‘ভয় কি
মরনে
/রাখিতে
সন্তানে / মাতুঙ্গি মেতেছে
আজ
/ সমরো
রঙ্গে’-
ব্রিটিশবিরোধী জাগানিয়া এমন
সব
গনসংগীত আজও
প্রান
ছুঁয়ে
যায়
মুক্তচিন্তার মানুষের ।
আজও
প্রান
জাগায়
সমাজবদলের কিংবা
সত্য-
ন্যায়ের পথে
দেশগড়ায় ব্রত
মানুষের ।
চারনকবি মুকুন্দ দাস
এমন
অনেক
গান
বানিয়ে
, গান
শুনিয়ে
যেমন
আন্দোলিত করেছিলেন স্বদেশিদের ,বিল্ববের ঝান্ডায় রসদ
জুগিয়েছিলেন , কবিতা
, নাটক
, যাএাপালায় , বিট্টিশবিরোধী বিপ¬বীদের রাজনৈতিক মঞ্চে
সমানে
অংশ
নিয়েছিলেন , তেমনি
সময়ের
সঙ্গে
সঙ্গে
তিনি
ও
বিখ্যাত হয়ে
ওঠেন
।
উপমহাদেশজুড়ে তাঁর
খ্যাতি
ছড়িয়ে
পড়ে
গত
শতাব্দীর প্রথমভাগ থেকেই
। আজ চরনকবি
মুকুন্দ দাসের
৭৮তম
মৃত্যুবার্ষিকী ।
১৯৩৪
সালের
১৮
মে
গভির
রাতে
ঘুমের
মধ্যে
মারা
যান
তিনি
। তাঁর পূর্বপুরুষেরা ঢাকার
বিক্রমপুরের মানুষ
হলেও
তিনি
শৈশব
থেকেই
বেড়ে
ওঠেন
বরিশালে ।
তিনিও
জীবদ্দশায় বরিশালের মানুষ
হিসেব্ইে নিজেকে
পরিচিত
করেছেন
স্বাচ্ছন্দে ।
স্কুলের পড়াশোনা তেমন
হয়নি
মুকুন্দ দাসের
। কিছুদিন কেটেছে
পাঠশালায় , তারপর
বরিশালের জিলা
স্কুল
এবং
সবশেষে
বরিশাল
ব্রজমোহন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা ।
তবে
প্রায়
কুড়ি
বছর
বয়সে
কোনোরকম সার্টিফিকেট ছাড়াই
পড়ালেখার ইতি
টানেন
তিনি
। মুকুন্দ দাসের
পারিবারিক নাম
ছিল‘
যজ্ঞেশর দে’
। বাবা গুরুদয়াল দে
সরকারি
অফিসের
নিম্মশ্রেনীর কর্মচারীর কাজ
করার
পাশাপাশি একটি মুদিদোকান চালিয়ে
সংসার
টেনে
কিতেন
কোনোভাবে ।
পড়ালেখায় মন
ছিল
না
যজ্ঞেশর ওরফে
মুকুন্দ দাসের
। বাবা তাকে
বলে
কয়ে
বেঁধে
দোকানদারিতে বসিয়ে
দিয়েছেন ।
তখনআ
তার
সঙ্গে
পরিচয়
হয়
বীরেশ্বর গুপ্তের গানের
দলের
সঙ্গে
। যুক্ত হন
ওই
দলের
প্রধান
সহায়ক
হিসেবে
। শুরুতে কেবল
কীর্তনে বেশি
ঝোঁক
থাকায়
সেটা
চর্চায়
বেশি
মনোযোগী ছিলেন
। কীর্তনিয়া হিসাবে
নামডাক
ও
ছঢ়িয়ে
যায়
দ্রুত
। কীর্তন গানের
পাশাপাশি নিজে
গান
লিখে
গাইতে
শুরু
করেছিলেন। এভাবেই বেড়ে ওঠা
মুকুন্দ দাসের
। তখনো ‘মুকুন্দ’ নাম
প্রচারিত হয়নি
। সবাই ডাকে
‘যজ্ঞা’
। কীর্তনের আসরে
ডাক
পড়ে
। গানের আসওে
ডাক
পড়ে। এর
মধ্যেই
১৯০০সালে ২২
বছর
বয়সে
বিয়ে
করেন
। এর পরপরই
রামানন্দ ঠাকুরের কাছে
দীক্ষা
গ্রহন
। তিনিই তার
নাম
রাখেন
মুকুন্দ দাস
। সেই সঙ্গ
নিজে
ঢংয়ে
গান
- কবিতা
- যাএাপালার ভেতরে
ঢুকে
যান
আরও
। ১৯০৩ সালে
বরিশাল
আদর্শ
প্রেস
থেকে
প্রকাশিত হয়
তাঁর
প্রথম
বই
। নাম,‘সাধনসঙ্গীত ’।
সেটি
উৎর্সগ
করেন
গুরু
রামানন্দকে ।
যোগাযোগ হয়
নামীদামি স্বদেশি চেতনার
