শুক্রবার শেরপুর শহরের নবীনগর ছাওয়াল পীরের দরগা সংলগ্ন খোলা মাঠে শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬৩ বছরের ধারাবহিকতায় নবীনগর এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও এ
পৌষমেলার আয়োজন করা হয়। পৌষমেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ‘গাঙ্গি’ খেলা
(কুস্তি) ছাড়াও ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস এবং তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওঠা
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলায় বিভিন্ন পিঠা ও বাংলার ঐতিহ্যবাহী
বিভিন্ন মজাদার খাবারের দোকান বসে। পাশের পাল পাড়া এলাকার মৃৎশিল্পীদের
সুনিপুণ হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও তৈজসপত্র ছাড়াও শিশুদের বিভিন্ন
ধরনের খেলনা, মেয়েদের প্রসাধনী ও চুড়ি-মালা, গৃহস্থলি বিভিন্ন আসবাবপত্রের
পসরাও সাজিয়ে বসেন দোকানীরা।
এছাড়া গ্রামীণ ঐতিহ্যের চিনির তৈরি সাজ,
উরফা, কদমা, বাতাসা, নিমকি কালাই, খুরমা, ঝুরি, মিষ্টি এবং বিভিন্ন মুখরোচক
খাবারের দোকানও বসে। শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের
মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে পৌষমেলা হয়ে উঠে জমজমাট ও প্রণবন্ত। রীতি অনুযায়ী
মেলা চলে দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
মেলায় গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি
শহরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। পৌষমেলাকে
ঘিরে নবীনগর ও আশপাশের এলাকার বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েরা বাবার বাড়িতে বেড়াতে
আসার প্রচলনও রয়েছে।
Info: http://www.24livenewspaper.com/site/?url=www.banglamail24.com/
No comments:
Post a Comment