ক্যারিয়ারের ২০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এমন উপলক্ষ তো সব সময় আসে না।
সেটার উদযাপন একটু অন্যরকম না হলে কি চলে? শহীদ আফ্রিদি দুর্দান্ত বোলিং
জাদু দিয়েই স্মরণীয় করে রাখলেন ম্যাচটি। কাল পাকিস্তান সুপার লিগে পেশোয়ার
জালমির হয়ে মাত্র ৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। জিতেছে তাঁর দলও।
দলের সেরা খেলোয়াড় তামিম ইকবালকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল পেশোয়ার। তামিমের
শূন্যতা ভালোভাবেই সামলে নিয়েছে আফ্রিদির দল। অধিনায়ক নিজে তাতে নেতৃত্ব
দিয়েছেন দুর্দান্ত বোলিং করে। আফ্রিদির ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়েই ১২৯ রানে
অলআউট হয়ে গিয়েছিল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। তামিমের জায়গায় ব্যাটিং
অর্ডারে পদোন্নতি পাওয়া ডেভিড মালানের ৬০, অন্য ওপেনারে মোহাম্মদ হাফিজের
৩৬ আর কামরান আকমলের ১৭ রানে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় পেশোয়ার।
বড় জয়, ক্যারিয়ার সেরা বোলিং-রাতটা বেশ ভালোই কাটল আফ্রিদির। টি-টোয়েন্টিতে দুই শর বেশি ম্যাচ খেলেছেন অনেকেই। কিন্তু তাদের কেউই ২০০তম ম্যাচে একটির বেশি উইকেট পাননি। আফ্রিদি এমনই এক রেকর্ড গড়লেন, ২০০তম ম্যাচে সেটা আর কেউ ভাঙতে পারবেন কি না কে জানে! টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই তো ছয় উইকেটের বেশি নেওয়ার কীর্তি কারও নেই।
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়টর্সকে নিজের দ্বিতীয় বলেই প্রথম ধাক্কা দেন আফ্রিদি। ফেরান আকবর উর রেহমানকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারেও ফিরিয়েছেন আসাদ শফিককে, সেটি অবশ্য রান আউটে। আফ্রিদি রুদ্ররূপে হাজির হয়েছেন নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে। মোহাম্মদ নওয়াজকে এলবিডব্লু করার পর তৃতীয় ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছেন সরফরাজ আহমেদকে। পরের ওভারে আবার জোড়া আঘাত, এবার পর পর দুই বলে শিকার মোহাম্মদ নবী ও এলটন চিগুম্বুরা। কোয়েটা তখন ৬৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে। আফ্রিদির বোলিং ফিগার তখন ৪-১-৭-৫!
টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের কীর্তির জন্য আফ্রিদিকে আরও তিন রান কম দিয়ে আরেকটি উইকেট পেতে হতো। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টিয়েন্টি লিগে কীর্তিটা করেছিলেন আরুল সুপ্পিয়া। ৩.৪ ওভারে ৫ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ৬ উইকেট। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কীর্তিটা শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিসের। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মেন্ডিস।
Info: http://www.prothom-alo.com/sports/article
No comments:
Post a Comment