Pages

Sunday, January 3, 2016

মধুটিলা মেঘ-রোদ্দুরের খেলা

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষা শেরপুর জেলার প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গারো পাহাড় এই গারো পাহাড়ে দেশের পার্বত্য এলাকার মতো সুউচ্চ পর্বত বা পাহাড় লেক না থাকলেও এখানকার শাল-গজারি, ইউকিলিপটাস-একাশিয়া, সেগুন-মেহগিনি, মিনঝিরিসহ নানা প্রজাতির গাছগালি ঘেরা ঊঁচু নিচু টিলা আর পাহাড়ি টিলা বেয়ে সমতলের দিকে ছুটে চলা ছোট ছোট ঝর্ণা, ঝোড়া ছড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির কলকল শব্দ যে কোন প্রকৃতি প্রেমির হৃদয়কে আন্দোলিত করবে  ওই সব পাহাড়ি টিলার উপর এবং সমতলে শত শত বছর ধরে বসবাসকারী নৃ-গোষ্ঠির নানা সম্প্রদায়দের লোকদের সংস্কৃতি জীবন-জীবিকা পাহাড়ের সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করেছে পাহাড়ের চূড়ায় ওয়াচ টাওয়ারে দাড়িয়ে উচু-নিচু পাহাড়ের গায়- মেঘ-রোদ্দুরের খেলা আর সীমান্তের ওপারের ভারতীয় অধিবাসিদের ঘর-বাড়ি দৃশ্য মন ছুয়ে যায়, হৃদয়কে উদ্বেলিত করেসেসঙ্গে এই গারো পহাড়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসা হাজার হাজার নর-নারী প্রেমিক-প্রেমিকার  মিলন মেলা হাট বসে

