Pages

Sunday, January 31, 2016

ঢাকার পথে মাশরাফিরা

ঢাকার উদ্দেশে খুলনা ছেড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা। রোববার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে খুলনা সিটি ইন হোটেল ত্যাগ করেন মাশরাফি-তামিম-সাকিবরা। খুলনা থেকে বাসযোগে যশোর বিমান বন্দরে যান তারা। এরপর ঢাকার উদ্দেশে বিমান ধরেন টাইগাররা। 
এর আগে রোববার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচ খেলেন বাংলাদেশ দল। এশিয়া কাপের প্রস্তুতির প্রথম পর্ব শেষে বিকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তারা। এক সপ্তাহ ছুটি শেষে চট্টগ্রামে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতি শুরু হবে টাইগারদের। 
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল ফিরে গেলেও এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য খুলনায় থেকে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রাথমিক ক্যাম্পে থাকা ২৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে ২৩ জানুয়ারি খুলনায় টাইগারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়। এর মধ্যে ২৭ জানুয়ারি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ-সাকিবরা।

উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ৮ জানুয়ারি খুলনায় আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। খুলনায় ২৩ দিনের আতিথিয়েতা শেষে রোববার ফিরে গেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা।

হাজার পূর্ণ করলেন মেসি-রোনালদো

গত শনিবার লিগে মালাগার বিপক্ষে লিওনেল মেসি এক গোল করে রেকর্ডটাকে ৯৯৯-তে এনে রেখেছিলেন। অপেক্ষা ছিল আর একটা গোলের। এক গোল হলেই মেসি-রোনালদোর মিলিত গোলের সংখ্যা হাজারের ঘরে চলে যায়।

নাম দুটি যখন মেসি-রোনালদো, একটা গোল তো বাঁ হাতের খেল। দুজন মিলে গোল করা কাজটাকে এত সহজ বানিয়ে ফেলেছিলেন যে, হাজারতম গোলের অপেক্ষাটা ‘কখন ফুরোবে’—ছাড়িয়ে ‘কে ফুরাবেন’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এই সহজতম জটাই গড়াল এক সপ্তাহের ‘দীর্ঘ’ অপেক্ষাতে। ক্রিকেটে যেমন নার্ভাস নাইন্টিজ থাকে, যে সময়টাতে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা ব্যাটসম্যান একটু বেশিই ধীরে খেলেন। অনেকটা তেমন করেই যেন স্নায়ুচাপে ঘিরে ধরেছিল বার্সা ও রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডকে।
মেসি ও রোনালদো - দুরন্ত গতিতে ছুটেই চলেছেন। ছবি: এএফপি।
মাঝে দুজন মিলে দুটি ম্যাচ খেলেছেন—গত রোববার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো লিগে খেলেছিলেন রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে, আর বুধবার মেসি খেলেছেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে কাপে। অথচ ১৮০ মিনিটেও কেউ অপেক্ষার অবসান করতে পারলেন না। একটা মাত্র গোলের জন্য এত কিছু!

শেষ পর্যন্ত হলো কাল। ন্যু ক্যাম্পে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে মেসির গোলটি ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনাকে শুধু জয়ের পথেই এনে দেয়নি, বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুই তারকার বিজ্ঞাপনও হয়ে রইল।
এই মৌসুমেই ক্যারিয়ারে ৫০০তম গোল করা রোনালদোর ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে ক্যারিয়ারে গোলের সংখ্যা এখন ৫১৮টি। আগামী মাসেই ৩১-এ পা দিতে যাওয়া এই রিয়াল ফরোয়ার্ড ক্যারিয়ারে মোট ৭৭৩ ম্যাচ খেলেছেন। আর ২৮ বছর বয়সী মেসির ক্যারিয়ার গোল ৪৮২টি। বার্সা ও আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ম্যাচ খেলেছেন ৬১৩টি। সব মিলিয়ে ১৩৮৬ ম্যাচে ১০০০ গোল! অবিশ্বাস্য!

