সাত
টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেট। সেরা সাফল্য
১৬
রানে
দুই
উইকেট। এই
হলো
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের পারফর্ম্যান্স। এতটুকু পারফর্মেই কি
তাকে
নিয়ে
খুব
বেশি
আলোচনার কিছু
আছে?
আসলে
মুস্তাফিজকে বিচার
করার
জন্য
তাকাতে
হবে
তার
ওয়ানডে
পারফর্ম্যান্সের দিকে। গত
বছর
এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ
চলা
শুরু
হয়
পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০ রানে
নিয়েছিলেন দুই
উইকেট। এই
দুই
উইকেট
প্রাপ্তির মধ্য
দিয়েই
তিনি
ইঙ্গিত
দিয়ে
আসছেন
আগামীর
তারকা
হয়ে
দ্যুতি
ছড়াতে। তার
বাস্তব
প্রতিফলন ঘটাতে
খুব
বেশি
সময়
লাগেনি। দুই
মাস
পরই
ভারতের
বিপক্ষে ওয়ান
ডে
ক্রিকেটে নিজের
অভিষেক
সিরিজেই জাত
চিনিয়েছেন তিনি। বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন
তার
সামনে
এসে
হয়ে
গেছে
তাসের
ঘরের
মতো
ভঙ্গুর। এশিয়া
কাপ
শুরুর
আগের
দিন
তাই
আলোচনার কেন্দ্রে এই
পেসার। গতকাল
এশিয়া
কাপ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির কাছে
মুস্তাফিজ-সম্পর্কিত প্রশ্ন
থাকল
বেশ
কয়েকটি। মুস্তাফিজকে নিয়ে
কথা
বলতে
হলো
ভারতের
অধিনায়ক বিরাট
কোহলিকেও।
আলোচনার কেন্দ্রে থাকা
মুস্তাফিজের জন্য
এখন
আর
নতুন
কিছু
না।
তাকে
নিয়ে
আলোচনা
না
হলেও
বরং
এখন
বিস্ময়
জাগবে।
তিনবার
পাঁচ
উইকেটসহ নয়
ওয়ানডেতে মুস্তাফিজ মোট
উইকেট
নিয়েছেন ২৬টি।
এর
মধ্যে
১৩টিই
ভারতের
বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম
তিন
ম্যাচে। মুস্তাফিজের আলোচনার কেন্দ্রে থাকার
শুরুটা
হয়ে
গেছে
তখনই।
সেই
থেকে
তাকে
নিয়ে
শুরু
প্রতিপক্ষের চুলচেরা বিচারবিশ্লেষণও। এশিয়া
কাপটা
তাই
কঠিনই
হওয়ার
কথা
মুস্তাফিজের সামনে।
এশিয়া কাপের মুস্তাফিজের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি বলেন, ‘এটা সত্য যে সবাই এখন ওকে নিয়ে অনেক হোমওয়ার্ক করে এসেছে। ফলে ওর কাজটা কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু মুস্তাফিজ নিজে এসব কথায় কান দেয় না। আর হোমওয়ার্ক করলেই মুস্তাফিজকে খেলা সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করি না। কারণ ওর সেরা যে অস্ত্র; সেই কাটারটাই ও ভিন্ন ভিন্নভাবে করতে পারে। ফলে ওকে খেলা আগের মতোই কঠিন হবে। আরো স্বস্তির ব্যাপার হলো, মুস্তাফিজ কোনো চাপ নিচ্ছে না। ও কেবল ওর কাজটা ঠিকঠাক করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। খেলার বাইরের কোনো চিন্তা নিয়ে ও মগ্ন থাকে না। ওর জন্য ফিল্ডার সেট করে দেয়াটা সহজ কাজই। এটা আমরা আগে থেকেই করছি। এ বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
মুস্তাফিজ যে এই টুর্নামেন্টে বড় কিছু করে ফেলতে পারেন, সেই সম্ভাবনা দেখছেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলিও। ইনজুরি সমস্যার কারণে আজ ধোনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। খুব সম্ভবত পারবেন না। এ কারণেই হয়তো গতকাল তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বিরাট কোহলি। মুস্তাফিজকে নিয়ে করা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিপক্ষে নিজের অভিষেকে সত্যিই দুর্দান্ত ছিল মুস্তাফিজ। গত এক বছরে সে আরো অনেক উন্নতি করেছে। সব মিলিয়ে ১৯ বছর বয়সী একজন তরুণকে এভাবে বোলিং করতে দেখা দারুণ রোমাঞ্চকর বিষয়।’ মুস্তাফিজের আবির্ভাব এবং তার দুর্দান্ত বোলিংকে ক্রিকেটের জন্যই মঙ্গলজনক বলে মন্তব্য করেন কোহলি। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার উঠতি পেসার কাগিসো রাবাদার কথাও তোলেন। কোহলি বলেন, ‘ক্রিকেটে নতুন কিছুর সংযোজন করেছে মুস্তাফিজ। কাগিসো রাবাদাও দারুণ করছে। এমন কিছু বোলার থাকা ক্রিকেটের জন্য ভালো, যারা ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলে দিবে।’
