ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ
মানে খুশি। ঈদের
নতুন জামা-কাপড়, জুতা,
মনের মত সাজগোজ, সেমাই
খাওয়া, পরিবার আত্মীয় স্বজন
বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘোরাঘুরি
এবং আড্ডা দেয়াই যেন
ঈদের আনন্দ। তবে
ঈদের দিন সেলামি পেতে
কে না ভালোবাসে।
আর সেই সেলামিতে নতুন
টাকা আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয়
উৎসব ঈদ-উল-ফিতর।
প্রতিবছরই এই ঈদকে কেন্দ্র
করে বাজারে আসে টাকার
নতুন নোট। ঈদকে উপলক্ষ্য
করে টাকার নতুন নোটের
চাহিদাও থাকে অনেক।
ঈদু-উল-ফিতর উপলক্ষে
এবার প্রায় ৩৫ হাজার
কোটি টাকার নতুন নোট
মজুদ রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এ
টাকা সংগ্রহ করা যাবে।
একজন ব্যক্তি ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ
৮ হাজার ৭০০ টাকার
কাগুজে নোট সংগ্রহ করতে
পারবেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘আগামী
৪ জুলাই পর্যন্ত নতুন
নোট সরবরাহ করা হবে।’
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে এক
ব্যক্তি একবারই নতুন টাকা
সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে
২, ৫, ১০, ২০
ও ৫০ টাকার একটি
করে বান্ডিল অর্থাৎ মোট ৮
হাজার ৭০০ টাকার কাগুজে
নোট সংগ্রহ করা যাবে।
তবে যে কেউ চাইলে
ইচ্ছেমতো ধাতব মুদ্রা সংগ্রহ
করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, রাজধানীর মতিঝিলে
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তিনটি
কাউন্টার ও সদরঘাট অফিস
এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখা থেকে
নতুন নোট সংগ্রহ করা
যাবে। ঢাকার বাইরে বাংলাদেশ
ব্যাংকের শাখা অফিস ও
বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নতুন
নোট সংগ্রহ করা যাবে।
রাজধানীতে যেসব ব্যাংকে নতুন
নোট পাওয়া যাবে সেগুলো
হল─ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ি শাখা, জনতা ব্যাংকের
আবদুল গণি রোড কর্পোরেট
শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট
রোড শাখা, দি সিটি
ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সাউথইস্ট
ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখা,
সোস্যল ইসলামী ব্যাংকের পান্থপথ
(বসুন্ধরা সিটি) শাখা, উত্তরা
ব্যাংকের চকবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংকের
রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা ব্যাংকের
উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের
গুলশান শাখা, রূপালী ব্যাংকের
মহাখালী শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি
ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা, জনতা ব্যাংকের
নিউ মার্কেট শাখা, পূবালী ব্যাংকের
সদরঘাট শাখা, শাহজালাল ইসলামী
ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, ওয়ান ব্যাংকের
বাসাবো শাখা, ইসলামী ব্যাংকের
শ্যামলী শাখা, ডাচ্-বাংলার
দক্ষিণখান শাখা, মার্কেন্টাইলের বনানী
ও ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি
শাখা।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিস দুটি ও
অন্যান্য অফিস দুটি করে
কাউন্টার খোলা রাখবে। চট্টগ্রাম,
খুলনা ও সিলেটে অবস্থিত
বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৩টি শাখা এবং
বগুড়া, বরিশাল, রংপুর ও রাজশাহীতে
অবস্থিত বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২টি শাখার মাধ্যমে
নতুন নোটের বিনিময় করা
হবে।
No comments:
Post a Comment