তাঁদের মধ্যে সম্পর্কটা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো, অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ—মেসি-রোনালদো দুজনেরই এমন দাবি। কাল গোল করে বন্ধুত্বটাকে রেকর্ড বইয়ের পাতায় নিয়ে গেলেন মেসি। তবে বন্ধু বলুন আর শত্রু, এমন অতিমানবীয় মানের দুজন খেলোয়াড় একই সময়ে খেলতে দেখা সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই যত দিন তাঁরা খেলছেন, তত দিন শুধু আরাম করে বসে মেসি-রোনালদোর কীর্তি উপভোগ করুন।
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article/755944

রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জোকোভিচের

তৃতীয় সেটের টাইব্রেকার চলছে। তাতে ৬-৩ এ এগিয়ে তিনি। সার্ভিসও তাঁর। আর একটা পয়েন্ট দরকার নোভাক জোকোভিচের। তাহলেই চ্যাম্পিয়ন! জিতলেন জোকোভিচ চ্যাম্পিয়নের মতোই। এইস মারলেন, যেটি ঠেকানোর সামর্থ্য ছিল না অ্যান্ডি মারের। কিন্তু কী নির্বিকার জোকোভিচ। শুধু হাতটা মুষ্টিবদ্ধ করলেন, ঠোঁটে আলতো হাসি। একটু সামনে গিয়ে পিচে চুমু খেলেন। কী শান্ত, কী সুস্থির! দেখে কে বলবে, এই মাত্র অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রেকর্ড সংখ্যক ৬টি শিরোপা জিতে রয় এমারসনের পাশে বসলেন!
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ট্রফিতে চুমু জোকোভিচের। ছবিঃ রয়টার্স
নাকি অভ্যাসের কারণেই এমন নির্লিপ্ত! এর আগে তিনবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে মারের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তিনবারই জিতেছিলেন। চতুর্থবারে এসেও ফলটা বদলাল না। র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা মারেকে ৬-১, ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) গেমে হারিয়ে ক্যারিয়ারের ১১তম গ্র্যান্ড স্লামটি জিতলেন জোকোভিচ, ছুঁয়ে ফেললেন বিয়ন বোর্গ, রড লেভারকে।
প্রথম সেটের শুরু আর শেষেই যা একটু উত্তেজনা ছিল। শুরু আর শেষের গেম দুটিতে জোকোভিচের সার্ভিস ব্রেক করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন মারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না। দুবারই ব্রেক পয়েন্ট থেকে বেঁচে ফিরলেন জোকোভিচ। এই ‘কাছাকাছি যাওয়া’ আর ‘ব্রেক করার’ মধ্যে পার্থক্যটাই হয়ে রইল সেটের পার্থক্য। মারে যা পারলেন না, জোকোভিচ সেটিই করে দেখালেন। ব্রিটিশ তারকার প্রথম দুই সার্ভিসই ব্রেক করে দিলেন ‘জোকার’। সেটটাও জিতে নিলেন ৬-১ গেমে।
