শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে খ্রীষ্টানদের
বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের ছুটি। এছাড়া শীতের শান্ত আকাশ সব মিলিয়ে
পর্যটন নগরী সিলেটের জাফলংয়ে রের্কড পরিমাণ পর্যটক এসেছে। জাফলংয়ের পিয়াইন
নদের সৌন্দর্য, সুবিশাল পাহাড়, পিয়াইন নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু, পাথর কোয়ারী,
খাশিয়া আদিবাসীদের বাসস্থান, চা-বাগান, অসংখ্য খাশিয়া পল্লীর অপরূপ
সৌন্দর্য উপভোগ করতে উৎসবের নগরী সিলেটের –জাফলংয়ে এখন পর্যটকদের ভিড়ে
মূখরিত। দেশের উওরপূর্বাঞ্চল খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে যেখানে রয়েছে দূর্গম
পাহাড়, ছোট বড় অনেক পাহাড় টিলা, পিয়াইন নদী, সমতল ভূমি পরিবেষ্টিত অফুরান্ত
খণিজ সম্পদে ভরপুর। এখানকার খণিজ সম্পদ সারাদেশে ব্যবহার করা হয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রাকৃতিক রুপময় রাণী পাহাড়কন্যা জাফলং।
৩৬০ আউলিয়ার দেশ পূণ্যভূমি সিলেট। হযরত শাহ-জালাল (রঃ) ও হযরত শাহপরাণ (রঃ)স্মৃতি বিজড়িত সিলেটের জাফলং উওর পূর্বে অবস্থিত। জাফলং চা-বাগন ,দুর্গম পাহাড়, রাস্তার দুপাশে অসংখ্য লোকালয় সারী-সারী আম, জাম, কাঠাল, পান সুপারীর বগান।
উচু-নিচু টিলা মাটিয়া রংগের পাহাড় আর পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানি এখানে
ভ্রমণে আসা পর্যটকদের যেন মিতালীর হাত ছানি দিয়ে ডাকছে। পিয়াইন নদীই যেন
ছুটে আসা অনেকের বন্ধু। তাই বন্ধুত্বের হাতছানিতেই অনেকের মন কেড়ে
নেয়।এখানে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে চা বাগান, জাফলংয়ের রাণী নিরলা
তেংসং,খাসিয়া জমিদার বাড়ী,বল্লাঘাট পিকনিক সেন্টার, প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠা
পাহাড়, ভারত থেকে নেমে আসা পিয়াইন নদী, বণ বিভাগের গ্রীণ পার্ক, সামাজিক
বনায়ণ,পথর কোয়ারী, সারী বণ বিট উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া চা বা গানে কাজ করে
জীবিকা নির্বাহ করছে সাওতাল জন গোষ্টির হাজারও চা শ্রমিক। চা শ্রমিকদের
পদচারনায় মূখারিত হয়ে উঠে জাফলংয়ের চা বাগান।সভ্যতার ইতি পূর্বে ভারতের
বিহার থেকে আগত সাওতাল জনগোষ্টির লোকজন বস্তী স্থাপন করে জাফলংয়ের চা
বাগানে। সাওতাল জাতীরা চা শ্রমিকের কাজ করে যারা প্রতিদিন আপন মনে কচি চা
পাতা তুলে এবং আপন সুরে গান গেয়ে দুর-দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের যেন
আর্কষণ করে তুলে।
এছাড়াও জাফলংয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের অপূর্ব দৃশ্য।পিয়াইন নদীর স লগ্ন ভারতের ঝুলান্ত সেতু সবুজ রংগের স্বচ্ছ পানি নদীর দু তীরে পর্যটকদের অবাধ বিচরণ। পিয়াইন নদীতে সাতার কাটা।তাছাড়াও জৈন্তাপুরে রয়েছে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান।
