শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা! মেহেদী হাসান মিরাজের একেকটা বল যায়, আর
দর্শকদের স্নায়ুর ওপর দিয়ে যেন ঝড় যায়! ভাবছেন, শুরু থেকেই কাঁপতে থাকা
নামিবিয়ার বিপক্ষে আবার ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ পরিস্থিতি হলো কোথায়!
নামিবিয়ার তখন শেষ উইকেট। ৩৩তম ওভারে বোলিংয়ে এলেন মিরাজ। এর আগে ৭ ওভার বোলিং করে পেয়েছেন ১ উইকেট। আর তাতেই যুব ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিমের সর্বোচ্চ ৭৩ উইকেটে ভাগ বসিয়েছেন। ইমাদকে ছাড়িয়ে যেতে যুবা অধিনায়কের দরকার আর একটি উইকেট। নামিবিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ইনিংস তখন শেষ দিকে। তবে কি আজ গড়া হবে না মিরাজের রেকর্ড? নাকি হয়ে যাবে আজই!
এমনিতে মিরাজ মানসিকভাবে খুবই শক্ত এবং ইতিবাচক। এর আগে বোলিংয়ের রেকর্ডটা নিয়ে যখনই জিজ্ঞেস করা হয়েছে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে শুধু বলেছেন ‘হয়ে যাবে’। হয়েও গেল। ওভারের পঞ্চম বলে নামিবিয়ার শেষ উইকেট ফন উইককে এলবিডব্লু করে ইমাদের ৭৩ উইকেট টপকে মিরাজ হয়ে গেলেন যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিজেদের আগের ম্যাচেই পাকিস্তান ওপেনার সামি আসলামকে টপকে মিরাজের সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত হয়েছিলেন যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের নতুন মালিক। সেই দিন মিরাজের সামনেও সুযোগ ছিল বোলিংয়ের রেকর্ডটি গড়ার। তবে তাঁকে একটু অপেক্ষায় রেখেছিল শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম।
সেই অপেক্ষার অবসান হলো আজ। মিরাজ-ইমাদের মধ্যে অবশ্য ম্যাচ সংখ্যায় খুব একটা পার্থক্য নেই। ২০০৫ থেকে ২০০৮—এই সময় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইমাদ খেলেছেন ৪৯ ম্যাচ। সেখানে মিরাজ ৫৩ ম্যাচে উঠলেন চূড়ায়।
বোলিংয়ে দুর্দান্ত হলে ব্যাটিংয়েও কিন্তু খুব বেশি পিছিয়ে নেই। ১১৩৭ রান করেছেন ব্যাট হাতে। যুব আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের মালিকদের তালিকায় আছেন ১২ নম্বরে।
হোক না যুব ক্রিকেট। কোনো একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাতায় সর্বোচ্চ রান আর সর্বোচ্চ উইকেট—দুটিই বাংলাদেশের দখলে, এ তো অনেক গর্বের।
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article/757756/
No comments:
Post a Comment