প্রথম সেট জিতেছেন, মারের সঙ্গে এমন ১৭ ম্যাচে সার্বিয়ান তারকার পক্ষে রেকর্ডটা ১৭-০। এবারও কী জোকোভিচ? দ্বিতীয় সেটে সেই পথে আরও একটু এগিয়ে গেলেন জোকার। জিতলেন ৭-৫ গেমে।
কত সহজে বলা হয়ে গেলে, ৭-৫! স্রেফ এই ব্যবধান দিয়ে কী বোঝা যায়, সেটটা কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে? প্রথম সেটটি যদি জোকোভিচের জন্য ‘প্র্যাকটিস’ হয়, তবে দ্বিতীয় সেট হলো পুরো ফাইনালের মতো। এই সেটটিই হলো আসল ‘এক’-এর সঙ্গে ‘দুই’য়ের লড়াই। প্রতিটি গেমে, প্রতিটি পয়েন্টের জন্য শেষ অবধি লড়েছেন জোকোভিচ-মারে। একটা তথ্য এই সেটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে—১২টি গেমের ছয়টিই গড়িয়েছে ডিউসে। জোকোভিচ ব্রেক করেছেন দুবার, মারে একবার।
পুরুষ ও নারী টেনিসে গত কদিনে এই মেলবোর্ন পার্কে বেশ কটি ধ্রুপদি ম্যাচ হয়ে গেছে—ফেদেরার-জোকোভিচ, রাওনিচ-মারে, সেরেনা-কারবার...। এই ম্যাচ মানের দিক দিয়ে সেরকম কিছু হয়তো হয়নি। তবে ৮০ মিনিটের দ্বিতীয় সেটটি সেই অভাব অনেকটাই ঘুচিয়ে দিয়েছে।
প্রতিটি গেমেই তীব্র লড়াই হয়েছে, তবে এর মধ্যেও আলাদা করে বলতে হচ্ছে ১১তম গেমের কথা। সেটের ভাগ্য যে ওই সেটেই বদলেছে। তা-ও কীভাবে! সার্ভিস করতে এসে একটা সময়ে ৪০-০ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন মারে। সেখান থেকেই অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এসে উল্টো গেমটা জিতে নিলেন জোকোভিচ!
ম্যাচের শুরু থেকেই ফোরহ্যান্ড নিয়ে ভুগছিলেন। নেট পয়েন্টগুলোও জিততে পারছিলেন না। তার খেসারত দিয়েই ২-০ সেটে পিছিয়ে পড়েছিলেন। এখান থেকে ফিরে আসতে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো মারেকে। অবশ্য তাঁকে হাতছানি দিচ্ছিল যে অর্জন, সেটিই বা কম অবিশ্বাস্য কী! সেই ১৯৩৪ সালে ফ্রেড পেরির পর প্রায় ৮২ বছরেও যে কোনো ব্রিটিশ খেলোয়াড় জিততে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন!
কিন্তু তৃতীয় সেটের শুরুতেই আবার ধাক্কা। মারের প্রথম সার্ভিসটাই জলে গেল। ব্রেক করে ফেললেন জোকোভিচ। তবে মারেও থেমে যাওয়ার পাত্র নন। তিনিও ব্রেক করলেন জোকোভিচের তৃতীয় সার্ভিস গেম। কিন্তু ওইটুকুই। এরপর যে যার সার্ভিস জিতে নেওয়ায় ৬-৬ থাকা গেমটি গড়াল টাইব্রেকারে। তাতে পুরো দাপট ছিল জোকোভিচের। ৭-৩ পয়েন্টে জিতে সেটের সঙ্গে ম্যাচটাও জিতে নিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ট্রফিটাও ।
আরও একবার কাপ নিতে এসে প্লেট হাতেই বিদায় নিতে হলো মারেকে।
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article/755998

