Pages

Thursday, December 31, 2015

আমাদের সুন্দরবনের ট্যুর

সুন্দরবন ভ্রমণ অনেক কারণেই আকর্ষণীয়; তবে একটি কারণে তা একেবারেই অনন্য। ট্যুর কোম্পানিকে ভ্রমণের টাকা দেওয়ার পর আপনি থাকতে পারেন হাত-পা ঝাড়া হয়ে। পুরো ভ্রমণে আর কোনো খরচ নেই। তিন-চার দিন সুন্দরবনের সৌন্দযে মোহিত হবেন, অথচ পকেটের ভাবনা থাকবে না। সময়মতো হাজির হবে সকালের নাশতা, দুপুর ও রাতের খাবার। এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে!

ঋতুভেদে সুন্দরবন বারবার রূপ পাল্টায়। যখনই অবকাশ মেলে, চলে যাই সুন্দরবন ভ্রমণে; বাঘ দেখার একটা আশা তো থাকেই। বহুবার বহু মানুষের মুখে শুনেছি, সামনাসামনি বাঘ দেখলে শরীর পাথর হয়ে যায়, কথা বলার শক্তি থাকে না। আমিও বহুবার আশা করেছি, কোনো একদিন বাঘের দেখা পাব; কিন্তু সে সৌভাগ্য ঘটেনি অনেক দিন। ধরেই নিয়েছিলাম, বাঘ দেখার মুহূর্ত আমার জীবনে আর আসবে না, কিন্তু সেটাও এল। সেই গল্প দিয়েই শুরু করি লেখাটা।
সেবার চার-পাঁচ দিন সুন্দরবনে ঘুরে ফেরার সময় হলো। ভেবেছিলাম, এবারও বাঘের সঙ্গে দেখা হবে না। অনেকের মধ্যে সেবার সঙ্গী হয়েছিলেন সাংবাদিক নঈম তারিক ও শিল্পী আ হা চঞ্চল। এটা ছিল তাঁদের প্রথম সুন্দরবন দর্শন। সুন্দরবনে রওনা হওয়ার আগে থেকেই বলছিলেন, বাঘ তাঁরা দেখবেনই। আমি মুচকি হাসতাম। সেই ১৯৭৩ সাল থেকে খসরু চৌধুরী (যিনি ‘বাঘ খসরু’ নামেই পরিচিত) সুন্দরবন ভ্রমণ করছেন, কিন্তু বাঘের দেখা পেয়েছেন প্রায় এক যুগ পর। আমিও ১০-১১ বার এসেছি, কিন্তু বাঘের পায়ের ছাপ আর বিষ্ঠা ছাড়া কিছুই দেখিনি। কিন্তু চঞ্চলের বিশ্বাস ভঙ্গ করতে ইচ্ছে হলো না। তিনি তাঁর বিশ্বাসে অটল। আমি বরং রসিকতাই করছিলাম। হঠাৎ কোনো বাঁদর দেখলেই বলতাম, ‘চঞ্চল, দেখেন, বাঘ!’
ফিরে আসার দিন লঞ্চে আমি আর নঈম আড্ডা দিচ্ছি। শেল্লা নদী দিয়ে চলেছে লঞ্চ। চঞ্চল হঠাৎ চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘বাঘ! বাঘ!’
আমরা ভাবলাম রসিকতা, কিন্তু তখন লঞ্চের সবাই হুড়মুড় করে ছুটে চলেছে চঞ্চলের দিকে। আমরাও গেলাম। দেখলাম, একটি ডোরাকাটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার নদীর এপার থেকে ওপারে পাড়ি জমিয়েছে। কিন্তু লঞ্চে মানুষের চিৎকার শুনে নদীতেই একটু থমকে দাঁড়াল। তারপর ফিরে গেল সেই পথে, যে পথে রওনা হয়েছিল। এরই মধ্যে সবার হাতের ডিজিটাল ক্যামেরা ক্লিক ক্লিক করে উঠল। কিন্তু ছোট ডিজিটাল ক্যামেরায় কি আর দূরের বাঘের ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে! আমরা তাই খুঁজতে লাগলাম আলোকচিত্রী জাকির হোসেনকে। তাঁর আছে পেশাদারি ক্যামেরা। তিনি তখন স্নানপর্ব সারছেন। আমরা তাঁকে টেনেটুনে স্নানঘর থেকে বের করলাম। খালি গায়েই তিনি চলে এলেন। ক্যামেরায় টেলিলেন্স লাগিয়ে বাঘের ছবি তুললেন। এই ছবি আমাদের সংগ্রহে না থাকলে কে বিশ্বাস করত, আমরা নিজের চোখে বাঘ দেখেছি?
এ ছাড়া আরও কত গল্প আছে সুন্দরবন নিয়ে! যেমন, একবার মৌমাছির খোঁজে গিয়ে দলবলসুদ্ধ মৌমাছির কামড় খাওয়ার কথাও মনে আছে। কামড় খেয়ে দুজনের তো হাসপাতালে স্থান করে নিতে হয়েছিল।
অবকাশের জন্য সুন্দরবনের চেয়ে ভালো জায়গা আর নেই। নিসর্গ উপভোগ করা, লঞ্চ থেকে নেমে নৌকায় সূর্যোদয় দেখা, কুমির, বাঁদর, হরিণ, সাপ, হাজারো পাখি প্রভৃতি দেখার আনন্দই আলাদা। খুলনা-মংলা হয়ে সুন্দরবন যাওয়া যায়; মংলা থেকে কিছুদূর গেলেই শুরু হয়ে যায় সুন্দরবন।এর পরই কচিখালী হয়ে যাওয়া যায় কটকা পর্যন্ত।আবার সাতক্ষীরার বুড়ি গোয়ালিনী দিয়ে, জামতলা হয়েও যাওয়া যায়। দূরের গন্তব্য কটকা বা হিরণ পয়েন্ট।সুন্দরবন গেলে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সুন্দরবন হলো প্রাণীদের এলাকা, তাদের বিরক্ত করা একেবারেই উচিত হবে না।
থাকা খাওয়া
থাকার জন্য সুশীলনের টাইগার পয়েন্ট এবং বর্ষার রেস্ট হাউসই ভরসা। টাইগার পয়েন্টে রুমপ্রতি ভাড়া ৫০০-১৭০০ টাকা। তবে ডরমেটরি টাইপের কিছু রুমে প্রতি বেডের ভাড়া পড়বে ২০০টাকা। এখানে ৩টি আধুনিক সুবিধাসহ কনফারেন্স রুমও আছে। এছাড়া, একসঙ্গে ১০০ জন মানুষ এখানে থাকতে ও খেতে পারবে। এখানে আরও একটি স্পেশাল সুযোগ পাবেন। সেটা হলো, ছাদে বসে বাডর্স আই ভিউ থেকে সুন্দরবন দেখা। আর চাঁদনি রাত যদি পেয়ে যান, তাহলে তো কথাই নেই। আর যদি মংলা দিয়ে যেতে চান। তবে থাকার জন্য আছে পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল। ঢাকা থেকে বুকিং দিয়ে যেতে পারেন। ভাড়া ৮০০ থেকে ২২০০ টাকা।
য়াতায়াত
ঢাকার কল্যাণপুর, মালিবাগ ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে সোহাগ, সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস, কে লাইন, একে ট্রাভেলস, এম আর, ঈগল, এসপি গোল্ডেন লাইনপরিবহনসহ প্রায় ১২টি পরিবহনে সাতক্ষীরা যাওয়া যায়। একে ট্রাভেলস এবং এম আর পরিবহনে সরাসরি যাওয়া যায় সাতক্ষীরা শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে। ভাড়া ৫০০ টাকা। তবে এসি পরিবহনে যেতে পারবেন সাতক্ষীরা সদর পর্যন্ত। ভাড়া ৭০০-১০০০ টাকা। সকাল, দুপুর ও রাতের তিনটি নির্দিষ্ট সময়ে গাড়িগুলো ঢাকা ছেড়ে যায়। মংলা দিয়ে যেতে চাইলেও খুলনা বা মংলার বাস পাওয়া যাবে একই স্থান থেকে। সেখান থেকে ট্রলার বা বোটে যেতে পারেন সুন্দরবন। ঘাটে ট্রলার পাবেন অনেক।ভাড়া ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা।