সাহিত্য -সংগীত
আসরে
। এ সময়
থেকে
মহাত্মা অশ্বিনীকুমারের সঙ্গে
তাঁর
সম্পর্ক গুরু-
শিষ্য
পর্যায়ে উন্নীত
হয়ে
থাকে
। স্বাদেশিকতার চর্চাও
এখান
থেকে
শুর
হয়
এবং
মুকুন্দ দাস
ক্রমেই
বৈষ্ণব
ধারনা
থেকে
সরে
আসতে
থাকেন
। ১৯০৪সালের দিকে
কালিসাধক সোনাঠাকুর দ্বারা
প্রভাবিত হন
মুকুন্দ দাস
। ১৯০৫ সালে
রচনা
করেন
প্রথম
পালাযাত্রা
মাতৃপুজা । যাএার মধ্য দিয়ে স্বদেশি আন্দোলনের ধারাকে আরও জাগরিত করেন । ওই যাএাপালার পান্ডুলিপি বাজেয়াপ্ত করে তৎকালীন পুলিশ । যাএাদল গড়ে সারা দেশ ঘুরে বেড়াতে থাকেন তিনি । যাএা থামিয়ে মাঝেমধ্যেই বক্তাতার ঢঙ্গে সমকালকে তুলে ধরেন । মুকুন্দ দাসের যাত্রাপালা ও গান বিট্টিশ শাসকের ভীতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন । বিট্টিশ সরকারের রোষানলে পড়ে ১৯০৮ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন । জেল খেটে ১৯১১ সালের প্রথমভাগে দিলি¬ কারাগার থেকে ছাড়া পান । এর মাঝেই স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে । জেলফেরত মুকুন্দ আবার পৈতৃক মুদিদোকানের হাল ধরেন । কিন্তু অল্প ব্যবধানে আবার তিনি বেড়িয়ে পড়েন গান , যাএাপালা নিয়ে মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে বিপ¬বীর বেশে । ভারতবর্ষের আনাচকানাচে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম । দেশবন্দু চিওরঞ্জন দাস , প্রিয়ম্বদা দাস , স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় , আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর গানে মুগ্ধ । নজরুল এসে দেখা করেন তাঁর সঙ্গে । এসবের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিনি বরিশালের কাশীপুর কালীমন্দিরের জায়গা কেনেন , যা এখন বরিশাল নগরীতে ঢোকার মুখে নথুল¬াবাদ বাস টার্মিনাল -সংলগ্ন চারনকবি মুকুন্দ দাসের কালীবাড়ি । জায়গা ছিল ৮৭ শতাংশ , এখন আছে মাএ ১৯ শতাংশ । বাকিটা বেহাত হয়ে গেছে । বর্তমান স্থানটুকু ঘিরে আছে ছাএাবাস , লাইব্রেরি, দাতব্য চিকিৎসালয় এবং পুজামন্দির । সামনের কিছু অংশে আছে একসারি স্টল । একটি কমিটির মাধ্যমে চলছে এর সার্বিব ব্যব¯থাপনা । মুকুন্দ দাসের স্মৃতিরক্ষায় এখন বরিশালে সবেধন নীলমনি হয়ে আছে ওইটুকুই এ ছাড়া তাঁর গান এবং সৃষ্টিকর্ম নিয়ে বিছিন্ন ভাবে কিছু কাজ হচ্ছে বরিশাল ও ঢাকায় । কেউ কেউ তাকে নিয়ে গবেষনার কাজে ওহাত দিয়েছেন । কয়েক বছর মুকুন্দ মেলা হলেও এখন পুরোপুরি বন্ধ । উদীচী-বরিশাল থিয়েটারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় ১৯৮৬সালে