Saturday, January 30, 2016

সেরেনাকে হারিয়ে কারবারের ইতিহাস

বল কোর্টের বাইরে পড়া দেখেই র‌্যাকেট ছেড়ে শুয়ে পড়লেন কারবার। কিছুক্ষণ থাকার পর উঠে দাঁড়ালেন। চোখ ভেজা। অশ্রুসজল চোখেই হাসছেন। এ যে আনন্দাশ্রু। কাঁদতে কাঁদতেই জড়িয়ে ধরলে সেরেনা উইলিয়ামসকে। কারবারকে অভিনন্দন জানালেন মার্কিন কৃষ্ণকলি। ততক্ষণে যে ইতিহাস হয়ে গেছে। প্রথমবারের মতো টেনিসের কোন গ্রান্ডস্লামের ফাইনালে উঠেই শিরোপা জিতলেন জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কারবার। তাও আবার পাওয়ার টেনিসের অন্যতম প্রবক্তা সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নতুন দিগন্ত সূচনা করলেন কারবার। ব্রাভো।
জিতলেই নতুন রেকর্ড হতো সেরেনা উইলিয়ামসের। উন্মক্ত যুগে স্পর্শ করতেন স্টেফিগ্রাফের ২২তম গ্রান্ডস্লামের রেকর্ড। কিন্তু তা আর হলো না। উল্টো হেরে বসলেন জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কারবারের সঙ্গে। ম্যাচটি মোটেই একপেশে ছিল না। ফাইনাল হয়েছে ফাইনালের মতোই। প্রতিটি সার্ভ আর শটেই হয়েছে আগুনে লড়াই। শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর হাসি কারবারের চোখেমুখেই। ৬-৪, ৩-৬, ৬-৪ সেটে সেরেনাকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জেতেন জার্মান তরুণী।
শক্তি সামথ্যে পার্থক্য ছিল অনেক। সেরেনা নেমেছিলেন ক্যারিয়ারের ২২তম রেকর্ড গ্রান্ডস্লাম জয়ের জন্য। আর সেখানে কারবারের লক্ষ্য ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম গ্রান্ডস্লাম ট্রফি। অভিজ্ঞতারও ছিল বড় তফাৎ। ছিল ফাইনাল ম্যাচের সীমাহীন চাপ। তবে ফাইনালের আগে কারবার বলেছিলেন, সামনে রেকর্ড বলেই চাপে থাকবে সেরেনা, যা তার জন্য সুবিধারই হবে। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। কিন্তু শিরোপা জিততে কি পরিমাণ ঘাম ঝড়াতে হয়েছে কারবারকে, তা দেখেছে সবাই। প্রতিটি সেটই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
প্রথম সেট থেকেই উজ্জীবিত ছিলেন ২৮ বছর বয়সী জার্মান সুন্দরী কারবার। বেশ দাপট দেখিয়েই জেতেন ৬-৪ গেমে। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ছয়বারের শিরোপাধারী সেরেনা তখন ম্যাচে ফিরতে মরিয়া। দ্বিতীয় সেটটা তাই জিতলেন লড়াই করে। ব্যবধান ৬-৩। তৃতীয় সেটটি তাই হয়ে দাঁড়ালো শিরোপা নির্ধারণী সেট। ২-০তে লিড নিলেন কারবার। পরের গেম জিতে ব্যবধান ২-১ করলেন সেরেনা। পরের গেম জিতে ২-২ এ সমতা এনে সেরেনা জানান দিচ্ছিল জিতবেন তিনিই।
