যুক্তরাজ্যের
নর্থ ওয়েস্ট ইংল্যান্ড এলাকার
একটি চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে পৃথিবীর
ক্ষুদ্রতম প্রজাতির বানরের একটি ছানা। ব্রিটিশ
গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, দেশটির ‘চেস্টার জু’ চিড়িয়াখানায় জন্ম
নিয়েছে ওই বানর ছানাটি। এটি
বানরের ক্ষুদ্রতম প্রজাতি ‘ইস্টার্ন পিগমি মারমোসেট’ পরিবারের
বানর।
ছোট্ট প্রজাতির এই বানরগুলো পূর্ণবয়স্ক
হওয়ার পর লম্বায় মাত্র
পাঁচ ইঞ্চি আর ওজনে
১৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছানাটির এখনো কোনো নাম
দেননি তারা। ছানাটি কোন
লিঙ্গের তাও এখন পর্যন্ত
জানা যায়নি। এদিকে বানর
ছানাটি তার বাবা ‘গুমি’র (৭) পিঠে
জড়িয়ে গাছে চড়ছে- এমন
একটি ছবি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে তা
ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
চেস্টার জু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,
ছোট্ট ওই ‘তারকা’ বানরটিকে
মাতৃদুগ্ধ পানের জন্য তার
মা আন্দ্রে’র (৬) কাছে
দেয়া হয়েছে। তবে
এ প্রজাতির বানরের মায়েরা বাচ্চাদের
তেমন কোনো যত্ন নেয়
না। তাই বাচ্চাটিকে সব
সময় তার বাবা গুমির
কাছেই রাখা হচ্ছে।
বানর ছানাটি মূলত ৩
জানুয়ারি জন্ম নিয়েছে। আকৃতি
ক্ষুদ্র হওয়ায় তার যাতে
কোনো ক্ষতি না হয়-
তা বিবেচনা করে এতোদিন ছানাটিকে
প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
বিষেশজ্ঞদের মতে, এ প্রজাতির
বানরগুলো সাধারণত ব্রাজিলের পশ্চিঞ্চল, কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, ইকুয়েডরের
পূর্বাঞ্চল এবং পেরুর পূর্বাঞ্চলীয়
ঘন সবুজ বনভূমিতে দেখা
যায়।
উল্লেখ্য, পিগমি মারমোসেটরা (Pygmy marmoset) খুবই সক্রিয় এবং
কর্মতৎপর। ক্ষুদ্রাকৃতির কারণে এরা গাছের
মধ্যে উপর থেকে নিচ,
আবার নিচ থেকে উপরে
সহজে দৌড়াদৌড়ি করতে পারে। বানরগুলোকে
পকেটে ঢুকিয়ে রাখা সম্ভব
বলে কেউ কেউ আদর
করে একে ‘পকেটবানর’ বলেও
ডাকেন। ঘাড়ভর্তি কেশরের কারণে কেউ
কেউ ডাকেন ‘খুদে সিংহ’
বলে।
এরা প্রধানত ফল, পোকামাকড় গাছের
পাতা এবং কখনো কখনো
ছোট ছোট সরিসৃপ খেয়ে
বেঁচে থাকে। এদের অন্যতম
প্রধান খাদ্য গাছের গুঁড়ির
রস। ক্ষুদ্র এই প্রাণিটি অধিকাংশ
সময়ই ব্যয় করে তার
ধাঁরালো নখের মাধ্যমে গাছে
গর্ত খুঁড়ে। এরা দুই থেকে
নয়জনের একেকটি ক্ষুদ্র দলে
বা পরিবারে বসবাস করে। দলের
নেতৃত্ব দিয়ে থাকে বয়স্ক
কোনো পিগমি মারমোসেট।
স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি প্রত্যেক
বছরই সন্তান প্রসব করে
থাকে। মজার ব্যাপার হলো,
এর মধ্যে ৭০ ভাগই
জন্ম নেয় যমজ সন্তান।
তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, পিগমি
মারমোসেট একটি বিপন্ন প্রজাতির
প্রাণি। বর্তমানে যেভাবে এদের আবাসস্থল
ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে
অদূর ভবিষ্যতে প্রজাতিটির বিলুপ্তির আশঙ্কা অমূলক নয়।
Info: http://sorejominbarta.com
No comments:
Post a Comment