আজ থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ বাংলাদেশের জন্য বড় এক ‘ফ্যাক্টর’ বলে মন্তব্য করেন কোহলি। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো পেস-বিরুদ্ধ কন্ডিশনে একজন বোলার যদি ৪-৫টা করে উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলে দেয়, তবে খেলা আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। ব্যাটসম্যানরাও বুঝতে পারে, এই বোলারদের আলাদা দক্ষতা আছে। সবাই তখন সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়।’
মুস্তাফিজকে নিয়ে মাশরাফিরা যতটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন, এশিয়া কাপের অন্য প্রতিপক্ষরা আছে ততটাই অসুবিধায়। সেই অসুবিধায় আজই পড়ার কথা ভারতের। কোহলির কথায় গতকালই ফুটে উঠেছে মুস্তাফিজকে নিয়ে তাদের বাড়তি সতর্কতার ইঙ্গিত। সম্ভাবনা সত্য করে মুস্তাফিজ যদি আজ সত্যি সত্যি ‘মুস্তাফিজ’ হয়ে উঠেন, তবে ভারত-বধের নতুন গল্প রচিত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের এশিয়া কাপের শুরুটাও হয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো।
এশিয়া কাপের মুস্তাফিজের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি বলেন, ‘এটা সত্য যে সবাই এখন ওকে নিয়ে অনেক হোমওয়ার্ক করে এসেছে। ফলে ওর কাজটা কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু মুস্তাফিজ নিজে এসব কথায় কান দেয় না। আর হোমওয়ার্ক করলেই মুস্তাফিজকে খেলা সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করি না। কারণ ওর সেরা যে অস্ত্র; সেই কাটারটাই ও ভিন্ন ভিন্নভাবে করতে পারে। ফলে ওকে খেলা আগের মতোই কঠিন হবে। আরো স্বস্তির ব্যাপার হলো, মুস্তাফিজ কোনো চাপ নিচ্ছে না। ও কেবল ওর কাজটা ঠিকঠাক করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। খেলার বাইরের কোনো চিন্তা নিয়ে ও মগ্ন থাকে না। ওর জন্য ফিল্ডার সেট করে দেয়াটা সহজ কাজই। এটা আমরা আগে থেকেই করছি। এ বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
মুস্তাফিজ যে এই টুর্নামেন্টে বড় কিছু করে ফেলতে পারেন, সেই সম্ভাবনা দেখছেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলিও। ইনজুরি সমস্যার কারণে আজ ধোনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। খুব সম্ভবত পারবেন না। এ কারণেই হয়তো গতকাল তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বিরাট কোহলি। মুস্তাফিজকে নিয়ে করা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিপক্ষে নিজের অভিষেকে সত্যিই দুর্দান্ত ছিল মুস্তাফিজ। গত এক বছরে সে আরো অনেক উন্নতি করেছে। সব মিলিয়ে ১৯ বছর বয়সী একজন তরুণকে এভাবে বোলিং করতে দেখা দারুণ রোমাঞ্চকর বিষয়।’ মুস্তাফিজের আবির্ভাব এবং তার দুর্দান্ত বোলিংকে ক্রিকেটের জন্যই মঙ্গলজনক বলে মন্তব্য করেন কোহলি। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার উঠতি পেসার কাগিসো রাবাদার কথাও তোলেন। কোহলি বলেন, ‘ক্রিকেটে নতুন কিছুর সংযোজন করেছে মুস্তাফিজ। কাগিসো রাবাদাও দারুণ করছে। এমন কিছু বোলার থাকা ক্রিকেটের জন্য ভালো, যারা ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলে দিবে।’
