তাজিকিস্তান জয়ী ফুটবল কন্যাদের ফুলেল শুভেচ্ছা

ময়মনসিংহে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলে তাজিকিস্তান জয়ী ফুটবল কন্যাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে ফেরার পথে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এক আনন্দঘন পরিবেশে তাদেরকে বরণ করেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি উমর হায়াত খান নইম, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ জাহান ফরিদ, কোচ সালাউদ্দিন ও বোরহান প্রমুখ। জানা যায়, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবল টিমের ১১ জনের মধ্যে ৮ জনই ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী দুর্গম উপজেলা ধোবাউড়ার কলসিন্দুর গ্রামের গর্বের ধন। দলীয় অধিনায়ক মার্জিয়া ও তহুরার বিশেষ কারণে ঢাকায় থেকে যাওয়ায় বুধবার দুপুরে রেলপথে ময়মনসিংহে এসেছে ফুটবল কন্যা মারিয়া মান্দা, তাসলিমা, মাহমুদা, নাজমা, সাজেদা ও শামসুন্নাহার।এ সময় মারিয়া বলেন, শিরোপা জয়ই ছিল আমাদের টার্গেট। টিমের সবাই ভাল খেলার কারণে আমরা সাফল্য পেয়েছি। এ সাফল্য কলসিন্দুরের ও বাংলাদেশের। এসময় গর্বিত ফুটবল কন্যা মারিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভবিষ্যতে আরো ভাল খেলতে চাই। তবে ফুটবলকে এগিয়ে যেতে আরো অনেক বেশি প্র্যাকটিস দরকার। অভিন্ন সুরে ফুটবল কন্যা মাহমুদা ও নাজমা জানান, আমরা জাতীয় দলে খেলে বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে চাই। আর এ জন্য খুব দ্রুত জাতীয় মহিলা ফুটবল লীগ চালু করা দরকার। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে হালুয়াঘাটের কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মফিজ উদ্দিন এ ফুটবল কন্যাদের নিয়ে গঠন করেছিলেন একটি ফুটবল টিম। এরপর তারা র্দীঘ প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমে জয় করেছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা কাপ। এরপর তাদের নিয়ে গঠন হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় ফুটবল টিম। গত বছর নেপালে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলে তারা প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হয়। নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে সেই ম্যাচে খেলেছিলেন এ কলসিন্দুর গ্রামেরই ৬ ফুটবলার। তাজিকিস্তানের বিপক্ষেও খেলেছেন ৬ জনই। 

Info : http://www.manobkantha.com