ইংল্যান্ড সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট হারছে, চতুর্থ দিন শেষেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে
গিয়েছিল। লক্ষ্য ৩৮২, তাতে ১৮ রানেই প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো
ইংলিশরা চতুর্থ দিন শেষ করেছিল ৫২ রান নিয়ে। প্রায় নিশ্চিত ব্যাপারটিই আজ
শেষ দিনের প্রথম সেশনে আনুষ্ঠানিকতা পেল। মাত্র ৪৯ রানে আজ শেষ ৭ উইকেট
হারিয়ে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ২৮০ রানের বিশাল হার জুটেছে অ্যালিস্টার কুকের
দলের ভাগ্যে।
এক রাবাদাই গুঁড়িয়ে দিলেন ইংলিশদের। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে নাম লেখালেন মাত্র ২০ বছর বয়সেই। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। কাল দ্বিতীয় ইনিংসেও দুই উইকেট। আজ শেষ দিনে নিলেন আরও চারটি। মাত্র ২০ বছর বয়সে আর কোনো পেসার ১৩ উইকেট নিতে পারেনি এক টেস্টে।
এক রাবাদাই গুঁড়িয়ে দিলেন ইংলিশদের। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে নাম লেখালেন মাত্র ২০ বছর বয়সেই। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। কাল দ্বিতীয় ইনিংসেও দুই উইকেট। আজ শেষ দিনে নিলেন আরও চারটি। মাত্র ২০ বছর বয়সে আর কোনো পেসার ১৩ উইকেট নিতে পারেনি এক টেস্টে।
২০-এর কম বয়সে ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব ছিল নরেন্দ্র হিরওয়ানির। ১৯৮৮ সালে ১৯ বছর বয়সে চেন্নাই টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই স্পিনার। রাবাদার আগে ২২ বছর বয়সে ১৩ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব ছিল ওয়াকার ইউনিসের। মাইকেল হোল্ডিংও ২২ বছর বয়সে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন, কিন্তু দিনের হিসাবে ওয়াকারের চেয়ে বড় ছিলেন। অভিষেক আন্তর্জাতিক ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে। রাবাদা আগামীর গানই শোনাচ্ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক টেস্টে ১৩ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এর আগে ছিল মাত্র দুজনের। সর্বশেষ ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাখায়া এনটিনি এমন কীর্তি গড়েছিলেন। এর আগে অফ স্পিনার হিউ টেফিল্ড দুবার ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
মজার ব্যাপার, গত বছরের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে অভিষিক্ত রাবাদার এই টেস্টের আগের ৫ টেস্টে উইকেটই ছিল মাত্র ১১টি। আর এবার এক টেস্টেই ১৩ উইকেট! কেন তাঁকে নিয়ে প্রোটিয়াদের এত মাতামাতি, সেটি বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিলেন। আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট, এবার দুই ইনিংসে ৭ ও ৬—বিশ্বমানের আরেকটি পেসার পেয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই টেস্ট জয়ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বেশ ভালো বার্তা হয়েই এল। সিরিজে তো আগেই ২-০তে পিছিয়ে গিয়েছিল, এই শেষ টেস্টটি তাই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ছিল সম্মান বাঁচানোর। তাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য ধরে রেখে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল বুঝিয়ে দিল, সবাই যতটা আশঙ্কা করছে ভবিষ্যৎ ততটা খারাপ হয়তো নয়।
ব্যক্তিগতভাবে অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সের জন্যও টেস্টটা একদমই বাজে গেছে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দুই ইনিংসে শূন্য করেছেন। রাবাদা সেই দুঃখও ভুলিয়ে দিলেন নিশ্চয়ই!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: প্রথম ইনিংস ৪৭৫/১০ (স্টিফেন কুক ১১৫, আমলা ১০৯, ডি কক ১২৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৮/৫ (আমলা ৯৬, বাভুমা ৭৮)
ইংল্যান্ড: প্রথম ইনিংস ৩৪২/১০ (কুক ৭৬, রুট ৭৬) ও দ্বিতীয় ইনিংস ১০১/১০ (টেলর ২৪, রুট ২০; রাবাদা ৬/৩২, মরকেল ৩/৩৬)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮০ রানে জয়ী
সিরিজের ফল: ইংল্যান্ড ২-১-এ সিরিজ জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কাগিসো রাবাদা
ম্যান অব দ্য সিরিজ: বেন স্টোকস
সিরিজের ফল: ইংল্যান্ড ২-১-এ সিরিজ জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কাগিসো রাবাদা
ম্যান অব দ্য সিরিজ: বেন স্টোকস
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article/750985
No comments:
Post a Comment