আজ থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ বাংলাদেশের জন্য বড় এক ‘ফ্যাক্টর’ বলে মন্তব্য করেন কোহলি। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো পেস-বিরুদ্ধ কন্ডিশনে একজন বোলার যদি ৪-৫টা করে উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলে দেয়, তবে খেলা আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। ব্যাটসম্যানরাও বুঝতে পারে, এই বোলারদের আলাদা দক্ষতা আছে। সবাই তখন সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়।’
মুস্তাফিজকে নিয়ে মাশরাফিরা যতটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন, এশিয়া কাপের অন্য প্রতিপক্ষরা আছে ততটাই অসুবিধায়। সেই অসুবিধায় আজই পড়ার কথা ভারতের। কোহলির কথায় গতকালই ফুটে উঠেছে মুস্তাফিজকে নিয়ে তাদের বাড়তি সতর্কতার ইঙ্গিত। সম্ভাবনা সত্য করে মুস্তাফিজ যদি আজ সত্যি সত্যি ‘মুস্তাফিজ’ হয়ে উঠেন, তবে ভারত-বধের নতুন গল্প রচিত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের এশিয়া কাপের শুরুটাও হয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো।
Info: http://www.manobkantha.com
সাত
টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেট। সেরা সাফল্য ১৬ রানে দুই উইকেট। এই হলো
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের
পারফর্ম্যান্স। এতটুকু পারফর্মেই কি তাকে নিয়ে খুব বেশি আলোচনার কিছু আছে?
আসলে মুস্তাফিজকে বিচার করার জন্য তাকাতে হবে তার ওয়ানডে পারফর্ম্যান্সের
দিকে। গত বছর এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
পথ চলা শুরু হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০ রানে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। এই দুই
উইকেট প্রাপ্তির মধ্য দিয়েই তিনি ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন আগামীর তারকা হয়ে
দ্যুতি ছড়াতে। তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে খুব বেশি সময় লাগেনি। দুই মাস পরই
ভারতের বিপক্ষে ওয়ান ডে ক্রিকেটে নিজের অভিষেক সিরিজেই জাত চিনিয়েছেন
তিনি। বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন তার সামনে এসে হয়ে গেছে তাসের ঘরের মতো
ভঙ্গুর। এশিয়া কাপ শুরুর আগের দিন তাই আলোচনার কেন্দ্রে এই পেসার। গতকাল
এশিয়া কাপ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির কাছে মুস্তাফিজ-সম্পর্কিত প্রশ্ন
থাকল বেশ কয়েকটি। মুস্তাফিজকে নিয়ে কথা বলতে হলো ভারতের অধিনায়ক বিরাট
কোহলিকেও।
আলোচনার কেন্দ্রে থাকা মুস্তাফিজের জন্য এখন আর নতুন কিছু না। তাকে নিয়ে আলোচনা না হলেও বরং এখন বিস্ময় জাগবে। তিনবার পাঁচ উইকেটসহ নয় ওয়ানডেতে মুস্তাফিজ মোট উইকেট নিয়েছেন ২৬টি। এর মধ্যে ১৩টিই ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ম্যাচে। মুস্তাফিজের আলোচনার কেন্দ্রে থাকার শুরুটা হয়ে গেছে তখনই। সেই থেকে তাকে নিয়ে শুরু প্রতিপক্ষের চুলচেরা বিচারবিশ্লেষণও। এশিয়া কাপটা তাই কঠিনই হওয়ার কথা মুস্তাফিজের সামনে।
