প্রায় অর্ধশত কিলোমিটার দুরের নীলগিরি পাহাড়। এই জেলার অন্যতম নদী সাঙ্গু নদী যা সাংপো বা শঙ্খ নামেও পরিচিত। এই নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী।
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে বালাঘাটায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দির। এটি সম্পূর্ণরূপে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার মন্দিরগুলোর অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ মুর্তিটি এখানে রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি “বুদ্ধ ধাতু জাদি” নামে পরিচিত। এছাড়া শহরের মধ্যেই রয়েছে জাদিপাড়ার রাজবিহার এবং উজানীপাড়ার বিহার। শহর থেকে চিম্বুকের পথে যেতে পড়বে বম ও ম্রো উপজাতীয়দের গ্রাম। প্রান্তিক হ্রদ, জীবননগর এবং কিয়াচলং হ্রদ আরও কয়েকটি উল্লেখ্য পর্যটন স্থান। রয়েছে মেঘলা সাফারী পার্ক, যেখানে রয়েছে দুটি সম্পূর্ণ ঝুলন্ত সেতু। সাঙ্গু নদীতে নৌকা ভ্রমণ, ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য হতে পারে একটি মনোহর অভিজ্ঞতা। বান্দরবান শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শৈল প্রপাত একটি আকর্ষণীয় পাহাড়ি ঝর্ণা। বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকা করতে গেলে যেমনটা দাঁড়ায়-
- See more at: http://blog.bdnews24.com/MAHIZAMAN/146506#sthash.dUVk1jVc.dpuf
গত কয়েকদিনে বিডি নিউজ ২৪ এর ব্লগে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের কযেকটি দর্শনীয় স্থানের ছবি পোস্ট করার পর সম্মানিত ব্লগার ও পাঠক গনের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেযেছি। ব্লগে অনেকে বান্দরবান ভ্রমনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। ইচ্ছা ছিল বান্দরবানে দেখে আসা সৌন্দর্য এবং আমার মুগ্ধতার অনুভূতি পাঠকের সাথে শেয়ার করব। কিন্তু সম্মানিত পাঠক গনের কৌতুহল ও চাহিদা মেটাতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং উইকিপিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্যের সমন্বয়ে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই পোস্টটি তৈরী করা হল। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে ঐ স্থানের উপর যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করার অভ্যাস আমার আছে। যারা বান্দরবান বেড়াতে যাবেন আশা করি তারাও এই পোস্ট থেকে উপকৃত হবেন।
বান্দরবান বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্বা ঞ্চলীয় তিন পার্বত্য জেলার একটি। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। বান্দরবান জেলার আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবান সবচেয়ে কম জনবসতিসম্পন্ন স্থান। বান্দরবানসহ পুরো পার্ব ত্য চট্টগ্রাম ১৫৫০ সালের দিকে প্রণীত বাংলার প্রথম মানচিত্রে বিদ্যমান ছিল। তবে এর প্রায় ৬০০ বছর আগে ৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এই অঞ্চল অধিকার করেন। ১২৪০ সালের দিকে ত্রিপুরার রাজা এই এলাকা দখল করেন। ১৫৭৫ সালে আরাকানের রাজা এই এলাকা পুণর্দখল করেন, এবং ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকারে রাখেন। মুঘল সাম্রাজ্য ১৬৬৬ হতে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত এলাকাটি সুবা বাংলার অধীনে শাসন করে। ১৭৬০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই এলাকা নিজেদের আয়ত্বে আনে। ১৮৬০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসাবে যুক্ত হয়। ব্রিটিশরা এই এলাকার নাম দেয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্ট্স বা পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি চট্টগ্রাম জেলার অংশ হিসাবে বাংলা প্রদেশের অন্তর্গত ছিলো। ১৯৪৭ সালে এই এলাকা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি বাংলাদেশের জেলা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। আশির দশকের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি জেলা- রাঙামাটি, বান্দরবান, ও খাগড়াছড়ি-তে বিভক্ত করা হয়।
বান্দরবান সদর মারমা রাজা অংশু প্রু এর বাসভূমি।
বান্দরবান জেলা এর নৈসর্গিক বৈচিত্র্যের জন্য বাংলাদেশের একটি গুরূত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং (১০০৩ মিটার) বান্দরবান জেলায় অবস্থিত, যা “বিজয়” বা “মদক মুয়াল” নামেও পরিচিত। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ “কেওক্রাডং” (৮৮৩ মিটার) এবং সর্বোচ্চ খাল “রাইখিয়াং” এই জেলায় অবস্থিত। এখানকার অন্য দুটি দর্শনীয় স্থান হলো চিম্বুক পাহাড় ও বগা লেক। বান্দরবান শহরের সবচেয়ে কাছের দু’টি আকর্ষ নীয় পর্য টন কেন্দ্র নীলাচল ও মেঘলা। তবে বর্ত মানে পর্য টকের আকর্ষ ণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে শহর থেকে প্রায় অর্ধশত কিলোমিটার দুরের নীলগিরি পাহাড়। এই জেলার অন্যতম নদী সাঙ্গু নদী যা সাংপো বা শঙ্খ নামেও পরিচিত। এই নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী।
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে বালাঘাটায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দির। এটি সম্পূর্ণরূপে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার মন্দিরগুলোর অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ মুর্তিটি এখানে রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি “বুদ্ধ ধাতু জাদি” নামে পরিচিত। এছাড়া শহরের মধ্যেই রয়েছে জাদিপাড়ার রাজবিহার এবং উজানীপাড়ার বিহার। শহর থেকে চিম্বুকের পথে যেতে পড়বে বম ও ম্রো উপজাতীয়দের গ্রাম। প্রান্তিক হ্রদ, জীবননগর এবং কিয়াচলং হ্রদ আরও কয়েকটি উল্লেখ্য পর্যটন স্থান। রয়েছে মেঘলা সাফারী পার্ক, যেখানে রয়েছে দুটি সম্পূর্ণ ঝুলন্ত সেতু। সাঙ্গু নদীতে নৌকা ভ্রমণ, ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য হতে পারে একটি মনোহর অভিজ্ঞতা। বান্দরবান শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শৈল প্রপাত একটি আকর্ষণীয় পাহাড়ি ঝর্ণা। বান্দরবানের দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকা করতে গেলে যেমনটা দাঁড়ায়-
- See more at: http://blog.bdnews24.com/MAHIZAMAN/146506#sthash.dUVk1jVc.dpuf

No comments:

Post a Comment