মিচেল মার্শ ও
হ্যাজলউডের অনবদ্য
বোলিং নৈপুণ্যে ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে ৫৮
রানের দারুণ জয়
পেলো অস্ট্রেলিয়া।
আর এর ফলে
ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা ঘরে তুললো
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত
রাতে ব্রিজটাউনে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া
২৭০ রানের লক্ষ্য
তাড়া করতে নেমে
২১২ রানেই গুটিয়ে
যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর
আগে
দিবারাত্রির এই
ম্যাচে
টসে
জিতে
আগে
ব্যাট
করে
স্মিথ
বাহিনী। তবে
৫ম
ওভারেই
দলীয়
২৮
রানে
ব্যক্তিগত ১৪
রান
করে
হোল্ডারের বলে
আউট
হন
খাজা।
তবে
শুরুর
এই
আঘাত
সামলে
নিয়ে
অজিরা
বেশ
গুছিয়ে
নিতে
থাকে
নিজেদের ইনিংস।
তবে
ইনিংসের মাঝামাঝি দ্রুত
তিনটি
উইকেট
হারিয়ে
বিপাকে
পড়ে
স্মিথের দল।
থমকে
যাওয়া
অস্ট্রেলিয়াকে লড়ার মত রান
এনে
দেন
উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ম্যাথু
ওয়েড।
অজি
ইনিংসে
একমাত্র ফিফটি
হাকানো
ওয়েড
৫৭
রান
করে
আউট
হন।
আর
ব্যাট
হাতে
গুরুত্বপূর্ণ এক
ইনিংসের পর
প্রথম
স্পেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিবিয় ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে
দেন
মিচেল
মার্শ।
৩২
রান
করার
পাশাপাশি ৩২ রান ৩টি
উইকেট
তুলে
নেন
মার্শদের এই
ছোট
ভাই।
এছাড়া
নতুন
বলের
কারিগর
হ্যাজলউড এদিন
জ্বলে
ওঠেন
পুরানো
বলে।
এদিন
৫
উইকেট
দখল
করেন
তিনি
৫০
রান
দিয়ে।
৪১
বলে
৪৭
করে
ফিঞ্চ
আউট
হয়েছেন
কাইরন
পোলার্ডকে ছক্কা
মারতে
গিয়ে।
শ্যানন
গ্যাব্রিয়েলের বাউন্সারের উড়িয়ে
মারতে
গিয়ে
বল
আকাশে
তোলেন
অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক (৪৬)।
এছাড়া
জর্জ
বেইলি
করেন
২২
রান।
অস্ট্রেলিয়া পেল
২৭০
রানের
সংগ্রহ।
জবাবে
রান
তাড়া
করতে
নেমে
শুরুটা
খারাপ
হয়নি
ওয়েস্ট
ইন্ডিজের। উদ্বোধনী জুটিতে
৪৯
রান
তোলেন
চার্লস
ও
ফ্লেচার, যাতে
ফ্লেচারের অবদান
ছিল
মাত্র
৯
রান।
আর এই জুটি
ভাঙেন
জোস
হ্যাজলউড।
এরপর
দ্রুতই
ক্যারিবিয় ইনিংসের চেহারা
পাল্টে
দেন
মার্শ।
ক্রস
সিম
ডেলিভারিতে নাজেহাল করে
ছড়েন
ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানদের। নিজের
টানা
তিন
ওভারে
ফিরিয়ে
দেন
চার্লস
(৪৫),
আগের
ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ড্যারেন ব্রাভো
(৬)
ও
মারলন
স্যামুয়েলসকে (৬)। আর দুর্দান্ত মার্শের প্রথম
স্পেলটা ছিল
৬-১-৭-৩!
এরপর
অ্যাডাম জ্যাম্পাকে ছক্কা
মারতে
গিয়ে
পোলার্ড বিদায়
নিলে
শেষ
হয়ে
যায়
উইন্ডিজের জয়ের
সম্ভাবনা। দলের
স্কোর
তখন
৫
উইকেটে
১০৫।
এরপর
রামদিন-হোল্ডাররা কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা
করলে
দ্বিতীয় স্পেলে
ফিরে
হ্যাজলউড তাও
গুড়িয়ে
দেন।
প্রথম
উইকেটের পর
শেষ
৪
উইকেট
নিয়ে
পূর্ণ
করেন
নিজের
ওয়ানডে
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ৫
উইকেট।
এদিকে
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে
ম্যাচ-সেরা হয়েছেন মিচেল
মার্শ।
তবে
হ্যাজলউডও খালি
হাতে
ফেরেননি। সিরিজে
মোট
১১টি
উইকেট
নিয়ে
তিনিই
হয়েছেন
টুর্নামেন্ট সেরা।
Info :
http://www.manobkantha.com
No comments:
Post a Comment