Tuesday, December 29, 2015

সুন্দরবনের বাঘ

সুন্দরবন সমুদ্র উপকুলবর্তী নোনা পরিবেশের একটি বড় অখন্ড ম্যানগ্রোভ বন। বাংলাদেশ ও ভারতের বিশাল সীমানা জুড়ে বিসতৃত এ বনভুমি অবস্থিত। পৃথিবীর ৩টি ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের অবস্থান সবচেয়ে মর্যাদা সমপন্ন । যার ৬২ শতাংশ বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থিত। বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন যার রয়েছে অপরিসীম নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। যাকে ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষনা দিলেও এখন পর্যন্ত সপ্তাশ্চর্যের প্রথম স্থানে নেওয়ার জন্য এই উপমহাদেশের আমরা সবাই যথাসম্ভব চেষ্টা করছি।
 
 ১০ হাজার ২৮০ বর্গ কিলোমিটারের এই বনে রয়েছে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী হরিণ, ভয়ঙ্কর ও সুন্দর অজগর, কুমির,বানর সহ প্রায় ১হাজার প্রজাতীর পশু, সাড়ে ৩০০ প্রজাতির পাখি, ও ৩৫০ প্রজাতির সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেওরা, ধুন্দল, গোলপাতাসহ মনজুড়ানো গাছ। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনসহ কিছু অসাধু মানুষের বিভিন্ন অপরকর্মের কারণে আমদের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ধীরে ধীরে তার অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য হারাতে বসেছে । সুন্দরবনের ৪শতাধিক নদী, হাজার হাজার খালের অসহণীয় লবণাক্ততা, সিডর-আইলাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে গত ৪০ বছর ধরে নীরবে ধ্বংস হচ্ছে আমাদের প্রিয় সুন্দরবন। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫০বছরের মধ্যে হারিয়ে যাবে সুন্দরবনের ৭৫ শতাংশ। বর্তমানে সুন্দরবনে ঢুকলেই চোখে পড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব। ২০০৭ সালের সিডর ও ২০০৯ সালের আইলার ক্ষত এখনো রয়েছে সুন্দরবনের বুক। বনের অনেক জায়গায় পরে আছে শুকনো ও আধমরা সুন্দরী, গেওয়া, বাইনসহ বিভিন্ন দামী গাছ। যে গাছগুলো দক্ষিণাঞ্চলের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সবসময় দাড়িয়ে থাকত মাথা উচু করে। কিন্তু সিডর ও আইলায় ধবংস করেছে সুন্দরবনের বিশাল একটি অংশ। এই গাছগুলির প্রান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করে হলেও প্রতিকুল জলবায়ু, সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি, অনেক খাল ও নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে মিষ্টি পানির প্রবাহ কমে যাওয়া, কিছু নদীতে লবন পানির প্রবাহ আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়া, বায়ুমন্ডলে কার্বনের পরিমান বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারনে তা সফল হচ্ছে না। যে কারনে গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে আর সুন্দরবন হারাচ্ছে তার স্বাভাবিকতা। ধ্বংস হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সব প্রাণীকুলের সম্ভার। বন বিভাগের পরিসংখ্যন অনুযায়ী এর মধ্যেই সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের সবচেয়ে গহিনে অবস্থিত মান্দারবাড়িয়া ক্যামপ সমুদ্রবক্ষে হারিয়ে গেছে। যার অবস্থান ছিল বঙ্গপসাগর থেকে মাইল কয়েক দূরে। মান্দারবাড়িয়ায় ছিল একটি মিষ্টি পানির পুকুর, যার পানি খেয়ে হাজার হাজার জেলে, বনরক্ষী, বাওয়ালী, মৌয়ালসহ ঐ এলাকার বাসিন্দারা পানির অভাব পূরণ করত। সুন্দরবনে মাছ ধরতে আসা জেলেদের মতে মান্দারবাড়িয়ার মিষ্টি পুকুর সহ সেখানকার ১৫২০কি.মি. এলাকা সমুদ্রগর্ভে ডুবে গেছে। এছাড়াও নদী ভাঙ্গনের ফলে পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের হাজার হাজার খাল ও চার শতাধিক নদী। ফলে ভরা আমাবস্যা ও পুর্ণিমান জোয়ারে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভেসে গেলেও পথ না থাকায় ভাটার সময় সে পানি আর নামতে পারে না। যার ফলে সৃষ্টি হয় ভয়ঙ্কর লোনা পানির জলাবদ্ধতা। ধারণা করা হচ্ছে এসব কারনেই ম্যানগ্রোভ গাছ শ্বাস ছাড়তে না পেরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের অতন্দ্র প্রহরী সুন্দরী গাছ। বন রাণীর আদরের ধন গাজী, কালু, চমপাবতী, মৌয়াল, বাওয়ালী, সুন্দরী, কুমির, বানর , হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বনমোরগসহ হাজার প্রজাতীর প্রাণী আজ চরম হুমকির মুখে।