কিন্তু পরের তিনটি গেমেই অবিশ্বাস্যভাবে জিতে যান কারবার। ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-২ এ। এমন অবস্থায় সেরেনা হারতে চলেছেন, সবার ধারণা ছিল তেমনই। কিন্তু অদম্য সেরেনা শেষ পর্যন্ত লড়ে যান। ব্যবধান কমিয়ে আনেন ৫-৪এ। কিন্তু শেষ ধাক্কাটা দিয়েছেন কারবার। ম্যাচ টাইব্রেকারে যেতে দেননি তিনি। জিতে যান ৬-৪ গেমে। দুই ঘন্টা আট মিনিটের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে অসাধ্য সাধন করেন ক্যারিয়ারে মাত্র সাতটি ডব্লিউটিএ শিরোপা জেতা অ্যাঞ্জেলিক কারবার।  
অল্পের জন্য স্টেফি গ্রাফের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারেননি সেরেনা। তাতে হতাশা থাকলেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রাণী কারবারকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি সেরেনা। তিনি বলেন, ‘আজকের রাতের জন্য সবাকেই ধন্যবাদ। এটা ছিল দারুণ একটি ম্যাচ। অ্যাঞ্জি, তোমাকে অভিনন্দন। তুমিই করেছে। তুমি আসলেই এই ট্রফির জন্য যোগ্য ছিলেন। আশা করি এই মুহূর্ত তুমি উপভোগ করছ। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার টিমকে। এবং অবশ্যই দর্শককে। আমি সত্যিই উপভোগ করেছি নিজেকে। সবাইকে ধন্যবাদ’।
সেরেনার অভিনন্দনের জবাব কারবার দিলেন সেরেনাকে দিয়েই। কারবার বলেন, ‘সেরেনা, তুমি অনুপ্রেরণাদায়ক এবং অবিশ্বাস্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সুতরাং তোমাকেও অভিনন্দন, এতোদিনে যা করেছে তুমি।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শুরুর দিকের ম্যাচ প্রসঙ্গে কারবার বলেন, ‘প্রথম রাউন্ডেই প্রায় বাদ পড়ে যাচ্ছিলাম। আমার এক পা জার্মানি যাওয়ার জন্য প্লেনে ছিল প্রায়। তবে সুযোগ পেয়ে যাই। শেষ পর্যন্ত ট্রফিটাই জিতে গেলাম। আমার স্বপ্ন পূরুণ হলো। গোটা ক্যারিয়ারে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। আর তাই এখানে আমি। এখন আমি বলতেই পারি, আমি গ্রান্ডস্লাম চ্যাম্পিয়ন। আমার সেরা একটা পরিবার আছে। সেরা টিম। আমি খুবই উপভোগ করছি এই মুহূর্ত। সবাইকে ধন্যবাদ। গত দুটি সপ্তাহ ছিল আমার জীবন ও ক্যারিয়ারে সেরা সময়। দেখা হবে আগামী বছর’।
আগের পাঁচবারের মোকাবেলায় সেরেনার সঙ্গে সবকটিতেই হেরেছিলেন কারবার। এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে ষষ্ঠবারের দেখায় শোধটা ভালোই তুললেন অ্যাঞ্জেলিক কারবার। 
Info: http://www.banglamail24.com/news/130851

