৭
ম্যাচে ৫৩ রান—নিজের এই টি-টোয়েন্টি অতীত ভুলেই যেতে চাইবেন ইমরুল কায়েস।
সামনে নতুন সম্ভাবনা, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সামর্থ্যের ঝাঁপি খুলে দেওয়ার
সুযোগ। বাঁহাতি এই ওপেনার এখন আছেন দু হাত ভরে সে সুযোগ নেওয়ার
অপেক্ষায়।
তামিম ইকবাল এশিয়া কাপ না খেললে ইমরুল খেলবেন, এমন আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিল ফারুক আহমেদের নির্বাচক কমিটি। আজকালের মধ্যে ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ১৫ সদস্যের দলে ইমরুলের থাকাটা তাই একরকম নিশ্চিত। তারপরও আনুষ্ঠানিকভাবে না জানা পর্যন্ত এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাইলেন না ইমরুল। চট্টগ্রাম থেকে মুঠোফোনে শুধু জানালেন, ‘যেখানেই খেলার সুযোগ পাই, আমার পরিকল্পনা হলো বিপিএলের খেলাটা খেলার। ওই মোমেন্টামটা ধরে রাখতে পারলে সফল হব।’
বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শিরোপা জয়ের নায়কদের অন্যতম ইমরুল। ১২ ম্যাচে দুই ফিফটিসহ ৩১২ রান করেছেন। স্থানীয়দের মধ্যে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ তো বটেই, সব ব্যাটসম্যান মিলিয়েও বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় এটি দ্বিতীয়। ইমরুলের আগে আছেন শুধু কুমার সাঙ্গাকারা (৩৪৯)। এ যেন ছিল এক অচেনা ইমরুল। টি-টোয়েন্টি দূরের কথা, বাংলাদেশ ওয়ানডে দলেই যাঁকে ‘অচল’ ভাবা হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই ইমরুল যেন বিপিএলে নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন।
কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তো একটা পার্থক্য থাকেই। সেটা বোঝা গেছে বিপিএলের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটায় আবারও ইমরুলের ব্যর্থ হওয়া। এর একটা সমাধানও বের করেছেন ইমরুল, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলেই বাড়তি চাপ নিব না। প্রতি বলে চার-ছক্কার জন্য না গিয়েও যে টি-টোয়েন্টিতে সফল হওয়া যায়, বিপিএল থেকে সেটা শিখেছি। টি-টোয়েন্টিতে রানের তাড়া থাকে বলে অনেকে উইকেটে গিয়েই চার-ছক্কার জন্য অস্থির হয়ে যায়। কিন্তু আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক গেম প্ল্যান আর মাথা ঠান্ডা রেখে খেলা।’
আর অভ্যস্ততার ব্যাপার তো আছেই। ইমরুলের দৃষ্টিতে আগের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিগুলোতে রান না পাওয়ার বড় কারণ এই সংস্করণের খেলায় তাঁর অনভ্যস্ততা। বেশির ভাগ ম্যাচের আগে নাকি মানসিক প্রস্তুতিটুকু নেওয়ারও সুযোগ পাননি, ‘অনেক ম্যাচেই আমি হঠাৎ করে খেলেছি। আগে থেকে জানতাম না যে খেলব। হয়তো কেউ চোটে পড়েছে...তখন বিকল্প হিসেবে আমি নেমেছি। এভাবে হুট করে খেললে আসলে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই সফল হওয়া যায় না।’
এ ক্ষেত্রেও উদাহরণ হিসেবে আনলেন বিপিএলকে, ‘বিপিএলে যেমন জানতাম আমি সব ম্যাচ খেলব। কোনো ম্যাচে রান না পেলেও আত্মবিশ্বাস ছিল বাদ পড়ব না। টানা ১০-১২ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছি বলেই সফল হয়েছি। যে কোনো ধরনের ক্রিকেটে যে কোনো ক্রিকেটারের বেলায়ই এটা সত্যি।’
বিপিএলের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা খুলনার অনুশীলন ম্যাচেও ধরে রেখেছেন ইমরুল। ভারতে নাকের অস্ত্রোপচার করে এসে ২০-২৫ দিন বিশ্রামে ছিলেন। এরপর মাত্র এক দিন নক করেই খেলতে নেমে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ। তবে খুলনা থেকে ফেরার আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ৯১ রানের ইনিংস দিয়ে ইমরুল জানিয়ে দিয়েছেন, টেস্ট-ওয়ানডের মতো এই ফরম্যাটেও সফল হওয়ার মন্ত্র তাঁর এখন জানা। আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন ইমরুলও, ‘আমি মনে করি না যে, আমার টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা আছে। সমস্যা থাকলে রান করতে পারতাম না।’
