Pages

Sunday, December 13, 2015

মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়ার বুনো ঝরনা

জলপ্রপাতের মতোই স্বচ্ছ পানির ধারা গড়িয়ে পড়ছে পাথরের পর পাথর গড়িয়ে। নির্জন, শান্ত পাহাড়ের প্রায় আটটা ধাপ পেরুনোর পর আরো অনেক গুছো ঝর্ণাধারা সৃষ্টি করে আছড়ে পড়া স্রোত ধারার কলকল শব্দে নেমে এসেছে সমতলে। নাম না জানা লতাপাতা-গুল্ম, বাঁশবন, বুনোফুল ও ফলের গাছ আগলে রেখেছে পরম মমতায় সৃষ্টির বিস্ময় এই ঝর্ণাটিকে। অথচ প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য কিছু অসচেতন দর্শনার্থীর হেয়ালী কার্যক্রমে প্রাকৃতিক নৈসর্গিকতা আজ হুমকীর মুখে। যে বুনো ঝরনা অপরূপ সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো যায় না সহজে। প্রকৃতির অপূর্ব এক সৃষ্টি এই মীরসরাইয়ের এই খৈয়াছড়ার বুনো ঝরনাধারা। ইতিমধ্যে অনেক দেশী বিদেশি পর্যটক বিমুগ্ধ হয়ে বলেছেন মাধবকুণ্ডকে ছাড়িয়ে দৈর্ঘ্য প্রস্থসহ পানির লেবেল এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্রে দেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণাই এটি। রকৃতির অপূর্ব এক সৃষ্টি মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়ার জলপ্রপাত। টলমলে স্বচ্ছ পানির ধারা গড়িয়ে পড়ছে শক্ত পাথরের মতো পাহাড়ের শরীর লেপটে। নির্জন, শান্ত  পাহাড়ের প্রায় আটটা ধাপ পেরিয়ে আছড়ে পড়া স্রোত ধারার কলকল শব্দ বয়ে যাচ্ছে সমতলে। নাম না-জানা লতাপাতা-গুল্ম, বাঁশবন, বুনোফুল ও ফলের গাছ আগলে রেখেছে পরম মমতায় সৃষ্টির বিষ্ময় এই ঝরনাটিকে। এই বুনো ঝরনার অপরূপ সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো যায় না সহজে। রকৃতির পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলেছে ঝর্ণা।
 দূর থেকে বাংলার প্রতি প্রান্তঘেরা সবুজ-শ্যামল মিলন যেন প্রকৃতির রূপের এক বিশাল ক্যানভাস। উঁচু নিচু অসংখ্য পাহাড় আর পাহাড়ের গায়ে নাম না জানা নানা রকম গাছের সবুজে ঘেরা পাহাড়কে মনে হয় যেন এক সবুজের অভয়ারণ্য। আর এই সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে কলকল ধ্বনিতে নেমে আসছে বুনো ঝরনা খৈয়াছড়া। থানীয় লোকদের ক্ষেতের আইলের পাশে বেড়ে উঠেছে আম, নারকেল আর পেঁপের বাগান। এরপরে শুধু ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে যাওয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই পর্যটকরা পেয়ে যাবেন লাল আর নীল রঙের ফড়িংয়ের মিছিল! যত দূর পর্যন্ত ঝিরিপথ গেছে তত দূর পর্যন্ত তাদের মন মাতানো গুঞ্জন শোনা যায়। হাঁটতে হাঁটতেই শুনতে পাওয়া যায় পানি পড়ার শব্দ। চারপাশে মন ভাল করে দেয়া সবুজ দোল খাচ্ছে ফড়িংয়ের পাখায়। মাঝে মাঝে এখানে হরিণের ডাক শোনা যায়। কিছুদূর হেঁটে একটা মোড় ঘুরলেই চোখের সামনে নিজের বিশালতা নিয়ে হাজির হবে খৈয়াছড়া ঝরনা। মিরসরাইয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বড়তাকিয়া এলাকার খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের উল্টো দিকের মূল রাস্তা থেকে পিচঢালা পথ চলে গেছে রেললাইন পর্যন্ত।
অনেক ওপর থেকে একটানা পানি পড়ছে। সৌন্দর্যের শুরু এখান থেকেই, পর্যটকরা এখান পর্যন্ত  এসেই চলে যায়, ওপরের দিকে আর যায় না। এই ঝরনার ওপরে আছে আরও আটটা ধাপ। এখানকার নয়টা ধাপের প্রতিটিতেই রয়েছে প্রশস্ত জায়গা, যেখানে তাঁবু টানিয়ে আরাম করে পূর্ণিমা রাত পার করে দেয়া যায়। একটু চুপচাপ থাকলেই বানর আর হরিণের দেখা পাওয়া যায়। অদ্ভুত সুন্দর এই সবুজের বনে একজনই সারাক্ষণ কথা বলে বেড়ায়, বয়ে যাওয়া পানির রিমঝিম ঝর্ণার সেই কথা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া যায় নিশ্চিন্তে।
মিরসরাই উপজেলার এমন সুন্দর দর্শনীয় স্থান আমাদের কাছে অপরিচিত ছিল এতদিন, ভাবতেই অবাক লাগে। দুর্গম পাহাড়ি এই ঝরনা ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে প্রতিদিন। অথচ যোগাযোগ ব্যবস্থা আর প্রচারণার অভাবে খৈয়াছড়া নামের এই জলপ্রপাতটি রয়ে গেছে সকলের দৃষ্টির আড়ালে। বাংলাএক্সপ্রেস