প্রকাশ করেছিল মুকুন্দ দাসের গানের একটি ক্যাসেট । মুকুন্দ দাস বিষয়ে বইও দুষ্প্রাপ্য । যা পাওয়া যায় , সেগুলো গতানুগতিক । এ ছাড়া গত বছর থেকে দেশের অন্যতম খ্যাতিমান নাট্যসংগঠন‘প্রাঙ্গনে মোর’ মুকুন্দ দাসকে নিয়ে বেশ সমৃদ্ধ একটি নাটক তৈরি করেছে , যা এখন বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনীর সময় বেশ প্রশংসিত হচ্ছে । এ ছাড়া অনেক দিন আগে বরিশাল নাটক মুকুন্দ দাসের যাত্রাপালা ‘সমাজ ’ নিয়ে কাজ করেও বেশ সাফল্য পায় । বরিশালের অন্যতম নাটকের দল খেয়ালি গ্রুপ থিয়েটার প্রতি বছরই মুকুন্দ দাসের স্মরনসভা করে থাকে । পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বরিশালের বেশ কয়েকজন লোক,সংঙ্গীতশিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যাঁর যাঁর অবস্থানমতো কেউ মুকুন্দ দাসকে নিয়ে লেখালেখি করেন , কেউ কেউ গান করেন , কেউ তাঁর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আলোচনা-পর্যলোচনা করে নতুন প্রজম্মের মাঝে মুকুন্দ দাসকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । আজ মুকুন্দ দাসের মৃত্যুদিবসে আসুন কেবল মুকুন্দ দাসের বরিশালেই নয়, সারা দেশের মানুষ , সারা বিশ্বের বাঙালি এক হয়ে, এক সুরে, বহুকন্ঠেন চারনকবি মুকুন্দ দাসের ভাষায় বলে উঠি -‘আয়রে বাঙালি/আয় সেজে আয়/ আয় লেখে যাই/ দেশের কাজে।
মাতৃপুজা । যাএার মধ্য দিয়ে স্বদেশি আন্দোলনের ধারাকে আরও জাগরিত করেন । ওই যাএাপালার পান্ডুলিপি বাজেয়াপ্ত করে তৎকালীন পুলিশ । যাএাদল গড়ে সারা দেশ ঘুরে বেড়াতে থাকেন তিনি । যাএা থামিয়ে মাঝেমধ্যেই বক্তাতার ঢঙ্গে সমকালকে তুলে ধরেন । মুকুন্দ দাসের যাত্রাপালা ও গান বিট্টিশ শাসকের ভীতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন । বিট্টিশ সরকারের রোষানলে পড়ে ১৯০৮ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন । জেল খেটে ১৯১১ সালের প্রথমভাগে দিলি¬ কারাগার থেকে ছাড়া পান । এর মাঝেই স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে । জেলফেরত মুকুন্দ আবার পৈতৃক মুদিদোকানের হাল ধরেন । কিন্তু অল্প ব্যবধানে আবার তিনি বেড়িয়ে পড়েন গান , যাএাপালা নিয়ে মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে বিপ¬বীর বেশে । ভারতবর্ষের আনাচকানাচে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম । দেশবন্দু চিওরঞ্জন দাস , প্রিয়ম্বদা দাস , স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় , আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর