ক্রিকেট ব্যাপারটাই নাকি এমন। হেরে যাওয়া ম্যাচে সব সময় ‘২০টা রানে’র
আক্ষেপ থাকেই। হারলে উঠে আসে অনেক ‘যদি’ আর ‘কিন্তু’। তবে আজ বাংলাদেশ যদি
আরও ২০টি রান বেশি যোগ করতে পারত স্কোরে? ৮ বল আর ৩ উইকেট বাকি থাকতে
নিষ্পত্তি হওয়া ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হয়তো হতেই পারত।
অধিনায়ক মেহেদী মিরাজের আক্ষেপটা বেশি হওয়ারই কথা। প্রাথমিক ধাক্কা যেভাবে সামলে নিয়েছিলেন, সাইফের সঙ্গে তাঁর ৮৫ রানের জুটিটায় এক সময় সম্ভাব্য স্কোর ২৪০-ই মনে হচ্ছিল। কিন্তু পরপর দুই বলে এই দুজন ফিরে আসায় ছন্দটা কেটে গেছে। শেষের ব্যাটসম্যানদের তো আর দায় দিয়ে লাভ নেই। ব্যর্থতা আসল ৫ ব্যাটসম্যানেরই।
অধিনায়ক মেহেদী মিরাজের আক্ষেপটা বেশি হওয়ারই কথা। প্রাথমিক ধাক্কা যেভাবে সামলে নিয়েছিলেন, সাইফের সঙ্গে তাঁর ৮৫ রানের জুটিটায় এক সময় সম্ভাব্য স্কোর ২৪০-ই মনে হচ্ছিল। কিন্তু পরপর দুই বলে এই দুজন ফিরে আসায় ছন্দটা কেটে গেছে। শেষের ব্যাটসম্যানদের তো আর দায় দিয়ে লাভ নেই। ব্যর্থতা আসল ৫ ব্যাটসম্যানেরই।
মিরাজ আজ ম্যাচ শেষে ওই ২০টি রানের আক্ষেপের কথাই বললেন। টসে জিতে ব্যাটিংটা কেন নিলেন, এই প্রশ্নের জবাবটা সরাসরি দেননি মিরাজ। তবে বললেন, ‘সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ব্যাট করতে আমাদের অসুবিধা হয়েছে। উইকেটে আর্দ্রতা ছিল। বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছিল না। তাড়াতাড়ি ২ উইকেট পড়ে যাওয়াতে আমরা চাপে পড়ে যাই। ব্যাটিংটাও প্রত্যাশামতো হয়নি আমাদের। কমপক্ষে ২০ রান কম করেছি আমরা।’
দলকে ফাইনালের মুখ দেখাতে না পারলেও পুরো টুর্নামেন্ট দুর্দান্ত খেলেছেন
মিরাজ। তিনটি ফিফটি করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে তো খেলেছেন
ম্যাচ-জয়ী ইনিংস। আজও দলের বিপর্যয়ের মধ্যে ঠান্ডা মাথায় কী অসাধারণ
ইনিংসটাই না খেললেন। কিন্তু ফাইনালে উঠতে না পারার কষ্টটাই বেশি পোড়াচ্ছে
অধিনায়ককে, ‘আমি টুর্নামেন্টের শুরুতে ব্যাটিংটা ভালো করছিলাম না। তবে
পরের দিকে তিনটি ফিফটি করেছি। ব্যাটিংটা ভালো হয়েছি। কিন্তু আজও বোলিংটা
ভালো করিনি।’
২২৬ রানের পুঁজি নিয়েও বোলাররা এত দূর টেনে নিয়েছে ম্যাচ। তবুও বোলিংয়েও তৃপ্ত নন মিরাজ। বিশেষ করে স্পিনারদের কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা করেছিলেন। এখানেও দায় নিলেন নিজেই বেশি করে। শেষে আসল কথাটাই বললেন, দলের জয়টাই আসল। দল না জিতলে ব্যাটে ওমন লড়াই, বোলিংয়েও শুরুতে দুই উইকেট তুলে নেওয়া—কী আসে যায়!
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ এখনো পুরো শেষ হয়ে যায়নি। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে তারা। এই ম্যাচটাকেই হয়তো এখন বোঝা মনে হচ্ছে মিরাজদের!
২২৬ রানের পুঁজি নিয়েও বোলাররা এত দূর টেনে নিয়েছে ম্যাচ। তবুও বোলিংয়েও তৃপ্ত নন মিরাজ। বিশেষ করে স্পিনারদের কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা করেছিলেন। এখানেও দায় নিলেন নিজেই বেশি করে। শেষে আসল কথাটাই বললেন, দলের জয়টাই আসল। দল না জিতলে ব্যাটে ওমন লড়াই, বোলিংয়েও শুরুতে দুই উইকেট তুলে নেওয়া—কী আসে যায়!
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ এখনো পুরো শেষ হয়ে যায়নি। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে তারা। এই ম্যাচটাকেই হয়তো এখন বোঝা মনে হচ্ছে মিরাজদের!
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article
No comments:
Post a Comment