প্রায় ৪০বছর ধরে সুন্দরবনের এ ধ্বংসাত্মক প্রবনতা লক্ষ করা যায় তবে তখন এ প্রবনতা ছিল ক্ষীণ। সুন্দরী গাছের প্রায় সবই কালো হয়ে মারা যাচ্ছে। বনের প্রায় ৭৩শতাংস গাছই সুন্দরী গাছ। আর সুন্দরী ছাড়াও সুন্দরবনে ৩৩৪ প্রজাতির গাছ রয়েছে। বর্তমানে এঅবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৫০বছরে সুন্দরবনের ৭৫শতাংশ ভূমিই গাছশূন্য মরুভূমিতে পরিনত হবে। গুন্দরী গাছের এ অকাল মৃত্যুর জন্য বিশেষজ্ঞরা এখানকার নদী ও বঙ্গপসাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়া এবং সর্গীয় গঙ্গা নদীর উপর দিয়ে ভারতীয় ফারাক্কা বাধকে দায়ী করেন। নদী বিশারদ ড. আইনুন নিশাতের মতে, ফারাক্কা বাধের পরই প্রথম খুলনা, বাগেরহাট, ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়। যেহেতু উজানের পানির সাথে এখন আর সুন্দবনের নদীগুলোর কোন সমপর্ক নাই তবে বর্ষা মৌসুমে মাথাভাঙ্গা ও জলাঙ্গী নদী থেকে সামান্য মিষ্টি পানি আসে। তাই ১৯৭৫ সালের পর থেকেই নিয়মিত বেড়ে চলেছে সুন্দরবনের লবণাক্ততা এবং নদীর পানিতে উচ্চমাত্রার এলকোহল।মংলা ক্রিক, রামপাল ও ভোলার চান্পাই নদী ইতি মধ্যে শূকিয়ে গেছে। এছাড়াও মংলা বন্দর ও বঙ্গপসাগরের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী বনের মধ্যে থেকে প্রবাহিত একমাত্র নদী পশুরের বুকে জেগেছে বিশাল চর। যা সুন্দরবনের জন্য হুমকি স্বরুপ। জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য প্রতিকুলতার কারণে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের প্রধান আকর্ষন রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মিষ্টি ও লোনা পানির কুমির, ঘরিয়াল, হরিন, চিত্রা হরিন, মায়া হরিন, বানর, বন্য শুকর, অজগর, বন বিড়াল, হনুমান, বন মহিষসহ সব রকমের আকর্ষণীয় প্রাণীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। এবনের সবখানে পাওয়া যেত , বন মরোগ, ময়না, টিয়া, মাছরাঙ্গা, মদনটাক, মাস্ক ফিনফুট, পানকড়ি, বালিহাস, কাকাতুয়া, ডাহুকসহ অনেক পাখি এখন আর আগের মত পাওয়া যায় না। আর সাদা শকুন, সঙ্খচিল, ঈগল, সাদা ঈগলতো এখন বিরলপ্রায়। নদী ও খালে মাছের উপস্থিতি কমেছে আশংকাজনকভাবে।অভয়ারণ্য না থাকায় প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে এবং বনদস্যু ও শিকারীদের তাড়া খেয়ে বাঘ সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামে অহরহ প্রবেশ করছে। এসময় স্থানীয় জনতার পিটুনিতে ঐসব বাঘ মারা পড়ছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দূর্যোগ, ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছাসের কারণে বিভিন্ন সময়ে অনেক বাঘ মারা গেছে। সিডরে মারা যাওয়া বাঘের কঙ্কালটি দেখা যায় করমজল জাদুঘরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শরনখোলা রেঞ্জের এক বন কর্মকর্তা বলেন, জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ-অদূর ভবিষ্যতে সুন্দরবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে এই প্রবাদটি কেউই বলবে না। জলবায়ু- পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবনে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী শিকার বেড়েছে।

 তিনি বলেন, আগে সুন্দরবনে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেতো। এখন অতিরিক্ত লবনাক্ততার কারণে সে অবস্থার পরিবর্তন এসেছে। তাছাড়া জলদস্যুতো রয়েছেই। মাছ ধরার মত আদি পেশা ছেড়ে জেলে সহ বনজীবীরা এখন বাঘ শিকারের নেশায় মেতেছে। লবনাক্তার কারণে গোলপাতা ও গরান বন ধ্বংসের পথে, ফলে বাওয়ালীরাও জেলে-মাঝিদের পথ অনুসরণ করছে।আনর্জাতিক বাজারে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়ার চড়া মূল্য থাকায় এখন চোরা শিকারিদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে সুন্দরবনের বাঘ। সসপ্রতি তিন টি বাঘের চামড়া সহ কয়েকজন শিকারী সুন্দরবন পূর্ব বণ বিভাগের বন প্রহরীদের হাতে আটক হয়েছে।সূত্রে জানা গেছে, বাঘ শিকারীরা জেলে সেজে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বনে যায়। এরপর খাদ্যে বিষ মিশিয়ে, ফাঁদ পেতে, বন্দুক দিয়ে গুলি করে বাঘ হত্যা ঘরে। বাঘ শিকারিরা বাঘ হত্যার পর স্থানীয় পদ্ধতিতেই বাঘের চামড়া সংরক্ষণ করে। পরে তা পাচারকারী চক্রের সাহায্যে বিদেশে পাচার হয়। স্থানীয়ভাবে একটি চামড়ার জন্য শিকারিরা দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা পেলেও বিদেশে একটি চামড়া ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।পরিবেশবাদিদের মতে, ১৯৭৫ সালের পর সুন্দরবনে আর বাঘ বাড়েনি। প্রাকৃতিক কারণে মারা গেছে বছরে প্রায় দুইটি করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, আর চোরা শিকারিদের হাতে বছরে মারা পড়ে প্রায় ১০টি বাঘ। কিন্তু বন বিভাগ এ সংখ্যা তিন থেকে চারটি বলে জানিয়েছে।আনর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষন ইউনিয়ন, আইইউসিএন এর লাল তালিকা অনুযায়ী পৃথিবীতে বর্তমানে আড়াই হাজার বাঘ আছে। আর বাংলাদেশে এর সংখ্যা মাত্র ২০০। দক্ষিনাঞ্চলসহ এ উপমহাদেশের গনমানুষের চাওয়া এখন সুন্দরবনকে রক্ষা করা। তাদের চাওয়া এখন যে কোন মূল্যে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনা। এবং সুন্দরবনে শুধুমাত্র সেইসব মানুষকে ঢুকতে দেওয়া উচিত যারা সুন্দরবনের কোন ক্ষতি করবে না।