এছাড়াও জাফলংয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের অপূর্ব দৃশ্য।পিয়াইন নদীর স লগ্ন ভারতের ঝুলান্ত সেতু সবুজ রংগের স্বচ্ছ পানি নদীর দু তীরে পর্যটকদের অবাধ বিচরণ। পিয়াইন নদীতে সাতার কাটা।তাছাড়াও জৈন্তাপুরে রয়েছে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান।
মোঘল রাজরাণীদের ঐতিহাসিক পুরার্কীর্তি ,জৈন্তাপুরে জৈন্তাস্বরী রাজবাড়ী।এ রাজবাড়ীতে বিট্রিশ সম্রাজ্যের মোঘলদের অনেক পুরার্কীর্তি রয়েছে।এই জৈন্তাশ্বরী বাড়ীতে বিচার কাজ করতেন মোঘল রাজারা।জৈন্তার অদূরে রয়েছে শ্রীপুর পাথর কোয়ারী,এখানে লক্ষাধিক শ্রমিক পাথর উওোলণ করে।এ পাথর কোয়ারীর আহরিত পাথর সারাদেশে সর্বরাহ করা হয়।তাছারাও রয়েছে খাসিয়াদের ঘন বসতী লোকালয়,পান সুপারীর বাগান। রয়েছে শ্রীপুর পিকনিক সেন্টার,চা-বাগান ,আকর্ষণীয় অনেক দৃশ্য উপভোগ করার মতো। জৈন্তার অদুরে রয়েছে লালাখাল । লালাখাল যাওয়ার পথে পড়ে সারী বনবিট,অসংখ্য টিলা আর মাঠিয়া রংগের পাহাড়,রাস্তার দু পাশ দিয়ে হাটতে খুব ভাল লাগে।সারী বনবিটের সামাজিক বনায়ন রয়েছে। এই বন বিটকে কেন্দ্র করে এখানে একটি পার্ক তৈরী করা হলে এটি ঢাকার রমনা পার্কের মতো একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে বলে পর্যটকদের ধারণা।জৈন্তার অদুরে সারীঘাট ,রাস্তার মধ্যে একটি ঘর রয়েছে ঘরটি ব্রিটিশ আমলের তৈরী। এটাকে পান্তশালা বলা হয়।মোঘল ও রাজ-রাণীরা দূর-দূরান্তে যাওয়ার পথে এই পান্তশালায় বিশ্রাম নিতেন বলে অনেকের ধারনা।এই পান্তালাটি সিলেট তামাবিল মহাসড়কের মাঝখানে,দু পার্শ্ব দিয়ে গাড়ী চলচল করে এটি পর্যটকদের আরও আর্কষণ করে লালাখাল যাওয়ার পথে পরে নজিমগড় বোডস্টেশন,সারীঘাট নদীর তীরবর্তী এই বোডস্টেশন,এখান থেকে বোর্ড নিয়ে সরাসরি লালাখাল চলে যাওয়া যায়। আবার ডৌডিক সড়ক দিয়ে লালাখাল পৌছানো যায়।শ্রীপুর জৈন্তা থেকে একটো সামনে জাফলং যাওয়ার পথে শ্রীপুর পিকনিক সেন্টার সেন্টারে রয়েছে আর্কষনীয় ও দর্শনীয় অনেক কিছু,প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক লোকজনের সমাগম ঘটে।শ্রীপুর থেকে জাফলং যাওয়ার পথে পড়ে জৈন্তা হিলরিসোর্ট,এখানে রয়েছে মণিপুরি হস্তশিল্প হোটেল,রেস্তুরা,মণিপুরিদের হাতে গড়া কারুকাজ মন্ডিত তৈজ্যসপএ,প্রসাধনী,সামগ্রী দুর-দুরান্তে পর্যটকরা এখানে এসে কেনা কাটা করে।জৈন্তহিল রির্সোট এ পর্যটকদের থাকা খাওয়ার সু ব্যবস্থাও রয়েছে।জৈন্তার সারী নদীতে সহস্রাধিক শ্রমিকরা কাজ করে শ্রমিকদের কাজের দৃশ্য দেখে পর্যটকরা আনন্দ পায় এবং সারী নদীতে সাতার কাটতে, নেীকায় ঘোরাফেরা করতে পর্যটকরা আনন্দ পায়। জাফলং ও জৈন্তায় রয়েছে এক অফুরান্ত সম্ভাবনার হাত ছানি, এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার পাশা-পাশি দর্শনীয় স্থান সমূহের যথাযথ তওত্বাবধায়ন করা হলে দেশের আর্কষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে রূপান্তর করা সম্ভব।এতে করে পর্যটন কেন্দ্র থেকে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারনা।
No comments:
Post a Comment