বাংলাদেশ থেকে মেসেঞ্জারে ভয়েস ও ভিডিও কল


বাংলাদেশের গ্রাহকেরা ফেসবুকের মেসেঞ্জার ব্যবহার করে ভয়েস ও ভিডিও কল করতে পারছেন। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ফেসবুক বাংলাদেশসহ আরও কিছু দেশের গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের পেজে এই সুবিধা উন্মুক্ত করার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকজন গ্রাহক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তাঁরা এই সুবিধা ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে তাঁদের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন।
ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে কথা বলার জন্য ইন্টারনেট বিল ছাড়া গ্রাহকের অন্য কোনো খরচ হবে না। বিশ্বের অনেক দেশে এই সু​বিধা আগে থেকেই চালু ছিল।
 Info: http://www.prothom-alo.com/technology/article/754741/

Tuesday, January 26, 2016

আইপিএলে বাধা নেই মুস্তাফিজের

ঘরোয়া ক্রিকেটের সবথেকে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএল খেলতে বাধা নেই বাংলাদেশের বোলিংয়ের চমক মুস্তাফিজুর রহমানের সেখানে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার কথা রয়েছে তার পিএসএলে মুস্তাফিজের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সূচিতে ব্যস্ততা কম থাকায় আইপিএলে খেলতে বাধা নেই মুস্তাফিজের এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান
আইপিএলের কোনো ফ্রাঞ্চাইজি যদি মুস্তাফিজকে দলে রাখতে চায় তাতে কোনো সমস্যা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। যেহেতু বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির পরে আইপিএল অনুষ্ঠিত হবে, তাতে মুস্তাফিজকে বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনোরকম বাধা দেয়া হবে না। সে যদি পুরোপুরি ফিট থাকে আইপিএলের আসরে খেলতে তার কোনো অসুবিধা হবে না।
আইপিএলে বাধা নেই মুস্তাফিজের 
২০ বছর বয়সী মুস্তাফিজ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমান ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। আইপিএলের আসরে ক্রিকেট বিশ্বের বড় বড় তারকাদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করার সুযোগ থাকে। সাকিব আল হাসানের মতো মুস্তাফিজও সেখানে খেললে অনেক কিছু জানতে পারবে, শিখতে পারবে। তাই কোনো দল তাকে নিতে চাইলে অবশ্যই তার সেখানে খেলা উচিৎ।
আইপিএলের প্লেয়ার ড্রাফটে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই রাখা হয়েছে মুস্তাফিজকে। টাইগারদের কাটার স্পেশালিস্ট এই পেসারের সঙ্গে প্লেয়ার ড্রাফটে রয়েছেন টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার। আরও রয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
এরই মধ্যে আইপিএলের নবম আসরে মুস্তাফিজের পর তামিম, তাসকিন এবং সৌম্যর ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে বিসিসিআই।
চারজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইতোমধ্যে মুস্তাফিজের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে মিলিয়ন রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৮ লাখ টাকা। ওপেনার তামিম ইকবালের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে মিলিয়ন রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৮ লাখ টাকা। এছাড়া ওপেনিং ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার পেসার তাসকিনের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে মিলিয়ন রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ লাখ টাকা।
প্রাথমিক তালিকার ৭০০ জন থেকে ৩০০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। আর আগামী ফেব্রুয়ারি এই তালিকার খেলোয়াড়দের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও এবারের নিলামে সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ২০ মিলিয়ন রূপি। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন যুবরাজ সিং, কেভিন পিটারসেন, দিনেশ কার্তিক, স্টুয়ার্ট বিনি, মিচেল মার্শ শেন ওয়াটসন। 
 See more at: http://www.manobkantha.com/2016/01/26/98272.php#sthash.8qPqPscF.dpuf
ঘরোয়া ক্রিকেটের সবথেকে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএল খেলতে বাধা নেই বাংলাদেশের বোলিংয়ের চমক মুস্তাফিজুর রহমানের। সেখানে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার কথা রয়েছে তার। পিএসএলে মুস্তাফিজের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সূচিতে ব্যস্ততা কম থাকায় আইপিএলে খেলতে বাধা নেই মুস্তাফিজের এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান।
আইপিএলের কোনো ফ্রাঞ্চাইজি যদি মুস্তাফিজকে দলে রাখতে চায় তাতে কোনো সমস্যা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। যেহেতু বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির পরে আইপিএল অনুষ্ঠিত হবে, তাতে মুস্তাফিজকে বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনোরকম বাধা দেয়া হবে না। সে যদি পুরোপুরি ফিট থাকে আইপিএলের আসরে খেলতে তার কোনো অসুবিধা হবে না।
২০ বছর বয়সী মুস্তাফিজ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমান ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। আইপিএলের আসরে ক্রিকেট বিশ্বের বড় বড় তারকাদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করার সুযোগ থাকে। সাকিব আল হাসানের মতো মুস্তাফিজও সেখানে খেললে অনেক কিছু জানতে পারবে, শিখতে পারবে। তাই কোনো দল তাকে নিতে চাইলে অবশ্যই তার সেখানে খেলা উচিৎ।
আইপিএলের প্লেয়ার ড্রাফটে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই রাখা হয়েছে মুস্তাফিজকে। টাইগারদের কাটার স্পেশালিস্ট এই পেসারের সঙ্গে প্লেয়ার ড্রাফটে রয়েছেন টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার। আরও রয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
এরই মধ্যে আইপিএলের নবম আসরে মুস্তাফিজের পর তামিম, তাসকিন এবং সৌম্যর ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে বিসিসিআই।
চারজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইতোমধ্যে মুস্তাফিজের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে ৫ মিলিয়ন রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৮ লাখ টাকা। ওপেনার তামিম ইকবালের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে ৫ মিলিয়ন রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৮ লাখ টাকা। এছাড়া ওপেনিং ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও পেসার তাসকিনের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করেছে ৩ মিলিয়ন রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ লাখ টাকা।
প্রাথমিক তালিকার ৭০০ জন থেকে ৩০০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। আর আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই তালিকার খেলোয়াড়দের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও এবারের নিলামে সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ২০ মিলিয়ন রূপি। এই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন যুবরাজ সিং, কেভিন পিটারসেন, দিনেশ কার্তিক, স্টুয়ার্ট বিনি, মিচেল মার্শ ও শেন ওয়াটসন। - See more at: http://www.manobkantha.com/2016/01/26/98272.php#sthash.8qPqPscF.dpuf