চীনে রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থের তর্জমা নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে চীনের এক প্রকাশক দোকান থেকে সব বই প্রত্যাহার করেছে চীনা ঔপন্যাসিক ফেঙ টাঙের অনুবাদ যৌন আবেদনে ভরপুর বলে অভিযোগ করা হচ্ছে
স্ট্রে বার্ডস` (Stray Birds) নামে ইংরেজিতে লেখা রবীন্দ্রনাথের এই কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এতে ৫০টি কবিতা রয়েছে


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থের তর্জমা নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে চীনের এক প্রকাশক দোকান থেকে সব বই প্রত্যাহার করেছে। চীনা ঔপন্যাসিক ফেঙ টাঙের অনুবাদ যৌন আবেদনে ভরপুর বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
স্ট্রে বার্ডস` (Stray Birds) নামে ইংরেজিতে লেখা রবীন্দ্রনাথের এই কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এতে ৫০টি কবিতা রয়েছে।
মি. ফেঙের অনুবাদের সমলোচনা করে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপল্‌স ডেইলি সংবাদপত্র এক পর্যালোচনায় বলছে, আগে এই কবিতার যে অনুবাদ চীনা ভাষায় হয়েছে, মি. ফেঙের অনুবাদ তার চেয়ে অনেকখানি ভিন্ন।
ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, অনুবাদ করতে গিয়ে মি. ফেঙ যেসব শব্দ চয়ন করেছেন তা এতোটাই অশালীন যে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে অনুবাদের মানের প্রশ্নে নিজের কাজকে সমর্থন করে মি. ফেঙ বলছেন, তার অনুবাদে কোনো ভুল নেই।
ডংফাঙ ডেইলি সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ``কাব্যগ্রন্থের মূল ভাষা এবং কবির মনোভাবনার নানা রকম ব্যাখ্যা হতে পারে। এর মধ্যে কোন্‌টি ঠিক এটা কে দাবি করতে পারে?``
- See more at: http://m.dailynayadiganta.com/detail/news/81077#sthash.FC9GG5gh.dpuf
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থের তর্জমা নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে চীনের এক প্রকাশক দোকান থেকে সব বই প্রত্যাহার করেছে। চীনা ঔপন্যাসিক ফেঙ টাঙের অনুবাদ যৌন আবেদনে ভরপুর বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
স্ট্রে বার্ডস` (Stray Birds) নামে ইংরেজিতে লেখা রবীন্দ্রনাথের এই কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এতে ৫০টি কবিতা রয়েছে।
মি. ফেঙের অনুবাদের সমলোচনা করে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপল্‌স ডেইলি সংবাদপত্র এক পর্যালোচনায় বলছে, আগে এই কবিতার যে অনুবাদ চীনা ভাষায় হয়েছে, মি. ফেঙের অনুবাদ তার চেয়ে অনেকখানি ভিন্ন।
ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, অনুবাদ করতে গিয়ে মি. ফেঙ যেসব শব্দ চয়ন করেছেন তা এতোটাই অশালীন যে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে অনুবাদের মানের প্রশ্নে নিজের কাজকে সমর্থন করে মি. ফেঙ বলছেন, তার অনুবাদে কোনো ভুল নেই।
ডংফাঙ ডেইলি সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ``কাব্যগ্রন্থের মূল ভাষা এবং কবির মনোভাবনার নানা রকম ব্যাখ্যা হতে পারে। এর মধ্যে কোন্‌টি ঠিক এটা কে দাবি করতে পারে?``
- See more at: http://m.dailynayadiganta.com/detail/news/81077#sthash.FC9GG5gh.dpuf

মি. ফেঙের অনুবাদের সমলোচনা করে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপল্ ডেইলি সংবাদপত্র এক পর্যালোচনায় বলছে, আগে এই কবিতার যে অনুবাদ চীনা ভাষায় হয়েছে, মি. ফেঙের অনুবাদ তার চেয়ে অনেকখানি ভিন্ন
ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, অনুবাদ করতে গিয়ে মি. ফেঙ যেসব শব্দ চয়ন করেছেন তা এতোটাই অশালীন যে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়
তবে অনুবাদের মানের প্রশ্নে নিজের কাজকে সমর্থন করে মি. ফেঙ বলছেন, তার অনুবাদে কোনো ভুল নেই
ডংফাঙ ডেইলি সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ``কাব্যগ্রন্থের মূল ভাষা এবং কবির মনোভাবনার নানা রকম ব্যাখ্যা হতে পারে। এর মধ্যে কোন্টি ঠিক এটা কে দাবি করতে পারে?``
- See more at: http://m.dailynayadiganta.com/detail/news/81077#sthash.FC9GG5gh.dpuf