১৯৯৯ সনে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তরে ময়মনসিংহ বন বিভাগের ব্যবস্থাপনাধীন পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মধুটিলা ফরেষ্ট রেঞ্জের সমেশ্চূড়া বীটের আওতায় ৩৮০ একর পাহাড়ি টিলার উপরমধুটিলা ইকো পার্কনামে মনোরম পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়েছে। গারো পাহাড় এলাকায় নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক নৈস্বর্গিক ওই পিকনিক কেন্দ্রে এখন হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারনায় ভরে উঠেছে। প্রতি বছর শীত মওসুমে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষা সফর বনভোজনে বাস, মাক্রোবাস, প্রাইভেট কার করে হাজার হাজার ভ্রমন পিপাসুরা বেড়াতে আসছে। ফলে জেলা প্রশাসন সরকারের রাজস্ব খাতে প্রতি বছর আয় হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ময়মনসিংহ বন বিভাগ ১৯৯৯ সন থেকে ইকো পার্কের প্রাথমিক অবকাঠামো সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ দুই পর্যায়ে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শেষ করে ২০০৬-০৭ অর্থ বছর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইকো পার্কের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছরই ইকো পার্কের বিভিন্ন খাত থেকে সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয় ৫২ হাজার ৮৩১ টাকা। এরপর ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ১৩ লক্ষ ৬৯ হাজার  ৬৫৮ টাকা এবং ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে আয় হয় ২৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩০৬ টাকা এবং ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা এবং চলতি বছরে আরো আয় বৃদ্ধি হবে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।  এই ইকো পার্কে বর্তমানে সুদৃশ্য প্রধান ফটক, ডিসপ্লে¬¬ মডেল, তথ্য কেন্দ্র, গাড়ী পার্কিং জোন, ক্যান্টিন, ওয়াচ টাওয়ার, মিনি চিড়িয়াখানা, মনোরম লেক বোটিং, স্টার ব্রীজ, স্ট্রেম্পিং রোড বা সুউচ্চ পাহাড়ে উঠার জন্য ধাপ রাস্তা (সিঁড়ি), মিনি শিশু পার্ক, মহুয়া রেষ্ট হাউজ, স্টীলের ছাতা, ইকো ফ্রেন্ডলি বেঞ্চ, আধুনিক পাবলিক টয়লেট, পার্কের প্রবেশ পথ ধরে যাওয়া বিভিন্ন সড়কের পার্শ্বে স্থাপন করা হয়েছে হাতি, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, কুমির, ক্যাঙ্গারু, মৎস্য কন্যা, মাছ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন জীব জন্তুর ভাষ্কর্য। এছাড়া আরো রয়েছে বিরল প্রজাতি, পশু পাখি আকৃষ্ট, ঔষধি সৌন্দর্য বর্ধক প্রজাতির গাছের বাগান, মৌসুমী ফুলের বাগান এবং সাত রঙের গোলাপ বাগান। পার্কের উচু টিলার উপর কামরা বিশিষ্ট সুদৃশ্য বাংলো বামহুয়া রেস্ট হাউজব্যাবহার করতে হলে ময়মনসিংহ অথবা শেরপুর বন বিভাগ অফিস থেকে প্রতিদিনের জন্য হাজার ৫০০ টাকা এবং ২০০ টাকা ভ্যাটসহ মোট ৪৭০০ টাকায় ভাড়া নিতে হবে।কেউ যদি বেড়াতে এসে রাত্রি যাবন করতে চান তবে শেরপুর জেলা সদরেই থাকতে হবে কারন নালিতাবাড়ি বা ইকো পার্কে রাত্রি যাপন করার মতো কোন আবাসিক হোটেল নেই শেরপুর জেলা শহরে হাতে গোনা  তিনটি ভাল মানের আবাসিক হোটেল ছাড়াও ভিআইপিদের জন্য জেলা সার্কিট হাউজ, জেলা পরিষদ এলজিইডি রেস্ট হাউজ রয়েছে সেগুলোতে রাত্রি যাপন বা রেস্ট নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট অফিসে অগ্রিম বুকিং দিতে হবে জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজের প্রতিকক্ষ এক রাতের জন্য ভাড়া ৫০ টাকা, এলজিইডি প্রতিকক্ষ ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং সার্কিট হাউজের প্রতিকক্ষ ৪০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয় তবে ওই রেস্ট হাউজে সরকারী কর্মকর্তাদের নাম মাত্র ২০ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে রাত্রী যাপন করতে পারবেন এছাড়া শহরের আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে হচ্ছে হোটল সম্পদ, হোটেল বাগান বাড়ি কাকলি গেস্ট হাউজ অন্যতম এসব হোটেলের রুম ভাড়া ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত তবে এসি রুমের ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত
- See more at: http://www.touristguide24.com/details.php?id=2286#sthash.i1ZAEONO.dpuf