এশিয়া কাপের মুস্তাফিজের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি বলেন, ‘এটা সত্য যে সবাই এখন ওকে নিয়ে অনেক হোমওয়ার্ক করে এসেছে। ফলে ওর কাজটা কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু মুস্তাফিজ নিজে এসব কথায় কান দেয় না। আর হোমওয়ার্ক করলেই মুস্তাফিজকে খেলা সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করি না। কারণ ওর সেরা যে অস্ত্র; সেই কাটারটাই ও ভিন্ন ভিন্নভাবে করতে পারে। ফলে ওকে খেলা আগের মতোই কঠিন হবে। আরো স্বস্তির ব্যাপার হলো, মুস্তাফিজ কোনো চাপ নিচ্ছে না। ও কেবল ওর কাজটা ঠিকঠাক করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। খেলার বাইরের কোনো চিন্তা নিয়ে ও মগ্ন থাকে না। ওর জন্য ফিল্ডার সেট করে দেয়াটা সহজ কাজই। এটা আমরা আগে থেকেই করছি। এ বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
মুস্তাফিজ যে এই টুর্নামেন্টে বড় কিছু করে ফেলতে পারেন, সেই সম্ভাবনা দেখছেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলিও। ইনজুরি সমস্যার কারণে আজ ধোনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। খুব সম্ভবত পারবেন না। এ কারণেই হয়তো গতকাল তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বিরাট কোহলি। মুস্তাফিজকে নিয়ে করা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিপক্ষে নিজের অভিষেকে সত্যিই দুর্দান্ত ছিল মুস্তাফিজ। গত এক বছরে সে আরো অনেক উন্নতি করেছে। সব মিলিয়ে ১৯ বছর বয়সী একজন তরুণকে এভাবে বোলিং করতে দেখা দারুণ রোমাঞ্চকর বিষয়।’ মুস্তাফিজের আবির্ভাব এবং তার দুর্দান্ত বোলিংকে ক্রিকেটের জন্যই মঙ্গলজনক বলে মন্তব্য করেন কোহলি। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার উঠতি পেসার কাগিসো রাবাদার কথাও তোলেন। কোহলি বলেন, ‘ক্রিকেটে নতুন কিছুর সংযোজন করেছে মুস্তাফিজ। কাগিসো রাবাদাও দারুণ করছে। এমন কিছু বোলার থাকা ক্রিকেটের জন্য ভালো, যারা ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলে দিবে।’
আজ থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ বাংলাদেশের জন্য বড় এক ‘ফ্যাক্টর’ বলে মন্তব্য করেন কোহলি। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো পেস-বিরুদ্ধ কন্ডিশনে একজন বোলার যদি ৪-৫টা করে উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলে দেয়, তবে খেলা আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। ব্যাটসম্যানরাও বুঝতে পারে, এই বোলারদের আলাদা দক্ষতা আছে। সবাই তখন সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়।’
মুস্তাফিজকে নিয়ে মাশরাফিরা যতটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন, এশিয়া কাপের অন্য প্রতিপক্ষরা আছে ততটাই অসুবিধায়। সেই অসুবিধায় আজই পড়ার কথা ভারতের। কোহলির কথায় গতকালই ফুটে উঠেছে মুস্তাফিজকে নিয়ে তাদের বাড়তি সতর্কতার ইঙ্গিত। সম্ভাবনা সত্য করে মুস্তাফিজ যদি আজ সত্যি সত্যি ‘মুস্তাফিজ’ হয়ে উঠেন, তবে ভারত-বধের নতুন গল্প রচিত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের এশিয়া কাপের শুরুটাও হয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো। - See more at: http://www.manobkantha.com/2016/02/24/105350.php#sthash.j0fvnuCm.dpuf
আলোচনার কেন্দ্রে থাকা মুস্তাফিজের জন্য এখন আর নতুন কিছু না। তাকে নিয়ে আলোচনা না হলেও বরং এখন বিস্ময় জাগবে। তিনবার পাঁচ উইকেটসহ নয় ওয়ানডেতে মুস্তাফিজ মোট উইকেট নিয়েছেন ২৬টি। এর মধ্যে ১৩টিই ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ম্যাচে। মুস্তাফিজের আলোচনার কেন্দ্রে থাকার শুরুটা হয়ে গেছে তখনই। সেই থেকে তাকে নিয়ে শুরু প্রতিপক্ষের চুলচেরা বিচারবিশ্লেষণও। এশিয়া কাপটা তাই কঠিনই হওয়ার কথা মুস্তাফিজের সামনে।