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থের তর্জমা নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে চীনের এক প্রকাশক দোকান থেকে সব বই প্রত্যাহার করেছে। চীনা ঔপন্যাসিক ফেঙ টাঙের অনুবাদ যৌন আবেদনে ভরপুর বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
স্ট্রে বার্ডস` (Stray Birds) নামে ইংরেজিতে লেখা রবীন্দ্রনাথের এই কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এতে ৫০টি কবিতা রয়েছে।
মি. ফেঙের অনুবাদের সমলোচনা করে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপল্‌স ডেইলি সংবাদপত্র এক পর্যালোচনায় বলছে, আগে এই কবিতার যে অনুবাদ চীনা ভাষায় হয়েছে, মি. ফেঙের অনুবাদ তার চেয়ে অনেকখানি ভিন্ন।
ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, অনুবাদ করতে গিয়ে মি. ফেঙ যেসব শব্দ চয়ন করেছেন তা এতোটাই অশালীন যে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে অনুবাদের মানের প্রশ্নে নিজের কাজকে সমর্থন করে মি. ফেঙ বলছেন, তার অনুবাদে কোনো ভুল নেই।
ডংফাঙ ডেইলি সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ``কাব্যগ্রন্থের মূল ভাষা এবং কবির মনোভাবনার নানা রকম ব্যাখ্যা হতে পারে। এর মধ্যে কোন্‌টি ঠিক এটা কে দাবি করতে পারে?``
- See more at: http://m.dailynayadiganta.com/detail/news/81077#sthash.FC9GG5gh.dpuf

Monday, December 28, 2015

সবজি চাষে ঝুঁকছেন মেহেরপুরের চাষিরা


এই শীতে মেহেরপুরের দিগন্তজোড়া মাঠে চলছে সবজি চাষ,পরিচর্যা ও আহরণ। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ ট্রাক সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। সবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় এ জেলার চাষিরা ধান-পাট চাষের পরিবর্তে ঝুঁকেছেন সবজি চাষের দিকে। আর সবজি চাষ করে এ জেলার চাষিরা তাদের ভাগ্য ফিরিয়েছেন।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসেব মতে, মেহেরপুর জেলার আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে সারা বছরই প্রায় ৮ হাজার থেকে দশ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ থাকে। তবে শীত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে নানা ধরনের সবজির আবাদ করে থাকেন জেলার চাষিরা।
অঞ্চল ভেদে জেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে বিভিন্ন সবজির উৎপাদন কম বেশি হলেও উল্লেখযোগ্য সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঢেড়স, করল্লা, পটল, কাকরোল, মূলা-গাজর, শিম-বরবটি লাল-শাক উৎপন্ন হচ্ছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর, টুঙ্গি, কাঁঠালপোতা ও সোনাপুর গ্রামের মাঠে পর্যাপ্ত শিম উৎপন্ন হচ্ছে। গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মাঠে ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল-করল্লা সদর উপজেলার শোলমারী, রাইপুর ও খন্দকারপাড়া গ্রামের মাঠে লাল শাক, পুঁই শাক, আলমপুর, গোপালপুর ও মদনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠে লাউ, মিষ্টি আলু, মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর, সোনাপুর, বাগোয়ান ও আনন্দবাস গ্রামের মাঠে ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে ঢেঁড়স, শসা ইত্যাদি। এসব সবজি মেহেরপুর জেলার চাহিদা মিটিয়ে ট্রাক  যোগে বাইরের জেলায় যাচ্ছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার টুঙ্গী গ্রামের শিম চাষি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবছরে তিনি সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছেন। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিমের উৎপাদন ভাল হয়েছে। এদিকে ভাল দাম পাওয়ায় এলাকার শিম চাষিরা বেজায় খুশি। একই গ্রামের শিম চাষি হযরত আলী জানালেন, প্রতিবিঘা জমির শিম চাষে প্রায় ২০ হাজার টাকা করে খরচ হলেও প্রতি বিঘা জমির শিম প্রায় ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন চাষি। একই গ্রামের শিম চাষি মাসুদ বলেন, আগাম সবজি চাষ করে চাষিরা খুব বেশি লাভবান হতে পারেন।
গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের সফল সবজি চাষি তাহসেন আলী ও আইনাল হক জানান, তাদের এলাকার মাটি সবজি চাষের জন্য শতভাগ খাঁটি। সবজি চাষ করে অল্প খরছে অধিক লাভ করা যায়। তাই যাদের নিজস্ব জমি নেই; তারা লিজ নিয়ে জমি চাষ করছেন। একই গ্রামের চাষি রয়েল জানালেন, এ বছর তিনি ৭ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি, ২ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও এক বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এক বিঘা জমির কপি আবাদে তার ২০ হাজার টাকা খরচ হলেও তিনি পাচ্ছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। লাউ চাষে খরচ খুব কম। এতে প্রায় এক লাখ টাকার লাউ বিক্রি করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ জেলার মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত। জেলা কৃষি বিভাগ চাষিদের সবজি চাষের ওপর প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাটি মাঠ দিবসের ব্যবস্থা করে আসছে। নতুন নতুন সবজি আবাদে তাদের উদ্বুদ্ধ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: http://bnstimes24.com

সোনারগাঁও’র প্রাচীন মসজিদ

সোনারগাঁও বাংলার মুসলিম শাসকদের অধীনে পূর্ববঙ্গের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র। এটি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। এর অবস্থান ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। মধ্যযুগীয় নগরটির যথার্থ অবস্থান নির্দেশ করা কঠিন। বিক্ষিপ্ত নিদর্শনাদি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এটি পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী ও উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত একটি বিস্তৃত জনপদ ছিল।
Atiya-Mosque
মুসলিম বাংলার রাজধানী সোনারগাঁও এখন নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। নারায়ণগঞ্জের মোয়াজ্জেমপুরে রয়েছে বাংলার অন্যতম প্রাচীন মসজিদের একটি। মোয়াজ্জেমপুর মসজিদটি ১৪৩২-১৪৩৬ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয়।
হাজী বাবা সালেহ মসজিদটি ১৪৮১ সালে নারায়ণগঞ্জে নির্মিত হয়। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার আনাচে কানাচে বহু প্রাচীন মসজিদ রয়েছে। বাংলার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে কটিয়াদি গোড়াইল মসজিদ (১৪৬৭ খ্রিঃ), পটুয়াখালী মসজিদবাড়ী মসজিদ (১৪৬৫খ্রিঃ), দিনাজপুর মহলবাড়ী মসজিদ (১৫০০ খ্রিঃ), বগুড়া খেড়ুয়া মসজিদ (১৫৮২ খ্রিঃ) অন্যতম।
তথ্যসূত্র: http://bnstimes24.com/

রায়েরকাঠি রাজবাড়ি ও মন্দির

আরও জানা যায়, শ্রীনাথ রায় এই এলাকার বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে রাজ্য স্থাপন করেন বলেই এর নামকরণ করা হয়েছে রায়েরকাঠি। পরবর্তীতে এই রায়েরকাঠির পাশ ঘেষেই গড়ে উঠেছে পিরোজপুরের পার্শ্ববর্তী বর্তমানের শিকারপুর, কুমারখালী, খলিশাখালী, নরখালী, ওদনকাঠী, খুমুরিয়া, মুক্তারকাঠি, আলামকাঠি ও পান্তাডুবি গ্রাম।
রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে সবগুলো ভবনই এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। যুগের পর যুগ এভাবে অযত্ন আর অবহেলায় ভবনগুলো পড়ে থাকলেও সরকার এর রক্ষনাবেক্ষন করছেন না। ফলে দিন দিন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই রাজ বাড়িটি।
বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের অন্যতম পুরাকীর্তি ও ঐতিহাসিক স্থাপনা পিরোজপুরের রায়েরকাঠি রাজবাড়ি ও  মন্দির। সপ্তদশ শতাব্দীর বাংলার ভাটিয়াল রাজা রুদ্র নারায়ণ রায় এ রাজবাড়িটি তৈরি করেন। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাড়িটির ঐতিহ্য আর ধ্বংস হচ্ছে সব প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন ।
3
পিরোজপুর জেলা শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার উত্তরে পৌর এলাকার রায়েরকাঠিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই রাজবাড়িটি। শহর থেকে যেতে রায়েরকাঠির পুলিশ লাইন পেরুলেই দেখা যায় হাতের ডানে রাজবাড়ির সুউচ্চ মঠগুলো।সাড়ে ৩শ’ বছরেরও বেশি পুরাতন ও অপূর্ব নির্মাণ শৈলীর এ প্রাসাদ ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ভাটিয়াল রাজা রুদ্র নারায়ণ রায়। সে সময় ২০০ একর জমিতে নির্মিত হয় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০টি ভবন।

কিন্তু চরম অবহেলা ও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায়  রায়েরকাঠির ঐতিহাসিক রাজবাড়ির মূল্যবান পুরাকীর্তি ধ্বংস হতে চলেছে।

রাজবাড়ি ও মন্দির
পিরোজপুর জেলা শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে পৌর এলাকার রায়েরকাঠিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই রাজবাড়ি।

শহর থেকে রায়েরকাঠির পুলিশ লাইন পেরিয়ে কিছুটা সামনে ১৬৬৮ সালে নির্মিত কালী মন্দির ও ১১টি মঠ। এরও প্রায় ১০০ গজ সামনে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি।

হোক বয়সে যতই পুরাতন, কি জীর্ণ, কি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। মুহূর্তকাল সুউচ্চ মঠ ও রাজবাড়ি দেখেই পর্যটকমাত্র মুগ্ধ হতে বাধ্য। অবচেতনে মনের পটে ভেসে উঠবে এ বাড়ির একসময়ের শৌর্য-বীর্যের রূপ।

প্রচারণা ও পর্যটন সুবিধা না থাকায় এ বাড়িটি দেখতে তেমন লোকের আনাগোনা না হলেও, প্রায় প্রতিদিনই কিছু লোক আসেন এটি দেখতে। ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন সপ্তদশ শতাব্দীর এ মনোরম নির্মাণ শৈলী।

ইট-সুঁড়কি দিয়ে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে রাজবাড়ির প্রাসাদ ও মঠগুলো। কালের বিবর্তনে প্রায় ধ্বংসের পথে মূল রাজবাড়ির অধিকাংশ ভবন। তবে কালের স্বাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সুউচ্চ ১১টি মঠ।

এরই একটি মঠে স্থাপন করা হয়েছে ২৫ মণ ওজনের বিশালাকার একটি শিবলিঙ্গ। কষ্টি পাথরের তৈরি এ মহামূল্যবান শিবলিঙ্গটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ বলে জনশ্রুতি আছে।
এর ১০০ গজ সামনে এগুলেই রাস্তার বাম হাতে দেখা যাবে ধ্বংস প্রায় ঐতিহ্যবাহী রাজ বাড়ির মূল এলাকা। অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মত হাজার হাজার লোক এখানে বেড়াতে না আসলেও প্রতিদিন কিছু উৎসুক লোক এখানে বেড়াতে আসেন। ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন সপ্তদশ শতাব্দীর শিল্পীদের নির্মাণ শৈলী।
ইট-সুঁড়কি দিয়ে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তৈরি এ জমিদার বাড়ির ভবন ও মঠগুলো। কালের বিবর্তনে প্রায় ধ্বংসের পথে এই বাড়ির অধিকাংশ ভবনগুলো। আর কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে এখানকার সুউচ্চ মঠগুলো। সেগুলোও প্রায় ধ্বংসের পথে।
এখানে রাজাদের স্মৃতি চিহ্ন রুপে মঠে সংরক্ষিত রয়েছে একমাত্র কষ্টি পাথরের তৈরী মূল্যবান শিব লিঙ্গ। এদেশে রাজ প্রথা বিলুপ্তির পরে চালু হয় জমিদারী প্রথা। আর রুদ্র নারায়ন রায়ের উত্তরসূরীরা রাজা থেকে পরিণত হন জমিদারে। আর তাই কেউ একে রায়েরকাঠি রাজ বাড়ি কেইবা জমিদার বাড়ি নামে ডাকেন। এখন সেই জমিদার কিংবা রাজা না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাড়িয়ে রয়েছে তাদের আবাসস্থল ও মঠগুলো।
অন্যদিকে আকাশ চুম্বি মঠগুলো রাজবংশের ঐতিহ্য আর রাজকীয়তার নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনো। মঠগুলোকে মনে হয় যেন রাজাদেরই প্রতিনিধি। তবে অযত্নে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে মঠগুলো হারিয়ে ফেলছে তাদের দাম্ভিকতা।
জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকেই অরক্ষিত রয়েছে সুউচ্চ ওই মঠগুলো। জমিদার বাড়ির সামনে এক সময় বিশাল দিঘী থাকলেও তা ভরাট হয়ে এখন ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। কেউ দেখলে বুঝতেই পারবে না যে এটি এক সময়কার রাজ বাড়ির দিঘী। রাজ বাড়িতে এখন আর নাচ ঘরের নৃত্য শোনা না গেলেও বাড়ির প্রধান ফটক, বিচারালয়, মন্দির, কাচারীঘর, খাজাঞ্চিখানা, অন্ধকূপ ও সহমরণের স্মৃতি চিহ্নগুলো এখনও এলাকাবাসীকে মনে করিয়ে দেয় প্রায় চারশত বছর পূর্বের শাসন ব্যবস্থাকে। তবে পূর্বের সেই রাজবাড়ির এখন কোন শ্রী-ই নেই।
জানা গেছে, ১৬১৮ সালের দিকে দিকে শ্রীনাথ রায়ের পুত্র রুদ্রনারায়ন রায় পিরোজপুর জেলার অধিকাংশ ভূ-ভাগ, খুলনা, যশোর, ও বাকেরগঞ্জের কিছু এলাকা নিয়ে গড়ে তোলেন তার রাজ্য বর্তমানের রায়েরকাঠি। এখানেই স্থাপন করেন তার রাজধানী।
মঠ প্রাঙ্গনে প্রতি বছর জাঁকজমকের সাথে শিব পূজা উদযাপিত হয়। জনশ্রুতি রয়েছে মঠে সংরক্ষিত শিব লিঙ্গটি এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহৎ শিব লিঙ্গ।
এলাকার বিশিষ্টজনদের দাবী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ ঐতিহাসিক রাজবাড়ি ও মঠ সংরক্ষণ করা। তাহলে একদিকে পিরোজপুরের এই ঐতিহাসিক স্থানটি ধ্বংসের হাত থেকে যেমন রক্ষা পাবে অন্যদিকে রায়েরকাঠির রাজবাড়িটি দেশের মানুষের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হবে।
এই ঐতিহাসিক স্থানটি সংরক্ষনের ব্যাপারে রাজ বাড়ির উত্তরসূরী সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার বলেন গৌতম নারায়ন রায় ছৌধুরী বলেন, ” এই রাজবাড়ি ও মঠ সংরক্ষণ করা খুবই ব্যয়বহুল। আর এই খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমরা বেশ কয়েকবার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে এগুলো সংরক্ষনের জন্য আবেদন করেছেন। তারা তেমন কোন সাড়া দেননি।”
তথ্যসূত্র: http://www.atntimes.com/?p=14265

Sunday, December 27, 2015

তাজহাট জমিদার বাড়ি রংপুর

রংপুর তথা উত্তর জনপদের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র তাজহাট রাজবাড়ী বা রংপুর জাদুঘর। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ঐতিহ্যমন্ডিত এই স্থানটিকে।এর ফলে রংপুর জাদুঘর ফিরে পেয়েছে তার হারানো ঐতিহ্য। জমিদার বাড়ি জাদুঘর দেখতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত পুরো এলাকা। দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ের ফলে আয়ও বেড়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের। দর্শনার্থীদের পদচারণায় সবসময় মুখরিত থাকে জমিদারবাড়ি।