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষা শেরপুর জেলার প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গারো পাহাড়। এই গারো পাহাড়ে দেশের পার্বত্য এলাকার মতো সুউচ্চ পর্বত বা পাহাড় ও লেক না থাকলেও এখানকার শাল-গজারি, ইউকিলিপটাস-একাশিয়া, সেগুন-মেহগিনি, মিনঝিরিসহ নানা প্রজাতির গাছগালি ঘেরা ঊঁচু নিচু টিলা আর পাহাড়ি টিলা বেয়ে সমতলের দিকে ছুটে চলা ছোট ছোট ঝর্ণা, ঝোড়া ও ছড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির কলকল শব্দ যে কোন প্রকৃতি প্রেমির হৃদয়কে আন্দোলিত করবে।  ওই সব পাহাড়ি টিলার উপর এবং সমতলে শত শত বছর ধরে বসবাসকারী নৃ-গোষ্ঠির নানা সম্প্রদায়দের লোকদের সংস্কৃতি ও জীবন-জীবিকা পাহাড়ের সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করেছে। পাহাড়ের চূড়ায় ওয়াচ টাওয়ারে দাড়িয়ে উচু-নিচু পাহাড়ের গায়- মেঘ-রোদ্দুরের খেলা আর সীমান্তের ওপারের ভারতীয় অধিবাসিদের ঘর-বাড়ি’র দৃশ্য মন ছুয়ে যায়, হৃদয়কে উদ্বেলিত করে।সেসঙ্গে এই গারো পহাড়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসা হাজার হাজার নর-নারী ও প্রেমিক-প্রেমিকার  মিলন মেলা ও হাট বসে।
১৯৯৯ সনে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তরে ময়মনসিংহ বন বিভাগের ব্যবস্থাপনাধীন পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মধুটিলা ফরেষ্ট রেঞ্জের সমেশ্চূড়া বীটের আওতায় ৩৮০ একর পাহাড়ি টিলার উপর “মধুটিলা ইকো পার্ক” নামে মনোরম পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়েছে। গারো পাহাড় এলাকায় নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক নৈস্বর্গিক ওই পিকনিক কেন্দ্রে এখন হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারনায় ভরে উঠেছে। প্রতি বছর শীত মওসুমে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষা সফর ও বনভোজনে বাস, মাক্রোবাস, প্রাইভেট কার করে হাজার হাজার ভ্রমন পিপাসুরা বেড়াতে আসছে। ফলে জেলা প্রশাসন ও সরকারের রাজস্ব খাতে প্রতি বছর আয় হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ময়মনসিংহ বন বিভাগ ১৯৯৯ সন থেকে ইকো পার্কের প্রাথমিক অবকাঠামো ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ দুই পর্যায়ে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শেষ করে ২০০৬-০৭ অর্থ বছর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইকো পার্কের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছরই ইকো পার্কের বিভিন্ন খাত থেকে সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয় ৫২ হাজার ৮৩১ টাকা। এরপর ২০০৭-০৮ অর্থ বছরে ১৩ লক্ষ ৬৯ হাজার  ৬৫৮ টাকা এবং ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে আয় হয় ২৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩০৬ টাকা এবং ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা এবং চলতি বছরে আরো আয় বৃদ্ধি হবে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।  এই ইকো পার্কে বর্তমানে সুদৃশ্য প্রধান ফটক, ডিসপ্লে¬¬ মডেল, তথ্য কেন্দ্র, গাড়ী পার্কিং জোন, ক্যান্টিন, ওয়াচ টাওয়ার, মিনি চিড়িয়াখানা, মনোরম লেক ও বোটিং, স্টার ব্রীজ, স্ট্রেম্পিং রোড বা সুউচ্চ পাহাড়ে উঠার জন্য ধাপ রাস্তা (সিঁড়ি), মিনি শিশু পার্ক, মহুয়া রেষ্ট হাউজ, স্টীলের ছাতা, ইকো ফ্রেন্ডলি বেঞ্চ, আধুনিক পাবলিক টয়লেট, পার্কের প্রবেশ পথ ধরে যাওয়া বিভিন্ন সড়কের পার্শ্বে স্থাপন করা হয়েছে হাতি, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, কুমির, ক্যাঙ্গারু, মৎস্য কন্যা, মাছ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন জীব জন্তুর ভাষ্কর্য। এছাড়া আরো রয়েছে বিরল প্রজাতি, পশু পাখি আকৃষ্ট, ঔষধি ও সৌন্দর্য বর্ধক প্রজাতির গাছের বাগান, মৌসুমী ফুলের বাগান এবং সাত রঙের গোলাপ বাগান। পার্কের উচু টিলার উপর ৩ কামরা বিশিষ্ট সুদৃশ্য বাংলো বা ‘মহুয়া রেস্ট হাউজ’ ব্যাবহার করতে হলে ময়মনসিংহ অথবা শেরপুর বন বিভাগ অফিস থেকে প্রতিদিনের জন্য ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২০০ টাকা ভ্যাটসহ মোট ৪৭০০ টাকায় ভাড়া নিতে হবে। - See more at: http://www.touristguide24.com/details.php?id=2286#sthash.i1ZAEONO.dpuf

No comments:

Post a Comment