রকৃতির অপূর্ব এক সৃষ্টি মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়ার জলপ্রপাত। টলমলে স্বচ্ছ পানির ধারা গড়িয়ে পড়ছে শক্ত পাথরের মতো পাহাড়ের শরীর লেপটে। নির্জন, শান্ত  পাহাড়ের প্রায় আটটা ধাপ পেরিয়ে আছড়ে পড়া স্রোত ধারার কলকল শব্দ বয়ে যাচ্ছে সমতলে। নাম না-জানা লতাপাতা-গুল্ম, বাঁশবন, বুনোফুল ও ফলের গাছ আগলে রেখেছে পরম মমতায় সৃষ্টির বিষ্ময় এই ঝরনাটিকে। এই বুনো ঝরনার অপরূপ সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো যায় না সহজে।
সৃষ্টির সৌন্দর্য আর প্রকৃতির মাধুর্য- এই দুই মিলে যখন তৈরি হয় এক অপরূপ মিশ্রণ, তখন তার দর্শনে বেঁচে থাকার ইচ্ছে হয়ে ওঠে আরেকটু প্রবল। প্রকৃতির পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলেছে ঝর্ণা। দূর থেকে বাংলার প্রতি প্রান্তঘেরা সবুজ-শ্যামল মিলন যেন প্রকৃতির রূপের এক বিশাল ক্যানভাস। উঁচু নিচু অসংখ্য পাহাড় আর পাহাড়ের গায়ে নাম না জানা নানা রকম গাছের সবুজে ঘেরা পাহাড়কে মনে হয় যেন এক সবুজের অভয়ারণ্য। আর এই সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে কলকল ধ্বনিতে নেমে আসছে বুনো ঝরনা খৈয়াছড়া।
মিরসরাইয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বড়তাকিয়া এলাকার খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের উল্টো দিকের মূল রাস্তা থেকে পিচঢালা পথ চলে গেছে রেললাইন পর্যন্ত। সেখান থেকে মেঠোপথ আর ক্ষেতের আইলের শুরু। তারপর চলতে চলতে হঠাৎ করেই যেন মাটি সরে গিয়ে উদয় হবে একটা ঝিরিপথের। টলটলে শান্ত পানির চুপচাপ বয়ে চলার ধরনই বলে দেবে এর উৎস অবশ্যই বিশাল কিছু থেকে।
স্থানীয় লোকদের ক্ষেতের আইলের পাশে বেড়ে উঠেছে আম, নারকেল আর পেঁপের বাগান। এরপরে শুধু ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে যাওয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই পর্যটকরা পেয়ে যাবেন লাল আর নীল রঙের ফড়িংয়ের মিছিল! যত দূর পর্যন্ত ঝিরিপথ গেছে তত দূর পর্যন্ত তাদের মন মাতানো গুঞ্জন শোনা যায়। হাঁটতে হাঁটতেই শুনতে পাওয়া যায় পানি পড়ার শব্দ। চারপাশে মন ভাল করে দেয়া সবুজ দোল খাচ্ছে ফড়িংয়ের পাখায়। মাঝে মাঝে এখানে হরিণের ডাক শোনা যায়। কিছুদূর হেঁটে একটা মোড় ঘুরলেই চোখের সামনে নিজের বিশালতা নিয়ে হাজির হবে খৈয়াছড়া ঝরনা।
অনেক ওপর থেকে একটানা পানি পড়ছে। সৌন্দর্যের শুরু এখান থেকেই, পর্যটকরা এখান পর্যন্ত  এসেই চলে যায়, ওপরের দিকে আর যায় না। এই ঝরনার ওপরে আছে আরও আটটা ধাপ। এখানকার নয়টা ধাপের প্রতিটিতেই রয়েছে প্রশস্ত জায়গা, যেখানে তাঁবু টানিয়ে আরাম করে পূর্ণিমা রাত পার করে দেয়া যায়। একটু চুপচাপ থাকলেই বানর আর হরিণের দেখা পাওয়া যায়। অদ্ভুত সুন্দর এই সবুজের বনে একজনই সারাক্ষণ কথা বলে বেড়ায়, বয়ে যাওয়া পানির রিমঝিম ঝর্ণার সেই কথা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া যায় নিশ্চিন্তে।
মিরসরাই উপজেলার এমন সুন্দর দর্শনীয় স্থান আমাদের কাছে অপরিচিত ছিল এতদিন, ভাবতেই অবাক লাগে। দুর্গম পাহাড়ি এই ঝরনা ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে প্রতিদিন। অথচ যোগাযোগ ব্যবস্থা আর প্রচারণার অভাবে খৈয়াছড়া নামের এই জলপ্রপাতটি রয়ে গেছে সকলের দৃষ্টির আড়ালে। কিন্তু সম্প্রতি কিছু অসচেতন দর্শনার্থী এই ঝর্ণা এলাকার প্রাকৃতিক লতা গুল্ম, গাছপালা, বনজ বৈচিত্রময় সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই ঝর্ণা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য এখানে নেই কোন নির্দেশনা, নেই কোন গাইড বা সুরক্ষা ও নির্দেশনা প্রহরী। উপরন্তু নানান পানীয় ক্যান, বোতল, পলিথিন, খাবারের বর্জ্যসহ ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ একেবারেই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। শুধু তাই নয় ঝর্ণার পাদদেশে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গড়ে তুলেছে অবৈধ দোকানপাট।
 তথ্যসূত্র: http://blog.tour.com.bd

No comments:

Post a Comment