এশিয়া কাপের মুস্তাফিজের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি বলেন, ‘এটা সত্য যে সবাই এখন ওকে নিয়ে অনেক হোমওয়ার্ক করে এসেছে। ফলে ওর কাজটা কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু মুস্তাফিজ নিজে এসব কথায় কান দেয় না। আর হোমওয়ার্ক করলেই মুস্তাফিজকে খেলা সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করি না। কারণ ওর সেরা যে অস্ত্র; সেই কাটারটাই ও ভিন্ন ভিন্নভাবে করতে পারে। ফলে ওকে খেলা আগের মতোই কঠিন হবে। আরো স্বস্তির ব্যাপার হলো, মুস্তাফিজ কোনো চাপ নিচ্ছে না। ও কেবল ওর কাজটা ঠিকঠাক করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। খেলার বাইরের কোনো চিন্তা নিয়ে ও মগ্ন থাকে না। ওর জন্য ফিল্ডার সেট করে দেয়াটা সহজ কাজই। এটা আমরা আগে থেকেই করছি। এ বিষয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
মুস্তাফিজ যে এই টুর্নামেন্টে বড় কিছু করে ফেলতে পারেন, সেই সম্ভাবনা দেখছেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলিও। ইনজুরি সমস্যার কারণে আজ ধোনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। খুব সম্ভবত পারবেন না। এ কারণেই হয়তো গতকাল তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বিরাট কোহলি। মুস্তাফিজকে নিয়ে করা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিপক্ষে নিজের অভিষেকে সত্যিই দুর্দান্ত ছিল মুস্তাফিজ। গত এক বছরে সে আরো অনেক উন্নতি করেছে। সব মিলিয়ে ১৯ বছর বয়সী একজন তরুণকে এভাবে বোলিং করতে দেখা দারুণ রোমাঞ্চকর বিষয়।’ মুস্তাফিজের আবির্ভাব এবং তার দুর্দান্ত বোলিংকে ক্রিকেটের জন্যই মঙ্গলজনক বলে মন্তব্য করেন কোহলি। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার উঠতি পেসার কাগিসো রাবাদার কথাও তোলেন। কোহলি বলেন, ‘ক্রিকেটে নতুন কিছুর সংযোজন করেছে মুস্তাফিজ। কাগিসো রাবাদাও দারুণ করছে। এমন কিছু বোলার থাকা ক্রিকেটের জন্য ভালো, যারা ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলে দিবে।’
আজ থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ বাংলাদেশের জন্য বড় এক ‘ফ্যাক্টর’ বলে মন্তব্য করেন কোহলি। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো পেস-বিরুদ্ধ কন্ডিশনে একজন বোলার যদি ৪-৫টা করে উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলে দেয়, তবে খেলা আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। ব্যাটসম্যানরাও বুঝতে পারে, এই বোলারদের আলাদা দক্ষতা আছে। সবাই তখন সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়।’
মুস্তাফিজকে নিয়ে মাশরাফিরা যতটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন, এশিয়া কাপের অন্য প্রতিপক্ষরা আছে ততটাই অসুবিধায়। সেই অসুবিধায় আজই পড়ার কথা ভারতের। কোহলির কথায় গতকালই ফুটে উঠেছে মুস্তাফিজকে নিয়ে তাদের বাড়তি সতর্কতার ইঙ্গিত। সম্ভাবনা সত্য করে মুস্তাফিজ যদি আজ সত্যি সত্যি ‘মুস্তাফিজ’ হয়ে উঠেন, তবে ভারত-বধের নতুন গল্প রচিত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের এশিয়া কাপের শুরুটাও হয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো। - See more at: http://www.manobkantha.com/2016/02/24/105350.php#sthash.j0fvnuCm.dpuf
No comments:
Post a Comment