বিপিএলের
প্রথম দিনে হাফ সেঞ্চুরি
হয়েছে চারটি। চারটিই
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সঙ্গে তামিম ইকবাল
করেছেন ৫৪ রান।
চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে কুমিল্লার নাজমুল হোসেন শান্ত
অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। সন্ধ্যায়
ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৫০
ও শাহরিয়ার নাফীস করেন ৫৫
রান। এই
দুজনের ফিফটি অবশ্য বৃথা
গেছে ঢাকার ওপেনার মেহেদী
মারুফের ৭৫ রানের দুর্দান্ত
ইনিংসে।
বিপিএল মানেই দেশি-বিদেশি তারকাদের সমাবেশ। পারফরম্যান্সের বিচারে প্রথম দুই আসরে বিদেশি খেলোয়াড়েরা এগিয়ে থাকলেও গতবার অবশ্য এই ধারায় আসে পরিবর্তন। বিদেশিদের সমান্তরালে ভালো খেলেছিলেন স্থানীয় খেলোয়াড়েরাও। এবারও স্থানীয় খেলোয়াড়দের জ্বলে ওঠার ইঙ্গিত থাকল প্রথম দিনেই।
তামিম ইকবাল, শোয়েব মালিক, ডোয়াইন স্মিথ, মোহাম্মদ নবী—চিটাগং ভাইকিংসের বেশ কিছু বড় নাম। তারকাদের বেশির ভাগই বিদেশি। কাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে জয়ের আসল নায়ক নবীও বিদেশি। তামিম অবশ্য মনে-প্রাণেই চান, তাঁর দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখুক স্থানীয় খেলোয়াড়েরাও।
স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে চট্টগ্রাম দলে আছেন সাকলাইন সজীব, নাজমুল হোসেন, জাকির হাসান, শহীদুল ইসলামের মতো কিছু তরুণ। সবার প্রত্যাশা, এবারের বিপিএলও বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় উপহার দেবে দেশকে। আর সেই খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই থাকবেন তাঁর দল চিটাগং ভাইকিংসে—এমনটাই চাওয়া তামিমের, ‘আমি ম্যাচ শুরুর আগে নতুন খেলোয়াড়দের বলেছি, যদিও আমাদের দলে ৪-৫ জন বড় তারকা আছে, কিন্তু কখনোই তাদের ছায়া যেন তারা না হয়। বিপিএল আমাদের টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন আগের মতো নেই যে দশ ম্যাচের দশটাই হারে। আমরা এখন ম্যাচ জিতি। আমরা এখন শক্তিশালী এক দল। সবাইকে দেখাও যে তুমি কত ভালো খেলোয়াড়। প্রতি বিপিএলে দুই-তিনজন হিরো পাই আমরা। ওদের বলেছি, এবার সেই হিরো যেন আমাদের দল থেকেই বেশি হয়।’
তামিমের কথা মারুফ শুনেছেন কি না কে জানে! তবে চট্টগ্রাম অধিনায়কের কথা যেন রাতেই বাস্তবায়ন করতে নেমে গেলেন ঢাকার এই ওপেনার। বরিশালের বিপক্ষে মারুফের ছায়া হয়ে থাকলেন তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী, ‘গ্রেট’ কুমার সাঙ্গাকারা!
মারুফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পার্শ্বচরিত্র হয়ে থাকা সাঙ্গাকারা কী বলেছেন তাঁকে? ঢাকা ওপেনার বললেন, ‘সাঙ্গাকারা কিছুই বলে না। শুধু বলে ভালো শট, চালিয়ে যাও। তবে বোলারদের খুব দ্রুত পড়ে ফেলতে পারে সে। বুঝিয়ে দেয় এই বোলারটা এমন বোলিং করছে। পরামর্শ দেয়, তুমি ওর একটা বল দেখে নিয়ো।’
শাহরিয়ার-মারুফ-নাজমুলরা যদি ছন্দটা শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারেন, এবারও স্থানীয় খেলোয়াড়দের জয়জয়কার হতে বাধ্য।
Info: http://www.prothom-alo.com
No comments:
Post a Comment