ঘরে বসেই একজন মাসে আয় করতে পারবেন প্রচুর টাকা যা ১৫ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা। এমন উজ্জ্বল সম্ভাবনার হাতছানি দিয়ে ডাকছে বিশ্ব আউটসোর্সিং মার্কেট।এখন বিশ্বে রয়েছে প্রায় এক হাজার ৪৭০ বিলিয়ন ডলারের কাজ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় এক লাখ ২২ হাজার বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে সফটওয়্যার রপ্তানিরও একটি বড় বাজার রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ বাজার বড় হচ্ছে। বাংলাদেশ এ টাকার শতকরা এক ভাগেরও কম কাজ করে। ভারত করে ৪৩ ভাগ। অথচ শ্রমমূল্য কম হওয়ায় এ বিপুল পরিমাণ টাকার বড় অংশই ঘরে তোলার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। শুধু দরকার কার্যকর উদ্যোগ আর সচেতনতা। কাজ করার উপযোগী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারলে ও ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য হলেই অতি অল্প সময়ে এ খাতটি গার্মেন্টস খাতকেও ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।বর্তমানে দেশের প্রায় ৩০ হাজার পেশাদার তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বিশ্বের হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানের হয়ে ঘরে বসেই কাজ করছেন। এ ছাড়া লক্ষাধিক তরুণ বিভিন্ন পর্যায়ে আউটসোর্সিংয়ে জড়িত। এ সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সারা বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আউটসোর্সিংয়ের কাজ। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অনেক কাজই এখন বাইরের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি দিয়ে করিয়ে নেয়। এসব কাজ করানোর ক্ষেত্রে তারা দক্ষতার পাশাপাশি কম টাকায় কাজ করে এমন দেশকেই বেছে নেয়। প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকলে ইন্টারনেটের মার্কেট প্লেস (যেখানে কোম্পানিগুলো কাজ দেয়) থেকে কাজগুলো বিট করে নিতে পারে যে কেউ। বর্তমানে ফিলিপাইন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর আয় করছে। ফিলিপাইনে গত আট বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে শুধু আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে।
তথ্য সুত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন