ঘরের
মাঠে
আগামী
২৪
ফেব্রুয়ারি শুরু
হচ্ছে
এশিয়া
কাপ। টুর্নামেন্ট সামনে
রেখে
জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে
মাশরাফিদের। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ
দিয়ে
শুরু
হবে
টাইগারদের এশিয়া
কাপ
মিশন। ঘরের
মাঠে
জিম্বাবুয়ে সিরিজ
শেষে
আরো
একটি
টুর্নামেন্ট কড়া
নাড়ছে। প্রস্তুতিতে তাই
এতটুকু
ঘাটতি
রাখতে
চাইছেন
না
মাশরাফি, মুশফিকরা। কাল দ্বিতীয় দিনের
মতো
রুটিন
অনুশীলন ছিল
তাদের। অনুশীলনে নামার
আগে
’৫২-এর ভাষাশহীদের প্রতি
ফুলেল
শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয়
ক্রিকেটাররা। এরপর মাঠের
অনুশীলনে নেমেছেন। এক ফাঁকে
গণমাধ্যমের সঙ্গে
কথা
বলেছেন
ওয়ানডে
ও
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেখানে আসন্ন
এশিয়া
কাপের
প্রাসঙ্গিকতা তো
ছিলই,
সেই
সঙ্গে
ভাষা
দিবস
এবং
মাতৃভাষা বাংলা
প্রসঙ্গে কথা
বলেছেন
টাইগার
দলপতি। তার
বলা
সেসব
কথাই
নিচে
তুলে
ধরা
হলো।
আজ আপনারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শুরু করলেন। আপনাদের কাছে কেমন লাগছে?
মাশরাফি : অবশ্যই ভালো লাগছে। আর অবশ্যই এটা বাঙালি জাতির জন্য বড়দিন। সেই জায়গা থেকেই অনুশীলনের আগে এসে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া। আর এখন আমাদের কাজ হচ্ছে মাঠে নামা এবং সেরা সম্ভাব্য প্রস্তুতি নেয়া।
অভিযোগ আছে দিনে দিনে বাংলা ভাষা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। এখানে তো ক্রিকেটাররা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা এখানে কী ভূমিকা পালন করতে পারেন?
মাশরাফি : ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে ইংরেজির প্রয়োগটা একটু বেশি থাকে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আমরা যারা আছি বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষাটা সবার ভেতরেই থাকা উচিত। যেটা বললাম খেলাটাই এমন যে, সারা দুনিয়ায় ইংরেজির প্রয়োগটাই বেশি থাকে। তারপরও আমরা যেখানে থাকি আমরা চাই বাংলা ভাষায় কথা বলতে। আমাদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই বাংলা ভাষা।’
যাদের কষ্ট হয় তাদেরও জোর করে ইংরেজিতে বলতে হয়। এক্ষেত্রে কি একটু বেশি স্বাধীনতা নিতে পারেন বিশ্বের সামনে আরো একটু জোর নিয়ে এটা বলা যে, আমি বাংলায় বলতে চাই?
মাশরাফি : না আমি মনে করি না যে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা বিরাট ব্যাপার। যে ইংরেজি ভাষায় আমাকে কথা বলতেই হবে। আমি আগে যেটা বললাম, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারা একজন বাঙালি হিসেবে সবচেয়ে বড় আনন্দের এবং আমরা সেটাই বিশ্বাস করি। বিশেষ করে আমি। আর ইংরেজি যেটা বলতে হয় সেটা প্রয়োজনের খাতিরেই। তবে এমন নয় যে, আমি যদি ইংরেজি ভালো বলতে পারি সেটাই আমার জন্য বেশি ক্রেডিট।
ক্রিকইনফো প্রথমবারের মতো কোনো বাংলা বইয়ের রিভিউ করেছে। এটা কেমন লাগছে?
মাশরাফি : দেখেন আমি আবার রেকর্ড-টেকর্ডের পেছনে অত খোঁজখবর রাখি না। অবশ্যই ভালো লাগছে। এটা ভালো লাগার একটা বিষয়। এখন আসলে এটা নিয়ে ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কারণ খুব বড় টুর্নামেন্টগুলো আসছে এখন। তো আমাদের চোখ ওদিকেই। আমিও কাল শুনেছি তবে নিশ্চিত নই। যদি হয় তবে অবশ্যই ভালো লাগার একটা ব্যাপার।
এ জাতীয় দিনগুলো বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে। আজকের (গতকাল) দিনটি টুর্নামেন্টের আগে আপনাদের কতটুকু উদ্বুদ্ধ করবে?
মাশরাফি : দেখেন এটাতে খেলার সঙ্গে আসলে কোনোই মিল নেই। খেলা একটা জিনিস আর পুরো জাতি আজ যে এক হয়ে যাচ্ছে, ফুল দেয়াটাই যে গুরুত্বপূর্ণ সেটা নয়। মনের থেকে বিশ্বাস করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার কাছে মনে হয়। আমরা যে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেটা যে ফুল দিয়ে শেষ হয়ে যাওয়া, এর চেয়ে মনের ভেতর থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ইনজামাম-আকিব জাবেদ আসন্ন এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও ভারত ফেভারিট বলেছেন। এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মাশরাফি : আমরা কখনোই কোনো কিছু প্রমাণ করার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করি। সম্ভাব্য যত কিছু সব জেতার জন্য করি। সম্ভাব্য যতটুকু ভালো করা যায়। সেটার দিকেই আমাদের চোখ থাকে। সেটাই উচিত আমি বিশ্বাস করি। এর ভেতর দিয়ে হয়তো খারাপ কিছু যায় অথবা যেতে পারে, সেগুলো ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করা। এসব বাদ দিলে আমার কাছে মনে হয়, আমাদের আত্মবিশ্বাস খুব ভালো আছে। আমার বিশ্বাস, এশিয়া কাপে ভালো কিছু হবে।
টুর্নামেন্টে লক্ষ্য কী?
মাশরাফি : এই তিন দিনে নতুন কোনো কিছুর পরিকল্পনা অবশ্যই নেই। এই কয় দিনে খেলোয়াড়রা নতুন কিছু করতে পারবে না। আমরা যা করার গত এক দেড় মাসেই করে ফেলেছি। আমরা যা করেছি তার প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আমরা সেগুলো মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারলে আমার বিশ্বাস, আমরা ভালো করব।
উইকেট কেমন মনে হচ্ছে?
মাশরাফি : এই ধরনের টুর্নামেন্টে আইসিসির একটা হাত থাকে। আমার বিশ্বাস স্পোটিং উইকেটই হবে। স্পোটিং উইকেট হলে যে পেসাররা ভালো করতে পারবে না এটা ভুল। হয়তোবা সবাই একসঙ্গে ভালো করা কঠিন। যারা খেলবে সবাই ভালোটা করতে চাইবে। বেশিরভাগ খেলোয়াড় যে দলের ভালো করবে তাদের জেতার সুযোগ বেশি থাকবে।
দলের বোলিং শক্তি সম্পর্কে কি বলবেন?
মাশরাফি : ২০১৫ সালে আমাদের পেস আক্রমণ ভালো গিয়েছে। আমার বিশ্বাস ব্যাটসম্যানরাও আগের বছর খারাপ করেনি। টি-টোয়েন্টিতে আমরা যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি, আমাদের র্যাঙ্কিং বলে নির্দিষ্ট একটি জায়গাতে ফোকাস করে এগিয়ে যাওয়া খুব কঠিন আমার কাছে মনে হয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই আস্থা আছে দলের প্রতি। আমাদের আত্মবিশ্বাস যদি ঠিক মতো থাকে তাহলে আমরা ভালো খেলব।
মাশরাফি : অবশ্যই ভালো লাগছে। আর অবশ্যই এটা বাঙালি জাতির জন্য বড়দিন। সেই জায়গা থেকেই অনুশীলনের আগে এসে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া। আর এখন আমাদের কাজ হচ্ছে মাঠে নামা এবং সেরা সম্ভাব্য প্রস্তুতি নেয়া।
অভিযোগ আছে দিনে দিনে বাংলা ভাষা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। এখানে তো ক্রিকেটাররা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা এখানে কী ভূমিকা পালন করতে পারেন?
মাশরাফি : ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে ইংরেজির প্রয়োগটা একটু বেশি থাকে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আমরা যারা আছি বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষাটা সবার ভেতরেই থাকা উচিত। যেটা বললাম খেলাটাই এমন যে, সারা দুনিয়ায় ইংরেজির প্রয়োগটাই বেশি থাকে। তারপরও আমরা যেখানে থাকি আমরা চাই বাংলা ভাষায় কথা বলতে। আমাদের প্রথম পছন্দ অবশ্যই বাংলা ভাষা।’
যাদের কষ্ট হয় তাদেরও জোর করে ইংরেজিতে বলতে হয়। এক্ষেত্রে কি একটু বেশি স্বাধীনতা নিতে পারেন বিশ্বের সামনে আরো একটু জোর নিয়ে এটা বলা যে, আমি বাংলায় বলতে চাই?