রংপুরের মাহিগঞ্জ তাজহাট এলাকায় প্রজা হিতৈষী জমিদার গোবিন্দ লাল রায়ের পুত্র গোপাল লাল রায়ের বাড়িটি প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের এক অপূর্ব নিদর্শন। ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই বাড়িটি নির্মাণ করা হয় ১৯০৮ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে। ১৯৪৭ সালে জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন ৫৫ একর জমিসহ মুল ভবনটিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সরকার জমিদার বাড়িতে স্থাপন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রংপুর বেঞ্চ। ১৯৯২ সালে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রত্যাহার করার পর ১৯৯৫ সালে জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে ন্যস্ত করা হয়। ২০০৫ সালের ২০ মার্চ রংপুর জাদুঘর স্থানান্তর করা হয় তাজহাট জমিদার বাড়িতে।সে সময় রংপুর জাদুঘর এলাকায় আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হলেও আজও সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি। তাজহাট জমিদার বাড়িটি রংপুর জাদুঘর থেকে প্রায় মাইল পূর্ব  দক্ষিনে কোণে বর্তমান কৃষি ইনস্টিটিউট পাশে সবুজ গাছপালা পরিবেষ্টিত আর্কষর্ণীয় পরিবেশে অবস্থিত জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে সমসাময়িককালে খননকৃত বিশাল আকৃতির ৪টি পুকুর। বর্তমান তাজহাটে বাজার হতে উত্তর দিক দিয়ে প্রধান ফটক অতিক্রম কওে ক্রমান্বয়ে পশ্চিমে  কয়েকশগজ পেরিয়ে জমিদার বাড়ির প্রধান প্রবে পথে আসা যায় তাজহাট জমিদার মূলতঃ গোবিন্দ লালের পুত্র গোপাল লাল(জি.এল.রায়) এর সাথে সর্ম্পকযুক্ত যা স্থানীয়ভাবে তাজহাট জমিদার নামে পরিচিত।এ বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মান্নানলাল রায়।তিনি  সুদূর পাঞ্চাব হতে রংপুরের বিশিষ্ট সমৃদ্ধ স্থান মাহিগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসা করার জন্য এসেছিলেন প্রাচীন রঙ্গপুরের ইতিহাস  পুস্তকথেকে জানা যায় যে, মান্নালাল রায় রঙ্গপুরের মাহিগঞ্জে এসেছিলেন হীরা, জহরত স্বর্ণ ব্যবসার জন্য। প্রথমে তিনি নানা ধরণের নামী দামী হীরা, মানিক জহরতখচিত তাজ বা টুপির ব্যবসা করেছিলেন উক্ত তাজ বিক্রির  লক্ষে এখানে হাস বসে যা পরবর্তীতে বিরাট প্রসিদ্ধি লাভ করে এবং তাজহাটকে কেন্দ্র করে এই জমিদারবাড়ীর নামকরণ করা হয় তাজহাট জমিদার বাড়ি তাজহাট জমিদার বাড়িটির প্রধান প্রকোষ্ঠটির পরিমাপ উত্তর  দক্ষিনে -০র্ লম্বা এবং উত্তর দক্ষিনে প্রকোষ্ঠটির পূর্ব পশ্চিমের অংশের পরিমাপ ১২৩র্-০র্*১২০র্-০র্লম্বা। দ্বিতীয় তলায় ওঠার জন্য তিনটি অভিগমন পথ রয়েছে তন্মধ্যে মধ্যের অভিগমন পথটি অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত। সবকটি অভিগমন পথের প্রতিটি ধাপ সুন্দরমসৃণ সাদা ছাই রংয়ের পাথর দ্বারা মোড়ানো। বারান্দাটির সম্পূর্ণ মেঝে  অনুরূপ পাথরে মোড়ানো প্রথম তলার ছাদ নির্মাণে বড় বড় লোহার বীম লোহার ফালি ব্যবহার করা হয়েছেপ্রধান এক তলার বা গ্রাউন্ড ফ্লোরের অংশটিতে ৪টি কক্ষ দেখা যায় এবং এতে সর্বমোট ১১ জোড়া কপাট বিশিষ্ট  দরজা দেখা যায় যা প্রাসাদেও প্রকোষ্ঠগুলোতেও অনুরূপবাবে পূর্বেও অংশে ৭টি প্রবেশ দ্বারা সমন্বিত ৩টি বড় বড় কক্ষ  এবং পশ্চিম অংশে জোড়া কপাট বিশিষ্ট দরজাসহ বিরাট হলরম্নম রয়েছে অংশের প্রায় মধ্যভাগে একটি প্রবেশ বর্হিপথ রয়েছে
প্রধান ইমারতের উত্তর অংশের মাঝামাঝি ২য় তলায় ওঠানামার জন্য সুন্দর কাঠের তৈরি ২২টি ধাপ বিশিষ্ট সিঁড়ি দেখা যায় এবং দক্ষিনের প্রাসাদেও প্রকোষ্ঠটিতেও ২য় তলায় ওঠানামার জন্য লৌহ নির্মিত নকশাকৃত ঝুলন্ত সমজবুত সিঁড়ি রয়েছে সিঁড়িগুলোর রেলিং সুন্দর লৌহ নির্মিত ফুলগাছের মতো দেখা যায় সম্মুখস্থ প্রধান প্রাসাদটির ২য় তলায় ওঠানামার জন্য একটি বিরাট গ্যালারির মতো সিঁড়ি রয়েছে সিঁড়িটিকে তিনটি স্তরে বিভক্ত দেখা যায়। প্রথম স্তরে ১টি ধাপ বিরাজমান, ২য় সত্মরে ওঠার সময় একটু সমান অবস্থান নেমে আবার ১৪টি ধাপ অতিক্রম করে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন  আয়তাকার প্লাটফরমে ওঠা যায়, যা দ্বিতীয় তলার ছাদের সাথে সম্পৃক্ত ,যাকে ৩য় স্তর হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে বৃহদাকার সিঁড়িটির পরিমাপ দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৬র্-০র্প্রস্থ ৩৩র্-০র্ এবং প্রশস্ত উপরের দিকে ৪৯র্-০র্  এবং ক্রমান্বয়ে পরিমাপ কমিয়ে তা ৩৩র্-০র্ পর্যন্ত  প্রশস্তরাখা হয়েছে সিঁড়িটি ভূমি থেকে দ্বিতীয় ভবনের ছাদ পর্যন্তসম্পূর্ণ অংশ সুন্দর মসৃন সাদা - কালো পাথরে মোড়ানো  এবং সম্পূর্ণ  অক্ষতঅবস্থায় রয়েছে
তাজহাট রাজবাড়ীবাতাজহাট জমিদারবাড়ীবাংলাদেশের রংপুর শহরের অদূরেতাজহাটে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ যা এখন একটিজাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রংপুরের পর্যটকদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান।রাজবাড়ীটি রংপুর শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।


- See more at: http://www.dhakatimes24.com/2014/10/01/38874#sthash.OZ3HxsMT.dpuf
রংপুর তথা উত্তর জনপদের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র তাজহাট রাজবাড়ী বা রংপুর জাদুঘর। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ঐতিহ্যমন্ডিত এই স্থানটিকে।এর ফলে রংপুর জাদুঘর ফিরে পেয়েছে তার হারানো ঐতিহ্য। জমিদার বাড়ি ও জাদুঘর দেখতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত পুরো এলাকা। দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ের ফলে আয়ও বেড়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের। দর্শনার্থীদের পদচারণায় সবসময় মুখরিত থাকে জমিদারবাড়ি।

রংপুরের মাহিগঞ্জ তাজহাট এলাকায় প্রজা হিতৈষী জমিদার গোবিন্দ লাল রায়ের পুত্র গোপাল লাল রায়ের বাড়িটি প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের এক অপূর্ব নিদর্শন। ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই বাড়িটি নির্মাণ করা হয় ১৯০৮ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে। ১৯৪৭ সালে জমিদার বাড়িটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন ৫৫ একর জমিসহ মুল ভবনটিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সরকার জমিদার বাড়িতে স্থাপন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রংপুর বেঞ্চ। ১৯৯২ সালে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রত্যাহার করার পর ১৯৯৫ সালে জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে ন্যস্ত করা হয়। ২০০৫ সালের ২০ মার্চ রংপুর জাদুঘর স্থানান্তর করা হয় তাজহাট জমিদার বাড়িতে।সে সময় রংপুর জাদুঘর এলাকায় আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হলেও আজও সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি।
- See more at: http://www.dhakatimes24.com/2014/10/01/38874#sthash.OZ3HxsMT.dpuf