Pages

Thursday, July 21, 2016

ওয়াল্টন-স্টেইনে ফাইনালে জ্যামাইকা

ওপেনার ব্যাটসম্যান চ্যাডউইক ওয়াল্টনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর ডেল স্টেইনের আগুন ঝরা বোলিংয়ে পোলার্ডের ট্রাইডেন্টসকে ৩৬ রানে হারিয়ে আট ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনালে চলে গেলো গেইল-সাকিবের জ্যামাইকা তবে ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে আউট হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান 
বৃহস্পতিবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ২০তম ম্যাচে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের মুখোমুখি হয় সাকিব-গেইলের জ্যামাইকা। ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ১৮ ওভারে উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানের বিশাল স্কোর গড়ে গেইলের দল। 
কিংস্টনের সাবিনা পার্কে টস জিতে তালাওয়াহসকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় বার্বাডোজ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই গেইলের উইকেট হারায় জ্যামাইকা। বল খেলে মাত্র রান করে আউট হন গেইল। এরপর সাঙ্গাকারা আরেক ওপেনার ওয়াল্টনের জুটিতে শুরুর ধক্কা সামলে নিয়ে বড় স্কোরের পথ দেখে সাকিবের দল। ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই দলীয় ১৪৯ রানে আউট হন সাঙ্গা। ৩১ বল থেকে চার বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায় সই ৫০ রান করেন তিনি। একই ওভারে শূন্য রানে আউট হয়ে যান আগের ম্যাচের সেরা পারফর্মার আন্দ্রে রাসেল। এরপর ১৮তম ওভারে এসে আরও দুই উইকেট হারায় জ্যামাইকা। এবারে আউট হন ম্যাচের সেরা স্কোরার ওপেনার ওয়াল্টন। মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন এই ক্যারিবিয় ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৫৪ বল খেলে নয়টি চার এবং পাঁচটি বিশাল বিশাল ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৯৭ রান করেন তিনি। ওই ওভারেই কোন রান না করেই রান আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়েন টাইগার সাকিব। ফলে দলীয় ১৯১ রান উইকেট হারায় গেইল বাহিনী এবং ১৮ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৫/৫। ট্রাইডেন্টসের হয়ে রামপাল ওয়াইসি ২টি করে উইকেট লাভ করেন
উল্লেখ্য, বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি দেরিতে শুরু হওয়ার কারণে দুই ওভারে কেটে ১৮ ওভার করা হয়। 
বিরতির পর নির্ধারিত ১৮ ওভারে ১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১৫ রানে উইকেট হারায় বার্বাডোজ। স্টেইনের বলে সাঙ্গাকারার গ্লাভস বন্দি হয়ে ১৩ রান করে বিদায় নেন ওপেনার কাইল হোপ। এরপর স্টেইন-রাসেল-অ্যালেনদের তোপে পড়ে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। শেষ পর্যন্ত ১৭. বলেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলতে সক্ষম হয় পোলার্ড বাহিনী। ফলে ৩৬ রানের জয় পায় তালাওয়াহস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। মাত্র ২৫ বলে ছয়টি বিশাল বিশাল ছক্কা একটিমাত্র চারে ৫১ রান করেন তিনি। এছাড়া শেহজাদ ১৫, পোলার্ড ১৬, মালিক ১০ এবং রামপাল ১৪ রান করেন। 
জ্যামাইকার বোলারদের মধ্যে স্টেইন ছিলেন সবচেয়ে আগ্রাসী মেজাজে। ২৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন প্রোটিয়া এই পেসার। এছাড়া অ্যালেন ২টি এবং রাসেল, গেইল উইলিয়াম ১টি করে উইকেট লাভ করেন। 
এদিকে সাকিব ভক্তদের জন্য এদিনটি ছিলো বেশ হতাশার। কারণ ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে হতাশ করেন সাকিব নিজেই আর বল করতে না দিয়ে সাকিবকে হতাশ করেন দলনায়ক গেইল। যদিও শেষ ওভারে সেই গেইলের বলেই ক্যাচ ধরে দলের জয় নিশ্চিত করেই বেশ খুশি সাকিব নিজে। খেলা শেষে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সেঞ্চুরি মিস করা ওপেনার ওয়াল্টন
Info : http://www.manobkantha.com

No comments:

Post a Comment