গানে মুগ্ধ । নজরুল এসে দেখা করেন তাঁর সঙ্গে । এসবের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিনি বরিশালের কাশীপুর কালীমন্দিরের জায়গা কেনেন , যা এখন বরিশাল নগরীতে ঢোকার মুখে নথুল¬াবাদ বাস টার্মিনাল -সংলগ্ন চারনকবি মুকুন্দ দাসের কালীবাড়ি । জায়গা ছিল ৮৭ শতাংশ , এখন আছে মাএ ১৯ শতাংশ । বাকিটা বেহাত হয়ে গেছে । বর্তমান স্থানটুকু ঘিরে আছে ছাএাবাস , লাইব্রেরি, দাতব্য চিকিৎসালয় এবং পুজামন্দির । সামনের কিছু অংশে আছে একসারি স্টল । একটি কমিটির মাধ্যমে চলছে এর সার্বিব ব্যব¯থাপনা । মুকুন্দ দাসের স্মৃতিরক্ষায় এখন বরিশালে সবেধন নীলমনি হয়ে আছে ওইটুকুই এ ছাড়া তাঁর গান এবং সৃষ্টিকর্ম নিয়ে বিছিন্ন ভাবে কিছু কাজ হচ্ছে বরিশাল ও ঢাকায় । কেউ কেউ তাকে নিয়ে গবেষনার কাজে ওহাত দিয়েছেন । কয়েক বছর মুকুন্দ মেলা হলেও এখন পুরোপুরি বন্ধ । উদীচী-বরিশাল থিয়েটারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় ১৯৮৬সালে প্রকাশ করেছিল মুকুন্দ দাসের গানের একটি ক্যাসেট । মুকুন্দ দাস বিষয়ে বইও দুষ্প্রাপ্য । যা পাওয়া যায় , সেগুলো গতানুগতিক । এ ছাড়া গত বছর থেকে দেশের অন্যতম খ্যাতিমান নাট্যসংগঠন‘প্রাঙ্গনে মোর’ মুকুন্দ দাসকে নিয়ে বেশ সমৃদ্ধ একটি নাটক তৈরি করেছে , যা এখন বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনীর সময় বেশ প্রশংসিত হচ্ছে । এ ছাড়া অনেক দিন আগে বরিশাল নাটক মুকুন্দ দাসের যাত্রাপালা ‘সমাজ ’ নিয়ে কাজ করেও বেশ সাফল্য পায় । বরিশালের অন্যতম নাটকের দল খেয়ালি গ্রুপ থিয়েটার প্রতি বছরই মুকুন্দ দাসের স্মরনসভা করে থাকে । পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বরিশালের বেশ কয়েকজন লোক,সংঙ্গীতশিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যাঁর যাঁর অবস্থানমতো কেউ মুকুন্দ দাসকে নিয়ে লেখালেখি করেন , কেউ কেউ গান করেন , কেউ তাঁর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আলোচনা-পর্যলোচনা করে নতুন প্রজম্মের মাঝে মুকুন্দ দাসকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । আজ মুকুন্দ দাসের মৃত্যুদিবসে আসুন কেবল মুকুন্দ দাসের বরিশালেই নয়, সারা দেশের মানুষ , সারা বিশ্বের বাঙালি এক হয়ে, এক সুরে, বহুকন্ঠেন চারনকবি মুকুন্দ দাসের ভাষায় বলে উঠি -‘আয়রে বাঙালি/আয় সেজে আয়/ আয় লেখে যাই/ দেশের কাজে।
See more at: http://www.touristguide24.com/details.php?id=2358#sthash.LYZ0FTGO.dpuf
No comments:
Post a Comment