মাশরাফি : না আমি মনে করি না যে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা বিরাট ব্যাপার। যে ইংরেজি ভাষায় আমাকে কথা বলতেই হবে। আমি আগে যেটা বললাম, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারা একজন বাঙালি হিসেবে সবচেয়ে বড় আনন্দের এবং আমরা সেটাই বিশ্বাস করি। বিশেষ করে আমি। আর ইংরেজি যেটা বলতে হয় সেটা প্রয়োজনের খাতিরেই। তবে এমন নয় যে, আমি যদি ইংরেজি ভালো বলতে পারি সেটাই আমার জন্য বেশি ক্রেডিট।
ক্রিকইনফো প্রথমবারের মতো কোনো বাংলা বইয়ের রিভিউ করেছে। এটা কেমন লাগছে?
মাশরাফি : দেখেন আমি আবার রেকর্ড-টেকর্ডের পেছনে অত খোঁজখবর রাখি না। অবশ্যই ভালো লাগছে। এটা ভালো লাগার একটা বিষয়। এখন আসলে এটা নিয়ে ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কারণ খুব বড় টুর্নামেন্টগুলো আসছে এখন। তো আমাদের চোখ ওদিকেই। আমিও কাল শুনেছি তবে নিশ্চিত নই। যদি হয় তবে অবশ্যই ভালো লাগার একটা ব্যাপার।
এ জাতীয় দিনগুলো বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে। আজকের (গতকাল) দিনটি টুর্নামেন্টের আগে আপনাদের কতটুকু উদ্বুদ্ধ করবে?
মাশরাফি : দেখেন এটাতে খেলার সঙ্গে আসলে কোনোই মিল নেই। খেলা একটা জিনিস আর পুরো জাতি আজ যে এক হয়ে যাচ্ছে, ফুল দেয়াটাই যে গুরুত্বপূর্ণ সেটা নয়। মনের থেকে বিশ্বাস করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার কাছে মনে হয়। আমরা যে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেটা যে ফুল দিয়ে শেষ হয়ে যাওয়া, এর চেয়ে মনের ভেতর থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ইনজামাম-আকিব জাবেদ আসন্ন এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও ভারত ফেভারিট বলেছেন। এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মাশরাফি : আমরা কখনোই কোনো কিছু প্রমাণ করার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করি। সম্ভাব্য যত কিছু সব জেতার জন্য করি। সম্ভাব্য যতটুকু ভালো করা যায়। সেটার দিকেই আমাদের চোখ থাকে। সেটাই উচিত আমি বিশ্বাস করি। এর ভেতর দিয়ে হয়তো খারাপ কিছু যায় অথবা যেতে পারে, সেগুলো ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করা। এসব বাদ দিলে আমার কাছে মনে হয়, আমাদের আত্মবিশ্বাস খুব ভালো আছে। আমার বিশ্বাস, এশিয়া কাপে ভালো কিছু হবে।
টুর্নামেন্টে লক্ষ্য কী?
মাশরাফি : এই তিন দিনে নতুন কোনো কিছুর পরিকল্পনা অবশ্যই নেই। এই কয় দিনে খেলোয়াড়রা নতুন কিছু করতে পারবে না। আমরা যা করার গত এক দেড় মাসেই করে ফেলেছি। আমরা যা করেছি তার প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আমরা সেগুলো মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারলে আমার বিশ্বাস, আমরা ভালো করব।
উইকেট কেমন মনে হচ্ছে?
মাশরাফি : এই ধরনের টুর্নামেন্টে আইসিসির একটা হাত থাকে। আমার বিশ্বাস স্পোটিং উইকেটই হবে। স্পোটিং উইকেট হলে যে পেসাররা ভালো করতে পারবে না এটা ভুল। হয়তোবা সবাই একসঙ্গে ভালো করা কঠিন। যারা খেলবে সবাই ভালোটা করতে চাইবে। বেশিরভাগ খেলোয়াড় যে দলের ভালো করবে তাদের জেতার সুযোগ বেশি থাকবে।
দলের বোলিং শক্তি সম্পর্কে কি বলবেন?
মাশরাফি : ২০১৫ সালে আমাদের পেস আক্রমণ ভালো গিয়েছে। আমার বিশ্বাস ব্যাটসম্যানরাও আগের বছর খারাপ করেনি। টি-টোয়েন্টিতে আমরা যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি, আমাদের র্যাঙ্কিং বলে নির্দিষ্ট একটি জায়গাতে ফোকাস করে এগিয়ে যাওয়া খুব কঠিন আমার কাছে মনে হয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই আস্থা আছে দলের প্রতি। আমাদের আত্মবিশ্বাস যদি ঠিক মতো থাকে তাহলে আমরা ভালো খেলব।
See more at:
http://www.manobkantha.com
No comments:
Post a Comment