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article
তামিম ইকবাল এশিয়া কাপ না খেললে ইমরুল খেলবেন, এমন আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিল ফারুক আহমেদের নির্বাচক কমিটি। আজকালের মধ্যে ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ১৫ সদস্যের দলে ইমরুলের থাকাটা তাই একরকম নিশ্চিত। তারপরও আনুষ্ঠানিকভাবে না জানা পর্যন্ত এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাইলেন না ইমরুল। চট্টগ্রাম থেকে মুঠোফোনে শুধু জানালেন, ‘যেখানেই খেলার সুযোগ পাই, আমার পরিকল্পনা হলো বিপিএলের খেলাটা খেলার। ওই মোমেন্টামটা ধরে রাখতে পারলে সফল হব।’
বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শিরোপা জয়ের নায়কদের অন্যতম ইমরুল। ১২ ম্যাচে দুই ফিফটিসহ ৩১২ রান করেছেন। স্থানীয়দের মধ্যে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ তো বটেই, সব ব্যাটসম্যান মিলিয়েও বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় এটি দ্বিতীয়। ইমরুলের আগে আছেন শুধু কুমার সাঙ্গাকারা (৩৪৯)। এ যেন ছিল এক অচেনা ইমরুল। টি-টোয়েন্টি দূরের কথা, বাংলাদেশ ওয়ানডে দলেই যাঁকে ‘অচল’ ভাবা হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই ইমরুল যেন বিপিএলে নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন।
কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তো একটা পার্থক্য থাকেই। সেটা বোঝা গেছে বিপিএলের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটায় আবারও ইমরুলের ব্যর্থ হওয়া। এর একটা সমাধানও বের করেছেন ইমরুল, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলেই বাড়তি চাপ নিব না। প্রতি বলে চার-ছক্কার জন্য না গিয়েও যে টি-টোয়েন্টিতে সফল হওয়া যায়, বিপিএল থেকে সেটা শিখেছি। টি-টোয়েন্টিতে রানের তাড়া থাকে বলে অনেকে উইকেটে গিয়েই চার-ছক্কার জন্য অস্থির হয়ে যায়। কিন্তু আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক গেম প্ল্যান আর মাথা ঠান্ডা রেখে খেলা।’
আর অভ্যস্ততার ব্যাপার তো আছেই। ইমরুলের দৃষ্টিতে আগের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিগুলোতে রান না পাওয়ার বড় কারণ এই সংস্করণের খেলায় তাঁর অনভ্যস্ততা। বেশির ভাগ ম্যাচের আগে নাকি মানসিক প্রস্তুতিটুকু নেওয়ারও সুযোগ পাননি, ‘অনেক ম্যাচেই আমি হঠাৎ করে খেলেছি। আগে থেকে জানতাম না যে খেলব। হয়তো কেউ চোটে পড়েছে...তখন বিকল্প হিসেবে আমি নেমেছি। এভাবে হুট করে খেললে আসলে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই সফল হওয়া যায় না।’
এ ক্ষেত্রেও উদাহরণ হিসেবে আনলেন বিপিএলকে, ‘বিপিএলে যেমন জানতাম আমি সব ম্যাচ খেলব। কোনো ম্যাচে রান না পেলেও আত্মবিশ্বাস ছিল বাদ পড়ব না। টানা ১০-১২ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছি বলেই সফল হয়েছি। যে কোনো ধরনের ক্রিকেটে যে কোনো ক্রিকেটারের বেলায়ই এটা সত্যি।’
বিপিএলের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা খুলনার অনুশীলন ম্যাচেও ধরে রেখেছেন ইমরুল। ভারতে নাকের অস্ত্রোপচার করে এসে ২০-২৫ দিন বিশ্রামে ছিলেন। এরপর মাত্র এক দিন নক করেই খেলতে নেমে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ। তবে খুলনা থেকে ফেরার আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ৯১ রানের ইনিংস দিয়ে ইমরুল জানিয়ে দিয়েছেন, টেস্ট-ওয়ানডের মতো এই ফরম্যাটেও সফল হওয়ার মন্ত্র তাঁর এখন জানা। আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন ইমরুলও, ‘আমি মনে করি না যে, আমার টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা আছে। সমস্যা থাকলে রান করতে পারতাম না।’
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article
No comments:
Post a Comment